ETV Bharat / international

ফের জনসাধারণের কোর্টে ব্রেক্সিটের বল, ব্রিটেনে ফের ভোট - Britain Election

ব্রেক্সিট নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কী? ব্রিটিশ রাজনীতেই বা এর প্রভাব কতটা? একটা পরিপ্রেক্ষিত স্পষ্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে 2018 সালের জুলাইতে ভারত সফরকালে ।

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Nov 11, 2019, 5:39 PM IST

নিজেকে নিয়ে ব্রিটিশরা খুব ভালো মজা করতে পারেন ! ব্রিটিশ লেখক অ্যাডরিন গিল বলেছিলেন, "রাজনীতিকদের ঘৃণা করুন । সব রাজনৈতিক নেতাদের । ব্রিটিশ রাজনীতিক নিজেদের অত্যন্ত গুরুত্ব দেন । কিন্তু তাঁরা নিজেদের কাজ কখনই সম্পূর্ণ করেন না ।" ব্রিটেনের বর্তমান পরিস্থিতি এই মজার রহস্য তুলে ধরবে । দশ বছরের মধ্যে চতুর্থবার সাধারণ নির্বাচনের সামনে দেশ । যা কোনওভাবেই তাঁদের ভালো ভাবমূর্তির সঙ্গে মানানসই নয় ।

ব্রেক্সিট নিয়ে 2016 সালের 23 জুন গণভোট হয়েছিল । সেই ভোটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কনজ়ারভেটিভ দলের টেরেসা মে (650 জনের মধ্যে 330 জন এমপি )-র থেকে সামান্য কিছু আসন কম পেয়েছিলেন ডেভিড ক্যামেরন । এর পরই তিনি পদত্যাগ করেন । ডেভিড ক্যামেরন তাঁর সাম্প্রতিকতম বইতে যাঁরা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়ে ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন, তাঁদের শুভেচ্ছা জানান । তিনি ফের একবার বলেন, ''ব্রেক্সিটের ফলে দেশ দু'ভাগ হয়ে যাবে, সরকার অকেজো হয়ে পড়বে ।''

ব্রেক্সিটের পক্ষে সায় দিয়ে এক সময় বাহবা কুড়িয়েছিলেন টেরেসা মে । 51 শতাংশের বেশি মানুষ 2016 সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন । কিন্তু, সময় যত এগিয়েছে পরিস্থিতি ততই পালটে গেছে । শুধু জন সমর্থনই নয়, নিজ দল কনজা়রভেটিভ পার্টির শ’খানেক এমপি-ও সমর্থন করেননি প্রধানমন্ত্রী মে-র সেই প্রস্তাব । ভোটাভুটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন তিনি ।

ব্রেক্সিট ইশু গোটা দেশের রাজনীতিতে বড়সড় ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে । EU থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা যাঁরা বলতেন, তাঁরা কর্তৃত্ব করার মতো জায়গায় চলে গেছিলেন । তাঁরা মনে করতেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটেনের সার্বভৌমত্বকে দখল করার চেষ্টা করছে । যাই হোক স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড তীব্রভাবে ব্রেক্সিট বিরোধী ছিল । ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব তিন
বার দিয়েছিলেন মে, কিন্তু প্রতিবারই তা পার্লামেন্ট প্রত্যাখ্যান করেছিল । বিকল্প আর কিছু না থাকায় এ বছর জুনে পদত্যাগ করেন মে ।

24 জুলাই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন বরিস জনসন । যিনি নিজে একজন ব্রেক্সিটের কট্টর সমর্থক । ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বরিস তাঁর 110 পাতার ‘উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্ট বিল’ পেশ করেছিলেন । এই বিল-ই আসলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি, যা ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেনেও নিয়েছে। দীর্ঘ বিলটির কপি সব ব্রিটিশ এমপিকে দেওয়া হয়েছে । ‘মতাদর্শগতভাবে’ (কোনও আলোচনার আগেই) বরিসের বিল মেনে নেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি । বরিসের পক্ষে ভোট পড়ে 329, আর বিপক্ষে 299টি । একই সঙ্গে বরিস চেয়েছিলেন 31 অক্টোবরের মধ্যে পুরো বিষয়টি মধ্যে চূড়ান্ত করতে । কিন্তু, সে সময় বরিসের পক্ষে ভোট পড়ে 308টি, আর বিপক্ষে 322টি । প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব মেনে আগামী 12 ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে সম্মতি দেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স । প্রায় 100 বছর পরে বড়দিনের ছুটিতে ভোট হবে এ দেশে । 1923 সালে শেষ বার শীতকালে ভোট হয়েছিল ।

