ETV Bharat / international

দক্ষ হাতে প্যানডেমিক সামলাচ্ছে নিউজিল্যান্ড - কোরোনা ভাইরাস

নিউজিল্যান্ডে প্রথম COVID-19 কেসের কথা সামনে আসে 28 ফেব্রুয়ারি । ইরান থেকে আসা এক মহিলার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে । দ্রুত পদক্ষেপ নেন জেসিন্ডা । বিদেশ থেকে আসা সমস্ত পর্যটকদের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কয়েকদিন ধরে যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি ।

image
জেসিন্ডা আর্ডেনের
author img

By

Published : Apr 19, 2020, 8:56 PM IST

যখন সুপার পাওয়াররা হোঁচট খাচ্ছে, তখন নিউজিল্যান্ড COVID-19 মোকাবিলায় সাফল্য পেযেছে, যার পুরো কৃতিত্বটাই প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেনের । তাঁর যোগ্যতা ও দূরদৃষ্টি মহামারীর হাত থেকে দেশকে বাঁচিয়েছে । একদিকে তিনি কঠোরভাবে লকডাউন বলবৎ করছেন, অন্যদিকে নাগরিকদের যত্ন নিচ্ছেন ।

নিউজিল্যান্ডে প্রথম COVID-19 কেসের কথা সামনে আসে 28 ফেব্রুয়ারি । ইরান থেকে আসা এক মহিলার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে । দ্রুত পদক্ষেপ করেন জেসিন্ডা । বিদেশ থেকে আসা সমস্ত পর্যটকদের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কয়েকদিন ধরে যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি । সেই মতো আধিকারিকরা আক্রান্তদের খুঁজে বার করতে থাকেন । ফলস্বরূপ, মহামারীর ডালপালা ছড়ানোর আগেই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় সরকার ।

সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও, নোভেল কোরোনাভাইরাস উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে । আরও পদক্ষেপ নিয়ে, জেসিন্ডা নাগরিকদের বলেন, 15 মার্চ থেকে টানা 14 দিন ঘরের মধ্যে থাকতে । এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই, 26 মার্চ তিনি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে দেন । জনতা তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে । তাঁরা ঘরবন্দী থাকার নিয়মগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করে । তারপর থেকেই সংক্রমিতের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কমেছে । আর্ডেন মহামারীর প্রতিটা পর্যায় খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছেন, এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করছেন । ভাইরাস হটস্পটগুলোকে সরকারকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে ভাগ করেছে এবং সেইসব এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।

তিনি খেয়াল রেখেছিলেন, যাতে লকডাউনের সময় সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বজায় থাকে । নাগরিকদের সহযোগিতার কারণেই নিউজিল্যান্ড মহামারীতে রাশ টানতে পেরেছে । তারা বিপুল সংখ্যায় টেস্ট করছে, এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটাচ্ছে । নিউজিল্যান্ডে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা 1349, যার মধ্যে 471 জন পুরোপুরি সেরে উঠেছেন । সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মাত্র 4 জনের । ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হারও কম । সংক্রমণ রুখতে জেসিন্ডা যে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগুলো নিয়েছিলেন, তার ভাল ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে ।

সাম্প্রতিক অতীতে, কোলে শিশুসন্তানকে নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনেরাল অ্যাসেম্বলির বৈঠকে গিয়ে ইতিহাস তৈরি করেন জেসিন্ডা । এখনকার গুরুতর পরিস্থিতিতে, তিনি মায়ের মতোই তাঁর নাগরিকদের দেখাশোনা করছেন । নাগরিকদের কোনও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অভাবের মুখে পড়তে হচ্ছে না । এই মহামারীতে শিশুদের ব্যস্ত রাখার উপায় হিসেবে, শিশুসাহিত্যে উৎসাহ দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকার । এমনকী জেসিন্ডা নিজেও কয়েকটি কমিক ও গল্পের বইয়ের কথা তুলে ধরেছেন ।

যখন সুপার পাওয়াররা হোঁচট খাচ্ছে, তখন নিউজিল্যান্ড COVID-19 মোকাবিলায় সাফল্য পেযেছে, যার পুরো কৃতিত্বটাই প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেনের । তাঁর যোগ্যতা ও দূরদৃষ্টি মহামারীর হাত থেকে দেশকে বাঁচিয়েছে । একদিকে তিনি কঠোরভাবে লকডাউন বলবৎ করছেন, অন্যদিকে নাগরিকদের যত্ন নিচ্ছেন ।

নিউজিল্যান্ডে প্রথম COVID-19 কেসের কথা সামনে আসে 28 ফেব্রুয়ারি । ইরান থেকে আসা এক মহিলার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে । দ্রুত পদক্ষেপ করেন জেসিন্ডা । বিদেশ থেকে আসা সমস্ত পর্যটকদের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কয়েকদিন ধরে যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি । সেই মতো আধিকারিকরা আক্রান্তদের খুঁজে বার করতে থাকেন । ফলস্বরূপ, মহামারীর ডালপালা ছড়ানোর আগেই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় সরকার ।

সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও, নোভেল কোরোনাভাইরাস উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে । আরও পদক্ষেপ নিয়ে, জেসিন্ডা নাগরিকদের বলেন, 15 মার্চ থেকে টানা 14 দিন ঘরের মধ্যে থাকতে । এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই, 26 মার্চ তিনি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে দেন । জনতা তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে । তাঁরা ঘরবন্দী থাকার নিয়মগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করে । তারপর থেকেই সংক্রমিতের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কমেছে । আর্ডেন মহামারীর প্রতিটা পর্যায় খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছেন, এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করছেন । ভাইরাস হটস্পটগুলোকে সরকারকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে ভাগ করেছে এবং সেইসব এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।

তিনি খেয়াল রেখেছিলেন, যাতে লকডাউনের সময় সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বজায় থাকে । নাগরিকদের সহযোগিতার কারণেই নিউজিল্যান্ড মহামারীতে রাশ টানতে পেরেছে । তারা বিপুল সংখ্যায় টেস্ট করছে, এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটাচ্ছে । নিউজিল্যান্ডে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা 1349, যার মধ্যে 471 জন পুরোপুরি সেরে উঠেছেন । সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মাত্র 4 জনের । ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হারও কম । সংক্রমণ রুখতে জেসিন্ডা যে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগুলো নিয়েছিলেন, তার ভাল ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে ।

সাম্প্রতিক অতীতে, কোলে শিশুসন্তানকে নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনেরাল অ্যাসেম্বলির বৈঠকে গিয়ে ইতিহাস তৈরি করেন জেসিন্ডা । এখনকার গুরুতর পরিস্থিতিতে, তিনি মায়ের মতোই তাঁর নাগরিকদের দেখাশোনা করছেন । নাগরিকদের কোনও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অভাবের মুখে পড়তে হচ্ছে না । এই মহামারীতে শিশুদের ব্যস্ত রাখার উপায় হিসেবে, শিশুসাহিত্যে উৎসাহ দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকার । এমনকী জেসিন্ডা নিজেও কয়েকটি কমিক ও গল্পের বইয়ের কথা তুলে ধরেছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.