ETV Bharat / international

ESA on Europe Russia Mars Mission : ইউক্রেন আক্রমণের ফল, স্থগিত রাশিয়ার মঙ্গল অভিযান

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের আজ ষষ্ঠ দিন ৷ প্রতিদিনই ইউরোপ নানা ভাবে থামাতে চাইছে পুতিনকে ৷ কিন্তু তিনি অটল ৷ এর জেরে এবার মঙ্গলে যাওয়া খারিজ রাশিয়ার (ESA on Europe Russia Mars Mission) ৷

Russia Europe Mars Mission 2022
রাশিয়া মঙ্গল অভিযানে যাবে কি
author img

By

Published : Mar 1, 2022, 2:31 PM IST

বার্লিন, 1 মার্চ : রাশিয়ার মঙ্গল অভিযানের কথা থাকলেও, তা বোধহয় হবে না ৷ আজ একথা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ ৷ 24 ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে পুতিন সরকার ৷ বিশ্বজুড়ে নানা ভাবে পুতিনকে শায়েস্তা করার চেষ্টা চলছে ৷ কিন্তু তিনি নাছোড় ৷ এর মধ্যে ইএসএ জানাল, ইউরোপ-রাশিয়া এক্সোমার্স রোভার মিশন বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম (Europe-Russian Mars mission 2022 is now very unlikely, says European Space Agency) ৷

22 সদস্যের আধিকারিকরা বৈঠক করে রাশিয়ার রোসকসমল স্পেস এজেন্সির (Russia's Roscosmos space agency) সঙ্গে মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ 2020-তে এক্সোমার্স রোভার মিশন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের জন্য তা বন্ধ হয়ে যায় ৷ 2022-এর সেপ্টেম্বরে কাজাকাস্তানের বৈকানুর মহাকাশবন্দর (Baikonur spaceport in Kazakhstan) থেকে রাশিয়ান প্রোটোন রকেটের মাধ্যমে এই রোভারকে পাঠানোর কথা ছিল ৷

এটাই লালগ্রহে ইউরোপের প্রথম রোভার যান (Europe-Russia ExoMars rover mission) ৷ সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই অভিযানের সিদ্ধান্ত ৷ 2016 সালে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি রোভার পাঠানো হলেও, তা মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে ধ্বংস হয়ে যায় ৷

আরও পড়ুন : Russia-Ukraine Crisis : ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য ইউক্রেন ? আবদেনপত্রে সই জেলেনস্কির

শনিবার রোসকসমস জানিয়েছে, ফ্রেঞ্চ গিনিয়ার কিউরোয় (Kourou) ইউরোপিরয়ান স্পেসপোর্ট থেকে তাদের বহু কর্মীদের ফিরিয়ে নিচ্ছে ৷ এর আগে রাশিয়ান রকেটের মাধ্য়মে বহু ইউরোপিয় স্যাটেলাইট মহাকাশে গিয়েছে এবং এবছরে আরও স্যাটেলাইট যাওয়ার কথা রয়েছে ৷

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ মাসের শুরুতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইউরোপের স্পেস নীতিকে জোরদার করতে হবে ৷ ইউরোপের নিজস্ব রকেট রয়েছে ৷ এর মাধ্যমে কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠানো সম্ভব ৷ তাও মহাকাশচারীদের পাঠাতে ইউরোপ এখনও রাশিয়া এবং আমেরিকার অংশীদারি সংস্থাগুলোর উপর নির্ভর করে ৷

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার (NASA Head) প্রধান জানিয়েছেন, তারা এখনও আগের মতোই রাশিয়ার সাহায্য নিয়েই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন পরিচালনা করছে ৷ আমেরিকা এবং রাশিয়া, স্পেস স্টেশনগুলির প্রধান পরিচালক দেশ ৷ দুই দেশের সঙ্গে পাঁচটি স্পেস এজেন্সি যুক্ত রয়েছে ৷ চারটি আমেরিকার, 2টি রাশিয়ার এবং একটি জার্মানের স্টেশন রয়েছে ৷

2011 সালে নাসার একাধিক শাটল অর্থাৎ মহাকাশে যাতায়াতের বাহন অবসরগ্রহণ করে ৷ 2020-তে স্পেসএক্স-এর প্রথম যাত্রীবাহী ফ্লাইট রওনা দেয় ৷ এছাড়া মহাকাশে যাওয়া এবং সেখান থেকে এই গ্রহে ফেরার একমাত্র উপায় রাশিয়ার ক্যাপসুল ৷

