কিভ, 7 মার্চ : রুশ হামলায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে ছবির মতো সুন্দর দেশ ইউক্রেন (Russia-Ukraine Conflict) ৷ আজ ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার দ্বাদশ দিন ৷ লাগাতার রুশ মিসাইলের ধাক্কায় কিভ, খারকিভের মতো শহরগুলিতে অবশিষ্ট নেই কিছুই ৷ প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে নিরীহ মানুষদের ৷ অথচ বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা যা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ৷ বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হতাশ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ৷ পুতিনের রাশিয়ান সরকারের এই হত্যালীলার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন তিনি ৷ কোণঠাসা অবস্থায় থেকেও তাঁর হুঙ্কার, কাউকে ক্ষমা করা হবে না ৷
জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেনের রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় গোলা, কামান ছুঁড়ছে রাশিয়া ৷ এতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ৷ কিভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, যুদ্ধের একাদশতম দিনে ইরপিন শহরে এক নিরীহ পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে ৷ চার সদস্যের ওই পরিবারটি প্রাণে বাঁচতে শহর ছেড়ে পালাচ্ছিল ৷ জেলেনস্কির কথায়, "আমরা এগুলো ভুলব না ৷ কাউকে ক্ষমা করা হবে না ৷" তিনি বলেন, "এই যুদ্ধে যারা নৃশংসতা করেছে তাদের আমরা শাস্তি দেব । যারা আমাদের শহর, আমাদের জনগণের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে, যারা সেই আদেশ দিচ্ছে, আমরা প্রত্যেককে খুঁজে বের করব ৷ এই পৃথিবীতে শান্তিতে থাকার জায়গা তোমরা পাবে না ৷ একমাত্র কবর ছাড়া ৷"
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের দাবি, "আগামিকাল রাশিয়া প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলার ঘোষণা করেছে ৷ প্রচুর সাধারণ নাগরিক এখানে রয়েছে ৷ এটা হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই নয় । অথচ কোনও রাষ্ট্রনেতাকে, পশ্চিমী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখলাম না ৷"
আরও পড়ুন: ইউক্রেন দাবি মানলে তবেই বন্ধ হবে যুদ্ধ, কড়া বার্তা পুতিনের
ইতিমধ্যেই রাশিয়ার নজরে পড়েছে ইউক্রেনের খারকিভ শহরে অবস্থিত একটি পারমাণবিক চুল্লির উপর ৷ যার নাম ন্যাশনাল ইউস্টিটিউচ অব ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি ৷ যেখানে লাগাতার গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে রুশ বাহিনী ৷ সেখানে বিস্ফোরণ ঘটলে কি অবস্থা হতে পারে তা ভাবনার অতীত ৷ এর আগেও ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রুশ হামলায় আগুন ধরে গিয়েছিল ৷ তবে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই আগুন নেভানো সম্ভব হয় ৷