ইসলামাবাদ, 1 নভেম্বর : ভারত থেকে করতারপুরে যাওয়া পুণ্যার্থীদের জন্য দু'টি ছাড়ের ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ৷ বিশ্বের কাছে বর্তমানে কিছুটা হলেও কোণঠাসা পাকিস্তান ৷ সে কারণেই কি ভারতীয় পুণ্যার্থীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত ইমরানের ? প্রশ্ন উঠছে বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে ৷
আজ সকালে টুইট করে একথা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি লেখেন, 'ভারত থেকে করতারপুরে আসা শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য আমি দু'টি প্রয়োজনীয় ছাড় দিয়েছি ৷ 1) তাঁদের পাসপোর্টের দরকার পড়বে না - শুধু একটি বৈধ পরিচয় পত্র থাকলেই হবে ৷ 2) 10 দিন আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করতে হবে না ৷ এছাড়াও, উদ্বোধনের দিন ও গুরু নানকের 550 তম জন্মদিনে কোনও টাকা নেওয়া হবে না, বলেও উল্লেখ রয়েছে টুইটে ৷
-
For Sikhs coming for pilgrimage to Kartarpur from India, I have waived off 2 requirements: i) they wont need a passport - just a valid ID; ii) they no longer have to register 10 days in advance. Also, no fee will be charged on day of inauguration & on Guruji's 550th birthday
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) November 1, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">For Sikhs coming for pilgrimage to Kartarpur from India, I have waived off 2 requirements: i) they wont need a passport - just a valid ID; ii) they no longer have to register 10 days in advance. Also, no fee will be charged on day of inauguration & on Guruji's 550th birthday
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) November 1, 2019For Sikhs coming for pilgrimage to Kartarpur from India, I have waived off 2 requirements: i) they wont need a passport - just a valid ID; ii) they no longer have to register 10 days in advance. Also, no fee will be charged on day of inauguration & on Guruji's 550th birthday
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) November 1, 2019
করতারপুর সাহিব গুরুদ্বার পাকিস্তানের অন্তর্গত পঞ্জাবের নারোয়াল জেলায় ৷ এটি ভারত সীমান্ত থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৷ এখানে গুরু নানক তাঁর জীবনের 18 বছর কাটিয়েছেন ৷
করতারপুর করিডরের উদ্বোধন হবে 9 নভেম্বর ৷ এই উদ্বোধনে কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইমরান খান ৷ তাঁর এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন সিধু ৷ তিনি বলেন, "করতারপুর করিডরের ঐতিহাসিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ ৷"
এই প্রসঙ্গে, শিরোমণি অকালি দল (SAD)-র সভাপতি জানান, 20 ডলার করতারপুর করিডরে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি ৷ এই করিডর তীর্থযাত্রীদের জন্য ৷ এটাকে ইমরান খান যেন তাঁর দেশের টাকা রোজগারের পথ হিসেবে ব্যবহার না করে ৷ এই করিডরকে দুই দেশের মধ্যে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে দেখা উচিত ৷