রিয়াধ, 10 এপ্রিল : ব্রিটেনের পর এবার কোরোনার থাবা সৌদির রাজ পরিবারে । সৌদির যুবরাজ আল সাউদের শরীরে মিলল ভাইরাসের হদিস । বর্তমানে তিনি রিয়াধ প্রদেশের অধিকর্তা । রাজপরিবারের আরও অনেকেরই শারীরিক অসুস্থতার কথা জানা গেছে । তাদের সকলকেই আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে । রাজপরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য যে হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে ইতিমধ্যেই 500 শয্যাবিশিষ্ট বিশেষ ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে । রাজপরিবারের সদস্যরা ছাড়াও রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অনেকর মধ্যে ছড়াতে পারে সংক্রমণ । এই আশঙ্কায় হাসপাতালের তরফে অন্তর্বতীকালীন সতর্কতা জারি করা হয়েছে ।
রাজপরিবারের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা কিং ফইজ়ল স্পেশালিটি হাসপাতালের তরফে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, "দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ।" হাসাপাতালের প্রবীণ চিকিৎসকদের এই বিষয়ে নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, " আমরা জানি না ঠিক কতজনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে । আমাদের প্রস্ত্তুত থাকতে হবে ।" শুধুমাত্র খুব প্রয়োজন ছাড়া বাকি সমস্ত রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে ।
প্রায় দেড় মাস আগে সৌদিতে প্রথম সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল । এবার ভাইরাসের সংক্রমণ ঢুকে পড়ল রাজপরিবারের অভ্যন্তরে । রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ মহলসূত্রে খবর, এখনও প্রায় 150 জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
গত সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিস । ইরানেরও একাধিক শীর্ষ আধিকারিক ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে । ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে বাকিংহামের ভিতরেও । এবার এরই নবতম সংযোদন সৌদির যুবরাজের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ।
বাকিংহামের কোথায় কোথায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কেউ কিছু বলতে পারছে না । পরিস্থিতি সব দেশের জন্যই খারাপ হতে শুরু করেছে । একই অবস্থা সৌদিরও । যদিও বাকি দেশগুলির তুলনায় সৌদিতে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে । সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানে প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি মানুষের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে । এখনও পর্যন্ত মারা গেছে 41 জন । তবে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তোফিক আল রাবিয়া ।