যাই হোক, ব্রেক্সিট নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কী? ব্রিটিশ রাজনীতেই বা এর প্রভাব কতটা? একটা পরিপ্রেক্ষিত স্পষ্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে 2018 সালের জুলাইতে ভারত সফরকালে । তিনি বলেছিলেন, "আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই । যখন আমরা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে । ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এলে ভারতের সামনে অনেকগুলি সুযোগের দরজা খুলে যাবে ।" শিক্ষাক্ষেত্রে ভারতীয় ছাত্র ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কঠোরতা আছে, তা অনেক শিথিল হবে । ব্রিটেনে প্রবেশ এবং চাকরির ক্ষেত্রে ভারতীয়দের সংখ্যা প্রায় 50 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে । 2010-11 সালে যেটা ছিল 39,090 সেটা 2016-17 তে কমে দাঁড়িয়েছে 16,550 তে ।

এ প্রসঙ্গে বলা যায়, কনজ়ারভেটিভরা ভারতের প্রতি অনেক বেশি সহনশীল । প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন তিনবার ( জুলাই 2010, ফেব্রুয়ারি 2013 এবং নভেম্বর 2013 ) ভারত সফর করেছিলেন । লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সামনে (নভেম্বর, 2015 ) ভাষণ দেওয়ার জন্য মোদিকে সঙ্গ দিয়েছিলেন । এ প্রসঙ্গে ক্যামেরন এক বার্তায় বলেছিলেন, মোদিকে এক দিন 10 নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি । প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে আগামী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মিলিত ভাবে কাজ করার কথা বলেন তিনি ।

অন্য দিকে আছেন লেবার পার্টির এমপিরা । যেমন লর্ড নাজ়ির আহমেদ, যিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের । অভিযোগ, যারা ভারতের ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির দিকে উসকানি দিয়ে আসছে । ব্রিটেনে বসবাসকারী 1.1 মিলিয়ন ব্রিটিশ-পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের । ইংরাজি ভাষার উপর দক্ষতা ব্রিটেনে তাঁদের চাকরির দরজা খুলে দিয়েছে । ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রা বহু কাল ধরে লেবার পার্টিকে সমর্থন করে এসেছেন ।

এ প্রসঙ্গে বলতেই হবে লেবার পার্টির এমপি জেরেমি করবিনের কথা । যাঁকে কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলতেও শোনা গেছে । করবিন কাশ্মীর নিয়ে 25 সেপ্টেম্বর একটি প্রস্তাব এনেছিলেন, যাকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক পক্ষপাতমূলক বলে মন্তব্য করেছে । লেবার পার্টি পাকিস্তানের মতামত অন্ধভাবে সমর্থন করছে বলেও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল ।

ফিরে আসা যাক আসন্ন নির্বাচনের দিকে । অধিকাংশ জনমত সমীক্ষা বলছে, কনজ়ারভেটিভরা ভালো ফল করবে । বিশেষ করে ব্রেক্সিট এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা তাদের প্রধান ইশু । তবে জনসমর্থন সবসময় দোদুল্যমান এবং জনমত সমীক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল প্রমাণিত হয় । 2015 সালে কনজ়ারভেটিভদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ক্যামেরন, মনে করা হয়েছিল তিনি হেরে যাবেন । কিন্তু, ভোটের ফল অন্যরকম হয়েছিল । তবে একটা বিষয় স্পষ্ট বহু বহু বছর পর একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সামনে ব্রিটেন ।

বিষ্ণু প্রকাশ
(রাষ্ট্রদূত, লেখক দক্ষিণ কোরিয়া এবং কানাডায় ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ছিলেন । বর্তমানে বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদনের লেখক । )

