ETV Bharat / international

বিশ্বে প্রথম কোরোনা ভ্যাকসিন আনল রাশিয়া, দাবি পুতিনের

author img

By

Published : Aug 11, 2020, 2:54 PM IST

Updated : Aug 11, 2020, 5:27 PM IST

রাশিয়ায় তৈরি হল বিশ্বের প্রথম কোরোনা ভ্যাকসিন । একটি ভিডিয়ো কন্ফারেন্সে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেন ।

russia
russia

মস্কো, 11 অগাস্ট : বিশ্বে প্রথম কোরোনা ভ্যাকসিন তৈরি করল রাশিয়া । আজ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, এই ভ্যাকসিন কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম । তাঁর মেয়ের উপর ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছে । তিনি ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন পুতিন । আজ রুশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে পুতিন ভ্যাকসিনের বিষয়ে ঘোষণা করেন । জানান, ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং এটি নিরাপদ ।

কিন্তু রাশিয়ার এই ঘোষণাকে এখনই মান্যতা দিচ্ছে না বিজ্ঞান মহলের অনেকেই। দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথা । তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে সাধারণত কয়েক মাস সময় লেগে যায়। এবং হাজারের বেশি মানুষের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় । তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগেই ভ্যাকসিন ব্যবহারে তাড়াহুড়ো হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা ।

তবে এই কোরোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক । পুতিনের মেয়ের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথম দিনে তাপমাত্রা ছিল 100.4 ডিগ্রি ফারেনহাইট । এরপরই তাঁর শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় । পরের দিন তাপমাত্রা হয় 98.6 ডিগ্রি ফারেনহাইট । দ্বিতীয় দফায় প্রয়োগের পর তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধি হয়েছিল । কিন্তু তারপর সব সাধারণ হয়ে যায় । পুতিন জানিয়েছেন, এখন তাঁর মেয়ে ভালো আছেন । তাঁর শরীরে সর্বোচ্চ সংখ্যক অ্যান্টিবডি রয়েছে । তবে দুই মেয়ে মারিয়া ও ক্যাটেরিনার মধ্যে কার শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি পুতিন ।

রুশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন তাঁদের উপরে প্রয়োগ করা হবে প্রথম দফার ভ্যাকসিন । স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষকদের উপর প্রয়োগ করা হবে । উপ-প্রধানমন্ত্রী গোলিকোভা জানিয়েছেন, এই মাসে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকদের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে । দু'বছর পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন প্রতিরোধ ক্ষমতা দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক । তবে পুতিনের বক্তব্য, স্বেচ্ছায় ভ্যাকিসন নিতে পারবেন সবাই । সেপ্টেম্বর থেকে প্রচুর সংখ্যক ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে। অক্টোবরে যত দ্রুত সম্ভব এই ভ্যাকসিনের গণপ্রয়োগ শুরু হবে ।

বিশ্বে প্রথমবার COVID-19-এর ভ্যাকসিন আনতে চলেছে বলে আগেই দাবি করেছিল রাশিয়া । ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণায় সাহায্য করেছে রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড । এই ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছে গামালেয়া নামে মস্কোর এক গবেষণা সংস্থা ।

মে মাসের শুরুতে গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউশনের প্রধান অধ্যাপক আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ ভ্যাকসিনের পরীক্ষার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । 17 জুন 76 জনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয় এই ভ্যাকসিন । তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরে তরল আকারে ও অর্ধেকের শরীরে পাউডার আকারে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হয় ।

এই ভ্যাকসিন তৈরিতে যাঁরা অংশ নিয়েছেন প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান পুতিন । বলেন, "বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ । আমি জানি এটি কাজ করবে । প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে । সমস্তরকম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ভ্যাকসিনটি ।"

এই ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে নিজেকে প্রথম স্থানে প্রতিষ্ঠা করল রাশিয়া । কিন্তু রাশিয়ার এই ঘোষণাকে অনেকেই একইভাবে গ্রহণ করেনি । তাড়াহুড়োয় বিপদ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বৈজ্ঞানিকমহল । যদিও রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, সমস্তরকম ট্রায়াল উত্তীর্ণ করেছে ভ্যাকসিনটি । কিন্তু সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে । কয়েকজন বিশেষজ্ঞ রাশিয়ার এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করেন । তাঁদের দাবি, ভ্যাকসিন সঠিক প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম এবং এর কোনও উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা রাশিয়াকে নিশ্চিত করতে হবে । বৈজ্ঞানিক তথ্য পেশ করেই রাশিয়া যেন তার দাবি নিশ্চিত করে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও সতর্ক করা হয়েছিল, সবরকম পরীক্ষামূলক প্রয়োগে উত্তীর্ণ হতে হবে ভ্যাকসিনকে ।

ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে রাশিয়ার ভ্যাকসিন ঘোষণার কথা গ্রহণ করেছেন । গতকালই তিনি জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন আসার পর জনসম্মুখে ভ্যাকসিন নেব আমি । আমার উপর প্রথম প্রয়োগ করুন । আমার কোনও অসুবিধা নেই ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ইতিমধ্যেই রুশ ভ্যাকসিনের তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে । WHO-র তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিশ্বে 100টি কোরোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে । যার মধ্যে চারটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চূড়ান্ত পর্যায়ে । অর্থাৎ তৃতীয় পর্যায়ে মানুষের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে ।

