ETV Bharat / international

নেপালের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে স্থান কালাপানির, "অযৌক্তিক দাবি" বলে প্রতিক্রিয়া ভারতের - নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের উদ্বোধন নেপালের

নেপালে উদ্বোধন হল নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের । তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কালাপানিকে । আর তা নিয়েই দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ।

India and Nepal
ভারত ও নেপাল
author img

By

Published : May 21, 2020, 3:54 PM IST

দিল্লি, 21 মে : নেপালের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে স্থান দেওয়া হয়েছে কালাপানি, লিপুলেক ও লিমপিয়াধুরাকে । নেপালের এই সিদ্ধান্তকে একতরফা ও অযৌক্তিক দাবি করে ভারতের তরফে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করার জন্য নেপাল সরকারকে আবেদন করেছে ভারত ।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে নেপাল খুব ভালো করে জানে । এই ধরনের অযৌক্তিক মানচিত্রগত দাবি থেকে বিরত থাকতে আমরা নেপাল সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি । পাশাপাশি ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানোর অনুরোধ করছি । সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধানে কূটনৈতিক আলোচনার জন্য নেপালের নেতৃত্ব ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে বলে আশা করছি ।"

কিছুদিন আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারত থেকে চিন সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়কের উদ্বোধন করেন । কিন্তু কাঠমান্ডুর তরফে জানানো হয়, এই সড়ক এমন কিছু অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে যা নিয়ে এখনও নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক চলছে । এরপরেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি অলি মঙ্গলবার সাংসদে ঘোষণা করেন, তাদের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে সরকার লিপুলেখ, লিমপিয়াধুরা ও কালাপানিকে সংযুক্ত করবে ।

লিপুলেক পাস কালাপানির কাছে অবস্থিত । এই সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে । কারণ ভারত ও নেপাল দুই দেশেরই দাবি, কালাপানি তাদের সীমানার অন্তর্গত । ভারতের মতে, কালাপানি উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলার অঞ্চল । আর নেপালের মতে, কালাপানি ধরচুলা জেলার অন্তর্গত ।

বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে নেপাল তাদের এই নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রটির উদ্বোধন করে । সেই মানচিত্রে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরার সংযুক্তির বিষয়টি ঘোষণা করেন নেপালের মন্ত্রী পদ্মাকুমারী আরিয়াল । 1816 সালে যে সুগৌলি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে এই নতুন মানচিত্র আঁকা হয়েছে ।

মানচিত্রটি উদ্বোধন করার সময় পদ্মকুমারী বলেন, "নেপালের মানুষের কাছে এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত । নেপালের আত্মসম্মানের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা করবে না সরকার । নেপালের তরফে এই মানচিত্র প্রকাশ করা হবে । পাশাপাশি স্কুলের পাঠ্যবইয়ের অংশ করা হবে ।"

নেপালের এই মানচিত্রকে ঘিরে ইতিমধ্যে দিল্লি ও কাঠমান্ডুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে । প্রাক্তন ভারতীয় দূত রঞ্জিত রাই বলেন, "বর্ধিত সীমানাযুক্ত নেপালের এই নতুন মানচিত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকে আরও জটিল করে তুলেছে । একইসঙ্গে এই বিষয়টিকেও জটিল করে তুলেছে । "

গত বছর 2 নভেম্বর ভারতের মানচিত্রে কালাপানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় । তারপর থেকেই নেপালে এই সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যার সৃষ্টি হয় । নেপালের যুবকরা ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন ।

দিল্লি, 21 মে : নেপালের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে স্থান দেওয়া হয়েছে কালাপানি, লিপুলেক ও লিমপিয়াধুরাকে । নেপালের এই সিদ্ধান্তকে একতরফা ও অযৌক্তিক দাবি করে ভারতের তরফে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করার জন্য নেপাল সরকারকে আবেদন করেছে ভারত ।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, "এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে নেপাল খুব ভালো করে জানে । এই ধরনের অযৌক্তিক মানচিত্রগত দাবি থেকে বিরত থাকতে আমরা নেপাল সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি । পাশাপাশি ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানোর অনুরোধ করছি । সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধানে কূটনৈতিক আলোচনার জন্য নেপালের নেতৃত্ব ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে বলে আশা করছি ।"

কিছুদিন আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারত থেকে চিন সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়কের উদ্বোধন করেন । কিন্তু কাঠমান্ডুর তরফে জানানো হয়, এই সড়ক এমন কিছু অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে যা নিয়ে এখনও নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক চলছে । এরপরেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি অলি মঙ্গলবার সাংসদে ঘোষণা করেন, তাদের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে সরকার লিপুলেখ, লিমপিয়াধুরা ও কালাপানিকে সংযুক্ত করবে ।

লিপুলেক পাস কালাপানির কাছে অবস্থিত । এই সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে । কারণ ভারত ও নেপাল দুই দেশেরই দাবি, কালাপানি তাদের সীমানার অন্তর্গত । ভারতের মতে, কালাপানি উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলার অঞ্চল । আর নেপালের মতে, কালাপানি ধরচুলা জেলার অন্তর্গত ।

বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে নেপাল তাদের এই নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রটির উদ্বোধন করে । সেই মানচিত্রে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরার সংযুক্তির বিষয়টি ঘোষণা করেন নেপালের মন্ত্রী পদ্মাকুমারী আরিয়াল । 1816 সালে যে সুগৌলি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে এই নতুন মানচিত্র আঁকা হয়েছে ।

মানচিত্রটি উদ্বোধন করার সময় পদ্মকুমারী বলেন, "নেপালের মানুষের কাছে এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত । নেপালের আত্মসম্মানের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা করবে না সরকার । নেপালের তরফে এই মানচিত্র প্রকাশ করা হবে । পাশাপাশি স্কুলের পাঠ্যবইয়ের অংশ করা হবে ।"

নেপালের এই মানচিত্রকে ঘিরে ইতিমধ্যে দিল্লি ও কাঠমান্ডুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে । প্রাক্তন ভারতীয় দূত রঞ্জিত রাই বলেন, "বর্ধিত সীমানাযুক্ত নেপালের এই নতুন মানচিত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকে আরও জটিল করে তুলেছে । একইসঙ্গে এই বিষয়টিকেও জটিল করে তুলেছে । "

গত বছর 2 নভেম্বর ভারতের মানচিত্রে কালাপানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় । তারপর থেকেই নেপালে এই সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যার সৃষ্টি হয় । নেপালের যুবকরা ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.