নিজেকে নিয়ে ব্রিটিশরা খুব ভালো মজা করতে পারেন ! ব্রিটিশ লেখক অ্যাডরিন গিল বলেছিলেন, "রাজনীতিকদের ঘৃণা করুন । সব রাজনৈতিক নেতাদের । ব্রিটিশ রাজনীতিক নিজেদের অত্যন্ত গুরুত্ব দেন । কিন্তু তাঁরা নিজেদের কাজ কখনই সম্পূর্ণ করেন না ।" ব্রিটেনের বর্তমান পরিস্থিতি এই মজার রহস্য তুলে ধরবে । দশ বছরের মধ্যে চতুর্থবার সাধারণ নির্বাচনের সামনে দেশ । যা কোনওভাবেই তাঁদের ভালো ভাবমূর্তির সঙ্গে মানানসই নয় ।

ব্রেক্সিট নিয়ে 2016 সালের 23 জুন গণভোট হয়েছিল । সেই ভোটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কনজ়ারভেটিভ দলের টেরেসা মে (650 জনের মধ্যে 330 জন এমপি )-র থেকে সামান্য কিছু আসন কম পেয়েছিলেন ডেভিড ক্যামেরন । এর পরই তিনি পদত্যাগ করেন । ডেভিড ক্যামেরন তাঁর সাম্প্রতিকতম বইতে যাঁরা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে মত দিয়ে ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন, তাঁদের শুভেচ্ছা জানান । তিনি ফের একবার বলেন, ''ব্রেক্সিটের ফলে দেশ দু'ভাগ হয়ে যাবে, সরকার অকেজো হয়ে পড়বে ।''

ব্রেক্সিটের পক্ষে সায় দিয়ে এক সময় বাহবা কুড়িয়েছিলেন টেরেসা মে । 51 শতাংশের বেশি মানুষ 2016 সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন । কিন্তু, সময় যত এগিয়েছে পরিস্থিতি ততই পালটে গেছে । শুধু জন সমর্থনই নয়, নিজ দল কনজা়রভেটিভ পার্টির শ’খানেক এমপি-ও সমর্থন করেননি প্রধানমন্ত্রী মে-র সেই প্রস্তাব । ভোটাভুটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন তিনি ।

ব্রেক্সিট ইশু গোটা দেশের রাজনীতিতে বড়সড় ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে । EU থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা যাঁরা বলতেন, তাঁরা কর্তৃত্ব করার মতো জায়গায় চলে গেছিলেন । তাঁরা মনে করতেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটেনের সার্বভৌমত্বকে দখল করার চেষ্টা করছে । যাই হোক স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড তীব্রভাবে ব্রেক্সিট বিরোধী ছিল । ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব তিন
বার দিয়েছিলেন মে, কিন্তু প্রতিবারই তা পার্লামেন্ট প্রত্যাখ্যান করেছিল । বিকল্প আর কিছু না থাকায় এ বছর জুনে পদত্যাগ করেন মে ।

24 জুলাই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন বরিস জনসন । যিনি নিজে একজন ব্রেক্সিটের কট্টর সমর্থক । ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বরিস তাঁর 110 পাতার ‘উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্ট বিল’ পেশ করেছিলেন । এই বিল-ই আসলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি, যা ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেনেও নিয়েছে। দীর্ঘ বিলটির কপি সব ব্রিটিশ এমপিকে দেওয়া হয়েছে । ‘মতাদর্শগতভাবে’ (কোনও আলোচনার আগেই) বরিসের বিল মেনে নেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি । বরিসের পক্ষে ভোট পড়ে 329, আর বিপক্ষে 299টি । একই সঙ্গে বরিস চেয়েছিলেন 31 অক্টোবরের মধ্যে পুরো বিষয়টি মধ্যে চূড়ান্ত করতে । কিন্তু, সে সময় বরিসের পক্ষে ভোট পড়ে 308টি, আর বিপক্ষে 322টি । প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব মেনে আগামী 12 ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে সম্মতি দেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স । প্রায় 100 বছর পরে বড়দিনের ছুটিতে ভোট হবে এ দেশে । 1923 সালে শেষ বার শীতকালে ভোট হয়েছিল ।