আরও পড়ুন : Vacuum Bomb in Russia Ukraine War : ইউক্রেনের যুদ্ধে সাংঘাতিক ভ্যাকুয়াম বোমা ছুড়ছে রাশিয়া

বার্লিন, 1 মার্চ : রাশিয়ার মঙ্গল অভিযানের কথা থাকলেও, তা বোধহয় হবে না ৷ আজ একথা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ ৷ 24 ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে পুতিন সরকার ৷ বিশ্বজুড়ে নানা ভাবে পুতিনকে শায়েস্তা করার চেষ্টা চলছে ৷ কিন্তু তিনি নাছোড় ৷ এর মধ্যে ইএসএ জানাল, ইউরোপ-রাশিয়া এক্সোমার্স রোভার মিশন বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম (Europe-Russian Mars mission 2022 is now very unlikely, says European Space Agency) ৷

22 সদস্যের আধিকারিকরা বৈঠক করে রাশিয়ার রোসকসমল স্পেস এজেন্সির (Russia's Roscosmos space agency) সঙ্গে মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ 2020-তে এক্সোমার্স রোভার মিশন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের জন্য তা বন্ধ হয়ে যায় ৷ 2022-এর সেপ্টেম্বরে কাজাকাস্তানের বৈকানুর মহাকাশবন্দর (Baikonur spaceport in Kazakhstan) থেকে রাশিয়ান প্রোটোন রকেটের মাধ্যমে এই রোভারকে পাঠানোর কথা ছিল ৷

এটাই লালগ্রহে ইউরোপের প্রথম রোভার যান (Europe-Russia ExoMars rover mission) ৷ সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই অভিযানের সিদ্ধান্ত ৷ 2016 সালে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি রোভার পাঠানো হলেও, তা মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে ধ্বংস হয়ে যায় ৷

আরও পড়ুন : Russia-Ukraine Crisis : ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য ইউক্রেন ? আবদেনপত্রে সই জেলেনস্কির

শনিবার রোসকসমস জানিয়েছে, ফ্রেঞ্চ গিনিয়ার কিউরোয় (Kourou) ইউরোপিরয়ান স্পেসপোর্ট থেকে তাদের বহু কর্মীদের ফিরিয়ে নিচ্ছে ৷ এর আগে রাশিয়ান রকেটের মাধ্য়মে বহু ইউরোপিয় স্যাটেলাইট মহাকাশে গিয়েছে এবং এবছরে আরও স্যাটেলাইট যাওয়ার কথা রয়েছে ৷

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ মাসের শুরুতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইউরোপের স্পেস নীতিকে জোরদার করতে হবে ৷ ইউরোপের নিজস্ব রকেট রয়েছে ৷ এর মাধ্যমে কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠানো সম্ভব ৷ তাও মহাকাশচারীদের পাঠাতে ইউরোপ এখনও রাশিয়া এবং আমেরিকার অংশীদারি সংস্থাগুলোর উপর নির্ভর করে ৷

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার (NASA Head) প্রধান জানিয়েছেন, তারা এখনও আগের মতোই রাশিয়ার সাহায্য নিয়েই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন পরিচালনা করছে ৷ আমেরিকা এবং রাশিয়া, স্পেস স্টেশনগুলির প্রধান পরিচালক দেশ ৷ দুই দেশের সঙ্গে পাঁচটি স্পেস এজেন্সি যুক্ত রয়েছে ৷ চারটি আমেরিকার, 2টি রাশিয়ার এবং একটি জার্মানের স্টেশন রয়েছে ৷

2011 সালে নাসার একাধিক শাটল অর্থাৎ মহাকাশে যাতায়াতের বাহন অবসরগ্রহণ করে ৷ 2020-তে স্পেসএক্স-এর প্রথম যাত্রীবাহী ফ্লাইট রওনা দেয় ৷ এছাড়া মহাকাশে যাওয়া এবং সেখান থেকে এই গ্রহে ফেরার একমাত্র উপায় রাশিয়ার ক্যাপসুল ৷

আরও পড়ুন : Vacuum Bomb in Russia Ukraine War : ইউক্রেনের যুদ্ধে সাংঘাতিক ভ্যাকুয়াম বোমা ছুড়ছে রাশিয়া

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.