মস্কো, 11 অগাস্ট : বিশ্বে প্রথম কোরোনা ভ্যাকসিন তৈরি করল রাশিয়া । আজ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, এই ভ্যাকসিন কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম । তাঁর মেয়ের উপর ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছে । তিনি ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন পুতিন । আজ রুশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে পুতিন ভ্যাকসিনের বিষয়ে ঘোষণা করেন । জানান, ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং এটি নিরাপদ ।

কিন্তু রাশিয়ার এই ঘোষণাকে এখনই মান্যতা দিচ্ছে না বিজ্ঞান মহলের অনেকেই। দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথা । তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে সাধারণত কয়েক মাস সময় লেগে যায়। এবং হাজারের বেশি মানুষের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় । তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগেই ভ্যাকসিন ব্যবহারে তাড়াহুড়ো হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা ।

তবে এই কোরোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক । পুতিনের মেয়ের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথম দিনে তাপমাত্রা ছিল 100.4 ডিগ্রি ফারেনহাইট । এরপরই তাঁর শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় । পরের দিন তাপমাত্রা হয় 98.6 ডিগ্রি ফারেনহাইট । দ্বিতীয় দফায় প্রয়োগের পর তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধি হয়েছিল । কিন্তু তারপর সব সাধারণ হয়ে যায় । পুতিন জানিয়েছেন, এখন তাঁর মেয়ে ভালো আছেন । তাঁর শরীরে সর্বোচ্চ সংখ্যক অ্যান্টিবডি রয়েছে । তবে দুই মেয়ে মারিয়া ও ক্যাটেরিনার মধ্যে কার শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি পুতিন ।

রুশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন তাঁদের উপরে প্রয়োগ করা হবে প্রথম দফার ভ্যাকসিন । স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষকদের উপর প্রয়োগ করা হবে । উপ-প্রধানমন্ত্রী গোলিকোভা জানিয়েছেন, এই মাসে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকদের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে । দু'বছর পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন প্রতিরোধ ক্ষমতা দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক । তবে পুতিনের বক্তব্য, স্বেচ্ছায় ভ্যাকিসন নিতে পারবেন সবাই । সেপ্টেম্বর থেকে প্রচুর সংখ্যক ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে। অক্টোবরে যত দ্রুত সম্ভব এই ভ্যাকসিনের গণপ্রয়োগ শুরু হবে ।

বিশ্বে প্রথমবার COVID-19-এর ভ্যাকসিন আনতে চলেছে বলে আগেই দাবি করেছিল রাশিয়া । ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণায় সাহায্য করেছে রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড । এই ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছে গামালেয়া নামে মস্কোর এক গবেষণা সংস্থা ।

মে মাসের শুরুতে গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউশনের প্রধান অধ্যাপক আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ ভ্যাকসিনের পরীক্ষার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । 17 জুন 76 জনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয় এই ভ্যাকসিন । তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরে তরল আকারে ও অর্ধেকের শরীরে পাউডার আকারে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হয় ।

এই ভ্যাকসিন তৈরিতে যাঁরা অংশ নিয়েছেন প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান পুতিন । বলেন, "বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ । আমি জানি এটি কাজ করবে । প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে । সমস্তরকম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ভ্যাকসিনটি ।"

এই ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে নিজেকে প্রথম স্থানে প্রতিষ্ঠা করল রাশিয়া । কিন্তু রাশিয়ার এই ঘোষণাকে অনেকেই একইভাবে গ্রহণ করেনি । তাড়াহুড়োয় বিপদ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বৈজ্ঞানিকমহল । যদিও রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, সমস্তরকম ট্রায়াল উত্তীর্ণ করেছে ভ্যাকসিনটি । কিন্তু সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে । কয়েকজন বিশেষজ্ঞ রাশিয়ার এই ঘোষণাকে কটাক্ষ করেন । তাঁদের দাবি, ভ্যাকসিন সঠিক প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম এবং এর কোনও উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা রাশিয়াকে নিশ্চিত করতে হবে । বৈজ্ঞানিক তথ্য পেশ করেই রাশিয়া যেন তার দাবি নিশ্চিত করে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও সতর্ক করা হয়েছিল, সবরকম পরীক্ষামূলক প্রয়োগে উত্তীর্ণ হতে হবে ভ্যাকসিনকে ।

ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে রাশিয়ার ভ্যাকসিন ঘোষণার কথা গ্রহণ করেছেন । গতকালই তিনি জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন আসার পর জনসম্মুখে ভ্যাকসিন নেব আমি । আমার উপর প্রথম প্রয়োগ করুন । আমার কোনও অসুবিধা নেই ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ইতিমধ্যেই রুশ ভ্যাকসিনের তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে । WHO-র তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিশ্বে 100টি কোরোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে । যার মধ্যে চারটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চূড়ান্ত পর্যায়ে । অর্থাৎ তৃতীয় পর্যায়ে মানুষের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে ।

Last Updated : Aug 11, 2020, 5:27 PM IST

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.