প্যারিস, 9 জুলাই : প্যানডেমিকের জেরে বিশ্বে বেকারত্বের হার বাড়বে, আশঙ্কা আগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা । কিন্তু, এই কর্মসংস্থানের অভাব ঠিক কতটা ভয়ানক হতে চলেছে ? সম্প্রতি এক রিপোর্ট জানাচ্ছে, কর্মসংস্থানের সংকট সামাজিক সংকটে পরিণত হতে চলেছে । কর্মসংস্থানের অভাব ইতিমধ্যেই অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা 2008-এর পরিস্থিতির থেকে অনেকাংশে খারাপ ।
লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ । একাধিক সমীক্ষা ও রিপোর্ট জানিয়েছে, এক কোটির বেশি মানুষ লকডাউনে কর্মহীন হয়েছেন । প্রকাশ্যে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা । তাঁরা কর্মহীন । তাঁদের পুনরায় কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন রাজ্যের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । কিন্তু সম্প্রতি এক রিপোর্ট জানাচ্ছে, একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মহিলা এবং যুবসমাজও । অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (OECD) প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, লকডাউনে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহিলা এবং যুবসমাজ । এবং যাঁদের উপার্জন কম, তাঁদের উপরেও একইভাবে প্রভাব ফেলেছে লকডাউন ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, 2020-র মে-তে বেকারত্বের হার 8.4 শতাংশে পৌঁছেছিল । এপ্রিলে সেই হার ছিল 8.5 শতাংশ । এক দশকে সর্বাধিক । OECD-এর এলাকায় মে-তে বেকারের সংখ্যা দাঁড়ায় 54.5 মিলিয়ন ।
এক দিকে দেখা গিয়েছে, অনেক মানুষ কাজে ফিরে গিয়েছেন । আবার একইসঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত ছবিও দেখেছে দেশ । সাময়িকভাবে যে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছিল, তাঁদের আর কাজে ফেরানো হয়নি । প্রায় প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে যে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মীছাঁটাই চলছে ।
OECD-র তরফে জানানো হয়েছে, "COVID-19 সংকট মোকাবিলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ করা হয়েছে । কিন্তু এই মুহূর্তে প্রত্যেকটি দেশেরই যথাসম্ভব চেষ্টা করা উচিত । যাতে এই বেকারত্বের হার বাড়তে না থাকে । নয়তো এই কর্মসংস্থানের সংকট সামাজিক সংকটে পরিণত হতে চলেছে । "
পুরুষদের থেকেও মহিলাদের উপর ক্ষতির প্রভাব বেশি । বেশিরভাগ সংস্থার রিপোর্টে এই বিষয়টিই বারবার উঠে আসছে । এছাড়াও অসংগঠিত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও একইভাবে প্রভাবিত । কাজ হারিয়েছেন সেল্ফ-এমপ্লয়েডরাও ।