সিওল, 8 জানুয়ারি: বিশ্বের অন্য দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো করতে হবে। এমনটাই মনে করছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। ওই দেশের একটি বড় রাজনৈতিক সম্মেলনে এই কথা বলেছেন। ওই দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে এটা জানানো হয়েছে। তবে কীভাবে বাকি বিশ্বের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নতিসাধন করা হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি কিম।
কিমকে একনায়ক বলেই চেনে গোটা বিশ্ব। গত কয়েক বছরে তিনি শুধু বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বিশ্বের অনান্য দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কও খুব একটা ভালো নয়। ওই দেশ নিয়ে নানা অভিযোগও শোনা যায়। তার পর হঠাৎ করে বাকি বিশ্বের সঙ্গে কেন ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে চাইছেন কিম জং উন? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে উত্তর কোরিয়ার আর্থিক পরিস্থিতি একেবারেই ভালো নয়। সেই পরিস্থিতিতে কাটিয়ে ওঠার জন্য বাকি বিশ্বের সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের প্রয়োজন। সেই কারণেই কিম জং উন এমন একটি বার্তা দিয়েছেন।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম উত্তর কোরিয়ায় শাসকল দল পার্টি কংগ্রেস চলছে। বৃহস্পতিবার ছিল তৃতীয় দিন। সেখানেই কিম ঘোষণা করেন যে বিদেশ সম্পর্ক বাড়াতে ও ভালো করতে তাঁর দলের বিস্তারিত পরিকল্পনা করা উচিত। সময়ের দাবি মেনে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার বিষয়েও সওয়াল করেন তিনি। এর আগে সম্মেলনের প্রথম কিম দেশের পূর্ববর্তী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন পরিকল্পনা তৈরির কথাও বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোরোনার খবর করে চার বছর জেল চিনা সাংবাদিকের
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, খুব শীঘ্রই সিওলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার চেষ্টা করতে পারে পিয়ংইয়ং। তার পর তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প কিমের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসলেও পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিমের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তাঁর অনীহার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়ে রেখেছেন।