জেনেভা, 26 জানুয়ারি: কোরোনা টিকার সরবরাহ নিয়ে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলির মধ্য়ে ফারাক ক্রমশ প্রকট হচ্ছে৷ যা কখনই কাম্য় নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা, হু৷ টিকার ন্যায্য় বিলিবণ্টনের উপর জোর দিচ্ছে তারা৷
হু-প্রধান টেদ্রোস আধানম ঘেব্রেসাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ধনী রাষ্ট্রগুলি দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে৷ আর দরিদ্র দেশগুলি বসে বসে তা দেখছে৷ সাহায্য়ের অপেক্ষা করছে৷’’
হু-এর তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরোনা টিকার সরবরাহ-সহ অন্য়ান্য় স্বাস্থ্য পরিষেবা ও উন্নয়নের জন্য় চলতি বছর 26 বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন৷
পরিস্থিতি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক, তার বোঝা গিয়েছে ঘেব্রেসাসের কথাতেই৷ তিনি বলেন,‘‘যত দিন যাচ্ছে, বিশ্বের ধনী ও দরিদ্র দেশগুলির মধ্য়ে টিকাকরণ নিয়ে ফারাক আরও বাড়ছে৷’’ ঘেব্রেসাসের মতে, দ্রুত টিকাকরণের ফলে সংশ্লিষ্ট দেশে তার একটা স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে ঠিকই, তবে টিকার ন্য়ায্য় বণ্টনে সব দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে৷ এরজন্য় দীর্ঘমেয়াদী ব্য়বস্থাপনা দরকার৷’’
আরও পড়ুন: ভ্য়াকসিনের জন্য় মোদিকে "নমস্কার", ভারতকে "ধন্য়বাদ" ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্টের
হু-এর হাতে আসা তথ্য় বলছে, টিকা তৈরির দৌড়ে সামিল হয়েছে 100টি দেশের 45 মিলিয়নেরও বেশি সংস্থা৷ এরফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে 9.3 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্য়বসা হবে৷ যার অর্ধেকটাই থাকবে ধনী দেশগুলির দখলে৷ রিসার্চ ফাউন্ডেশন অফ দ্য় ইন্টারন্য়াশনাল চেম্বার অফ কমার্সের রিপোর্ট অন্তত এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছে৷ আর তাতেই চিন্তা বেড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার৷ কারণ, কোরোনার টিকাকরণকে হাতিয়ার করে আদতে ধনী দেশগুলি আরও ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলি আরও দরিদ্র হবে৷