লন্ডন, 20 জানুয়ারি: ব্রিটেনে মাস্ক পরাটা আর বাধ্যতামূলক নয় (mandatory face masks)৷ থাকছে না ওয়ার্ক ফ্রম হোমও ৷ ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্রমে হ্রাস পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson rolling back COVID 19 measures)৷ আগামী সপ্তাহ থেকেই কোভিড সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিনিষেধও প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
বরিস জনসন জানিয়েছেন, "আমাদের বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, দেশজুড়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে ৷ তাই এখন থেকে সরকার আর মানুষকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলবে না ৷" বিশ্বের মধ্যে ব্রিটেনই প্রথম টিকা তৈরি করে এবং ইউরোপে সবার আগে টিকা চালু করা দেশগুলির মধ্যে ব্রিটেন অন্যতম বলে দাবি করেন জনসন ৷ তাঁর কথায়, "আমরা নিজেরাই টিকা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সরব হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে ৷ আমরা গত গ্রীষ্মে সবকিছু খোলা রাখার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যখন অন্য সবাই বলেছিল এটা উচিত হবে না ৷ এই শীতে যখন অন্যরা লকডাউন করে রেখেছে, তখনও আমাদের সব খোলা ছিল ৷ সেই কারণে ইউরোপে আমাদেরই অর্থনীতি এবং সমাজ সবচেয়ে উন্মুক্ত এবং জি-7-এর মধ্যে আমরা সবচেয়ে দ্রুত এগিয়ে চলা অর্থনীতির দেশ ৷"
আরও পড়ুন: First Omicron death in UK : ব্রিটেনে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু নিশ্চিত করলেন জনসন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দুর্দান্ত বুস্টার প্রচারের কারণে এবং প্ল্যান বি নির্দেশিকায় মানুষ খুব ভালো সাড়া দেওয়ায়, তাঁরা প্ল্যান এ-তে ফিরে যাচ্ছেন এবং প্ল্যান বি-র নির্দেশিকা প্রত্যাহার করছেন ৷ প্ল্যান বি নির্দেশিকা বলতে বাধ্যতামূলক ফেস মাস্ক, বাধ্যতামূলক কোভিড পাস ও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শের কথা বলা হয়েছে ৷
18 জানুয়ারি ব্রিটেনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 94,432 জন ৷ মৃত্যু হয়েছে 438 জন করোনা রোগীর ৷ ব্রিটেনে এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন 52,133,611 জন ৷ ব্রিটেনই প্রথম দেশ যারা কোভিড 19-এর রূপ বদল মিয়ে সতর্ক করেছিল, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রুখতে আন্তর্জাতিক উড়ানে সফর নিয়ন্ত্রণ করেছিল এবং ডিসেম্বরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করেছিল ৷ আর বেশিরভাগেরই মাস্ক পরাটা নিশ্চিত করতে পেরেছিল ৷
আরও পড়ুন: Covaxin : কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল ব্রিটিশ সরকার