দিল্লি, 9 জানুয়ারি: বালাকোট নিয়ে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় বালাকোটে যে জঙ্গিরা নিহত হয়েছিল, তা মেনে নিলেন এক প্রাক্তন পাকিস্তানি কূটনীতিক। জাফর হিলালি নামের ওই কূটনীতিক এক টিভি চ্যানেলে এই কথা জানিয়েছেন। 2019 সালের 26 ফেব্রুয়ারি বালাকোটে বায়ুসেনার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই হামলায় 300 জন জঙ্গির মৃত্যু হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। অথচ এই কূটনীতিকই সেই সময় নিয়মিত বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দাবি করতেন যে ভারতের বায়ুসেনার হামলায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে অবস্থিত বালাকোট। সেখানেই চলে জয়েশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। 2019 সালের 14 ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায়। সেনা কনভয়ে হওয়া ওই হামলায় বহু জওয়ান শহিদ হন। এই ঘটনায় জয়েশ যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। পুলওয়ামা হামলার 12 দিনের মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা অতর্কিতে হামলা চালায় বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে। ভারত বারবার দাবি করেছে যে ওই হামলায় জয়েশের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির কার্যত ধ্বংস হয়ে যায়। পাকিস্তান কিন্তু তা মানতে চায়নি কখনও।
এর আগে বালাকোট নিয়ে একই রকম দাবি শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানে। সেই সময় এই ধরনের দাবি করেছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন এর নেতা আয়াজ সাদিক। তিনি সেদেশের জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে জানিয়েছিলেন যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান যদি উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে না দেয়, তাহলে রাত 9টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: উড়ানের পর ভেঙে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার বিমান
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের এফ-16 কে তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তানের সীমায় ঢুকে পড়েন অভিনন্দন। ভেঙে পড়ে তাঁর মিগটি তিনি পাকিস্তানের হাতে বন্দি হন। পরে ভারত ও আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মাথা নত করে ইমরান খান সরকার অভিনন্দনকে মুক্ত করে দেয়।