ETV Bharat / international

MasterChef Australia : ফাইনালে পান্তাভাত-আলুসেদ্ধ ! তাক লাগালেন বাঙালি মহিলা - মাস্টারশেফে পান্তা ভাত

পান্তাভাত কিশ্বরের হাতে মাস্টারশেফের ট্রফি তুলে দিতে পারেনি ঠিকই কিন্তু তাঁর সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা ৷ আর মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকরাও কিশ্বরের হাতে তৈরি গ্রাম বাংলার মানুষের পছন্দের খাবারে মজে গিয়েছেন ৷

MasterChef Australia 13
MasterChef Australia 13
author img

By

Published : Jul 13, 2021, 8:43 PM IST

Updated : Jul 14, 2021, 1:41 PM IST

মেলবোর্ন, 13 জুলাই : মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতা বলে কথা ৷ তাবড় তাবড় প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে প্রথম তিনে উঠে এসেছিলেন ৷ ফাইনালে জেতার জন্য কোনও বিদেশি কঠিন ডিশ বানাবেন এটা ধরে নেওয়াই যায় ৷ কিন্তু সেদিকে ঝুঁকলেন না বাঙালি মহিলা কিশ্বর চৌধুরী ৷ বরং সবাইকে অবাক করে ফাইনালে তিনি আম বাঙালির প্রিয় পান্তা ভাত ও আলু সেদ্ধ রেঁধে ফেললেন ! অস্ট্রেলিয়া মাস্টারশেফ 13 সিজনের ফাইনালের এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায় ৷

পান্তাভাত কিশ্বরের হাতে মাস্টারশেফের ট্রফি তুলে দিতে পারেনি ঠিকই কিন্তু তাঁর সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা ৷ আর মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকরাও কিশ্বরের হাতে তৈরি গ্রাম বাংলার মানুষের পছন্দের খাবারে মজে গিয়েছেন ৷ 38 বছরের কিশ্বর ফাইনালে বিচারকদের সামনে পান্তাভাতকে স্মোকড রাইস ওয়াটার এবং আলু ভর্তা বলে পরিচয় দিয়েছেন ৷ সঙ্গে ছিল মাছভাজা ৷ বিচারকদের তিনি বলেন, "এই ধরনের খাবার আপনি রেস্তেরাঁয় পাবেন না ৷ তাই সামান্য ভয় লাগলেও ফাইনালে এমন একটা ডিশ তৈরি করে খুব ভাল লাগছে ৷"

মাস্টরশেফ অস্ট্রেলিয়ার তিন বিচারক মেলিসা লিয়ং, অ্যান্ডি অ্যালেন এবং জক জোনফ্রিলো কিশ্বরের রান্নায় মজে গিয়েছিলেন ৷ সাধারণ অথচ সুন্দর খাবার তৈরি করে বিচারকদের মন জয় করে নেন কিশ্বর ৷ ফাইনালের চমক দেওয়ার আগেই মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে বাঙালি খাবার তৈরি করেছিলেন কিশ্বর ৷ খিচুড়ি ও বেগুন ভর্তা খাইয়ে বিচারকদের বোল্ড আউট করে দিয়েছিলেন ৷ কিশ্বরের ফাইনাল ডিশ সম্পর্কে বিচারক মেলিসা লিয়ং বলেন, "এই সাধারণ ভাতের উপর জল দিয়ে খাবারের ইতিহাসটা যেমন শক্তিশালী তেমনই ফ্লেভারটাও দারুণ ৷" ডিশটি বিচারকদের কাছ থেকে পারফেক্ট 30 পেয়েছে ৷

কে এই কিশ্বর চৌধুরী ?

38 বছরের কিশ্বরের বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ রয়েছে ৷ তবে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরোটাই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ৷ সেখানে প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা রয়েছে কিশ্বরের ৷ বাড়ির জন্য খাবার তৈরি করা ছাড়া রান্নার তেমন কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না ৷ কিন্তু তাতেই মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া কিশ্বর এখন বহু মানুষের অনুপ্রেরণা ৷ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর জার্মানিতে ব্যবসা শুরু করেন কিশ্বর ৷ এরপর ব্যবসার কাজে ছয়টা বছর বাংলাদেশে ছিলেন ৷ 2015 সালে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান ৷

বাংলাদেশের সঙ্গে কিশ্বরের বন্ধনটা বোঝা গিয়েছে তাঁর রান্নার মধ্যে ৷ দুই ছেলেমেয়ের সন্তান কিশ্বর একবার হরিয়ালি চিকেন তৈরি করে চমকে দিয়েছিলেন বিচারকদের ৷ তৈরি করেছিলেন বাঙালি স্টাইলে তৈরি প্যাটিস ৷ কিশ্বরের ইচ্ছে বাংলাদেশি খাবার নিয়ে একটি কুক বুক তৈরি করা ৷ তবে ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন কিশ্বর ৷ বাড়ির গৃহিণী থেকে মাস্টারশেফের ফাইনালের মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছানোর জার্নিটা হাজারো মানুষের অনুপ্রেরণার কারণ ৷

