সস্তার পণ্য সবসময়ই মানুষকে আকর্ষণ করে ৷ আর এই কারণেই চিনা সামগ্রীর চাহিদা এত বেশি । কিন্তু, চিনা পণ্যগুলি মানুষের শরীরে একাধিক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে বলে গবেষণায় জানা গেছে ।
বাজারে চিনে তৈরি বহু ধরনের খেলনা পাওয়া যায় ৷ সেগুলি শিশুদের আকর্ষণও করে ৷ কিন্তু, আপনি কি জানেন এই খেলনাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে বিপজ্জনক ক্যাডমিয়াম থাকে ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মানুষের শ্বাসযন্ত্রে, হাড়ে ও কিডনিতে ক্যাডমিয়ামের বিষাক্ত প্রভাব পড়ে ৷ চিনা খেলনায় থাকা রাসায়নিকের প্রভাবে ক্যানসারও হতে পারে ৷
কোয়ালিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে দিল্লি ও NCR-র বাজারে খেলনার উপর একটি পরীক্ষামূলক সমীক্ষা করা হয় ৷ আমদানি হওয়া খেলনাগুলির 67 শতাংশ এই পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে ৷
বাজারে কম দামে পাওয়া যাওয়ার কারণে কিশোরীদের মধ্যে কয়েকটি প্রসাধন সামগ্রীর চাহিদা খুব বেশি ৷ কিন্তু সেগুলি নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ এই সমস্ত সামগ্রীর মেয়াদ 12 মাস বা ছয় মাসের মধ্যেই উত্তীর্ণ হয়ে যায় ৷ কারণ এই সমস্ত সামগ্রীর প্যাকেজিংয়ের মধ্যে কারসিনোজেনিক আঠা, PVC ও ফর্ম্যালডিহাইড থাকে ৷ প্রতিদিনই এই প্রসাধন সামগ্রীগুলির মধ্যে ক্ষতিকারক পদার্থগুলি মেশানো হচ্ছে ৷ এই কারণেই পণ্যগুলির মেয়াদ কমিয়ে দিয়েছে সংস্থাগুলি ৷ একটা সময় পর এই সামগ্রীগুলি আপনাকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে ৷
চিনের গতানুগতিক ওষুধ (ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ় মেডিসিন) বর্তমানে বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করছে ৷ এই ওষুধগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না জেনেই মানুষ এগুলি ব্যবহার করছে ৷ কিন্তু, বর্তমানে এগুলির ক্ষতিকর প্রভাবের কথা প্রকাশ্যে আসছে ৷ এই ওষুধগুলি থেকে ক্যানসার ও ভয়াবহ কিছু রোগ হতে পারে ৷
এদিকে বিশ্বজুড়ে চিনা খাবারের জনপ্রিয়তা রয়েছে । কিন্তু, চিনা খাবারে যে আজিনামোটো, সোয়া সস ব্যবহার করা হয় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর ৷ আজিনামোটো ব্রেন ও নার্ভের ক্ষতি করতে পারে ৷ এর ফলে হাইপারটেনশন ও মাথাব্যথাও হতে পারে ৷ একই সময়ে আজিনামোটো ব্যবহারের ফলে গাঁটে ও পেশিতে ব্যথা হতে পারে ৷ ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় ৷
একইভাবে অতিরিক্ত সোয়া সস খেলে মাথাব্যথা, ঘাম, মাথা ঘোরা, চুলকানি, ফুসকুড়ি, পেটের সমস্যা ও রক্তচাপের পরিবর্তন হতে পারে ৷
