বেজিং, 10 ফেব্রুয়ারি : এখনও আবিষ্কার হয়নি প্রতিষেধক। তাই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে ৷ চিনে কোরোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল 908-এ, আক্রান্তের সংখ্যা 40,171 ৷
চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার নতুন করে 3,062 জন কোরোনা ভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। মারা গেছেন 97 জন ৷ এর মধ্যে 91 জনই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে দু'জন আনহুই প্রদেশের এবং হেইলংজিয়াং, জিয়াঙশিং, হেইনান, গানসু থেকে 1 জন করে মারা গেছেন ৷
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোরোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছাপিয়ে গেছে SARS (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম ) এ মৃত্যুর সংখ্যাকেও। প্রসঙ্গত, 2002-2003 সালে বিশ্বজুড়ে SARS ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল 774 জনের ৷
এদিকে কোরোনা ভাইরাস আক্রান্ত 3,281 জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৷ ইতিমধ্যে চিনের 31টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস ৷ WHO-এর তরফ থেকে ‘International Expert Mission’ রবিবারই চিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ৷ এই দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রুস এলওয়ার্ড। বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞ রয়েছে তাঁর ৷
কোরোনা আতঙ্কে 5দিন ধরে জাহাজে আটকে থাকা হাজারের বেশি মানুষ অবশেষে হংকংয়ে মাটিতে পা রাখার অনুমতি পেলেন ৷ বুধবার জাহাজটি হংকংয়ে পৌঁছালে যাত্রীদের নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ, এর আগে জানুয়ারি মাসে ওই জাহাজে চেপে চিনের তিন বাসিন্দা ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন। পরে জানা যায়, তাঁরা কোরোনা আক্রান্ত। সেই আতঙ্ক থেকে হংকংয়ে আটকে দেওয়া হয় জাহাজটিকে। পরীক্ষা করা ক্রু-দের। কিন্তু, ১৮০০ ক্রুর রেজ়াল্ট নেগেটিভ আসে। এরপরই যাত্রীদের হংকংয়ে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও যাত্রীদের পরীক্ষা করা হয়নি। কারণ, তাঁরা ওই তিন কোরোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেননি।
কোরোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কথা মাথায় রেখে চিন সরকারের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব বাড়িতে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে ৷ অথচ প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। ফলে, ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন বাসিন্দারা ৷ এদিকে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দুটি নতুন হাসপাতাল ও বিভিন্ন অফিসকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। যদিও হাসপাতালে বেড না মেলায় এখনও বহু মানুষ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই পড়ে রয়েছেন ৷