মেলবোর্ন, 13 জুলাই : মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতা বলে কথা ৷ তাবড় তাবড় প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে প্রথম তিনে উঠে এসেছিলেন ৷ ফাইনালে জেতার জন্য কোনও বিদেশি কঠিন ডিশ বানাবেন এটা ধরে নেওয়াই যায় ৷ কিন্তু সেদিকে ঝুঁকলেন না বাঙালি মহিলা কিশ্বর চৌধুরী ৷ বরং সবাইকে অবাক করে ফাইনালে তিনি আম বাঙালির প্রিয় পান্তা ভাত ও আলু সেদ্ধ রেঁধে ফেললেন ! অস্ট্রেলিয়া মাস্টারশেফ 13 সিজনের ফাইনালের এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায় ৷

পান্তাভাত কিশ্বরের হাতে মাস্টারশেফের ট্রফি তুলে দিতে পারেনি ঠিকই কিন্তু তাঁর সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা ৷ আর মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকরাও কিশ্বরের হাতে তৈরি গ্রাম বাংলার মানুষের পছন্দের খাবারে মজে গিয়েছেন ৷ 38 বছরের কিশ্বর ফাইনালে বিচারকদের সামনে পান্তাভাতকে স্মোকড রাইস ওয়াটার এবং আলু ভর্তা বলে পরিচয় দিয়েছেন ৷ সঙ্গে ছিল মাছভাজা ৷ বিচারকদের তিনি বলেন, "এই ধরনের খাবার আপনি রেস্তেরাঁয় পাবেন না ৷ তাই সামান্য ভয় লাগলেও ফাইনালে এমন একটা ডিশ তৈরি করে খুব ভাল লাগছে ৷"

মাস্টরশেফ অস্ট্রেলিয়ার তিন বিচারক মেলিসা লিয়ং, অ্যান্ডি অ্যালেন এবং জক জোনফ্রিলো কিশ্বরের রান্নায় মজে গিয়েছিলেন ৷ সাধারণ অথচ সুন্দর খাবার তৈরি করে বিচারকদের মন জয় করে নেন কিশ্বর ৷ ফাইনালের চমক দেওয়ার আগেই মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে বাঙালি খাবার তৈরি করেছিলেন কিশ্বর ৷ খিচুড়ি ও বেগুন ভর্তা খাইয়ে বিচারকদের বোল্ড আউট করে দিয়েছিলেন ৷ কিশ্বরের ফাইনাল ডিশ সম্পর্কে বিচারক মেলিসা লিয়ং বলেন, "এই সাধারণ ভাতের উপর জল দিয়ে খাবারের ইতিহাসটা যেমন শক্তিশালী তেমনই ফ্লেভারটাও দারুণ ৷" ডিশটি বিচারকদের কাছ থেকে পারফেক্ট 30 পেয়েছে ৷

কে এই কিশ্বর চৌধুরী ?

38 বছরের কিশ্বরের বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ রয়েছে ৷ তবে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুরোটাই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ৷ সেখানে প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা রয়েছে কিশ্বরের ৷ বাড়ির জন্য খাবার তৈরি করা ছাড়া রান্নার তেমন কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না ৷ কিন্তু তাতেই মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া কিশ্বর এখন বহু মানুষের অনুপ্রেরণা ৷ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর জার্মানিতে ব্যবসা শুরু করেন কিশ্বর ৷ এরপর ব্যবসার কাজে ছয়টা বছর বাংলাদেশে ছিলেন ৷ 2015 সালে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান ৷

বাংলাদেশের সঙ্গে কিশ্বরের বন্ধনটা বোঝা গিয়েছে তাঁর রান্নার মধ্যে ৷ দুই ছেলেমেয়ের সন্তান কিশ্বর একবার হরিয়ালি চিকেন তৈরি করে চমকে দিয়েছিলেন বিচারকদের ৷ তৈরি করেছিলেন বাঙালি স্টাইলে তৈরি প্যাটিস ৷ কিশ্বরের ইচ্ছে বাংলাদেশি খাবার নিয়ে একটি কুক বুক তৈরি করা ৷ তবে ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন কিশ্বর ৷ বাড়ির গৃহিণী থেকে মাস্টারশেফের ফাইনালের মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছানোর জার্নিটা হাজারো মানুষের অনুপ্রেরণার কারণ ৷

Last Updated : Jul 14, 2021, 1:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.