যাই হোক, ব্রেক্সিট নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি কী? ব্রিটিশ রাজনীতেই বা এর প্রভাব কতটা? একটা পরিপ্রেক্ষিত স্পষ্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে 2018 সালের জুলাইতে ভারত সফরকালে । তিনি বলেছিলেন, "আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই । যখন আমরা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে । ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এলে ভারতের সামনে অনেকগুলি সুযোগের দরজা খুলে যাবে ।" শিক্ষাক্ষেত্রে ভারতীয় ছাত্র ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কঠোরতা আছে, তা অনেক শিথিল হবে । ব্রিটেনে প্রবেশ এবং চাকরির ক্ষেত্রে ভারতীয়দের সংখ্যা প্রায় 50 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে । 2010-11 সালে যেটা ছিল 39,090 সেটা 2016-17 তে কমে দাঁড়িয়েছে 16,550 তে ।

এ প্রসঙ্গে বলা যায়, কনজ়ারভেটিভরা ভারতের প্রতি অনেক বেশি সহনশীল । প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন তিনবার ( জুলাই 2010, ফেব্রুয়ারি 2013 এবং নভেম্বর 2013 ) ভারত সফর করেছিলেন । লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সামনে (নভেম্বর, 2015 ) ভাষণ দেওয়ার জন্য মোদিকে সঙ্গ দিয়েছিলেন । এ প্রসঙ্গে ক্যামেরন এক বার্তায় বলেছিলেন, মোদিকে এক দিন 10 নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি । প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে আগামী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মিলিত ভাবে কাজ করার কথা বলেন তিনি ।

অন্য দিকে আছেন লেবার পার্টির এমপিরা । যেমন লর্ড নাজ়ির আহমেদ, যিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের । অভিযোগ, যারা ভারতের ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির দিকে উসকানি দিয়ে আসছে । ব্রিটেনে বসবাসকারী 1.1 মিলিয়ন ব্রিটিশ-পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের । ইংরাজি ভাষার উপর দক্ষতা ব্রিটেনে তাঁদের চাকরির দরজা খুলে দিয়েছে । ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রা বহু কাল ধরে লেবার পার্টিকে সমর্থন করে এসেছেন ।

এ প্রসঙ্গে বলতেই হবে লেবার পার্টির এমপি জেরেমি করবিনের কথা । যাঁকে কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলতেও শোনা গেছে । করবিন কাশ্মীর নিয়ে 25 সেপ্টেম্বর একটি প্রস্তাব এনেছিলেন, যাকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক পক্ষপাতমূলক বলে মন্তব্য করেছে । লেবার পার্টি পাকিস্তানের মতামত অন্ধভাবে সমর্থন করছে বলেও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল ।

ফিরে আসা যাক আসন্ন নির্বাচনের দিকে । অধিকাংশ জনমত সমীক্ষা বলছে, কনজ়ারভেটিভরা ভালো ফল করবে । বিশেষ করে ব্রেক্সিট এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা তাদের প্রধান ইশু । তবে জনসমর্থন সবসময় দোদুল্যমান এবং জনমত সমীক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল প্রমাণিত হয় । 2015 সালে কনজ়ারভেটিভদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ক্যামেরন, মনে করা হয়েছিল তিনি হেরে যাবেন । কিন্তু, ভোটের ফল অন্যরকম হয়েছিল । তবে একটা বিষয় স্পষ্ট বহু বহু বছর পর একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সামনে ব্রিটেন ।

বিষ্ণু প্রকাশ
(রাষ্ট্রদূত, লেখক দক্ষিণ কোরিয়া এবং কানাডায় ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ছিলেন । বর্তমানে বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদনের লেখক । )


New Delhi, Nov 11 (ANI): Secretary General of Jamaat-e-Islami Hind, Mohammad Salim Engineer after attending inter-religious faith meet at National Security Advisor (NSA) Ajit Doval's residence, said that strengthening values of justice and taking country forward will be victory for India. "This verdict is not anyone's victory or loss. Strengthening values of justice, peace, equality, freedom and taking the country forward with them will be a victory for India," said Mohammad Salim Engineer.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.