বেজিং, 13 সেপ্টেম্বর : অ্যামেরিকার রিপোর্টের এবার পালটা দিল চিন । রিপোর্টে চিনের সামরিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল । তার উত্তরে এবার চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলল, ওয়াশিংটনই হল বিশ্ব শান্তি ও স্থিতাবস্থার উপর সবথেকে বড় অশনি সংকেত ।
প্রসঙ্গত, 2 সেপ্টেম্বর অ্যামেরিকার কংগ্রেসে প্রতিরক্ষা দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ে চিনা সামরিক গতিবিধি সংক্রান্ত নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল এটি "অ্যামেরিকার জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক আইনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে"।
ওই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আজ চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল উ কুইয়ান বলেন, রিপোর্টটিতে পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং চিনের 1.4 মিলিয়ন মানুষের মধ্যে সম্পর্কের "চাঞ্চল্যকর বিকৃতি" করা হয়েছে । তিনি আরও বলেন, "বহু বছর থেকে প্রমাণিত যে অ্যামেরিকাই আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করে, আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে এবং বিশ্বের স্থিতাবস্থাকে নষ্ট করে ।," তাঁর কথায়, বিগত দুই দশকে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া এবং অন্যান্য দেশে অ্যামেরিকার অভিযানের ফলে আট লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন ।
আরও পড়ুন : হাজারেরও বেশি চিনা নাগরিকের ভিসা বাতিল অ্যামেরিকার
কিউয়ান তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, "নিজে কী করেছে তা দেখার পরিবর্তে অ্যামেরিকা একটি তথাকথিত প্রতিবেদন জারি করেছে যা চিনের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা এবং সামরিক লক্ষ্য সম্পর্কে মিথ্যা মন্তব্য করেছে । আমরা অ্যামেরিকাকে অনুরোধ করছি চিনের জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং সামরিক নির্মাণকে উদ্দেশ্যমূলক , ভ্রান্ত বক্তব্য ও এই সম্পর্কিত প্রতিবেদন বন্ধ করে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্কের সুস্থ বিকাশের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ করার জন্য।"
প্রসঙ্গত, দেড়'শো পাতার ওই রিপোর্টে অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তর, পিপলস লিবারেশন আর্মির প্রযুক্তিগত দক্ষতা, মতবাদ এবং চিনের সামরিক গঠনের চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে বর্ণনা দিয়েছে । তাতে বলা হয়েছে, বেজিংয়ের বিদেশনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং আন্তর্জাতিক আইনের দিকগুলি সংশোধন করার লক্ষ্যে সেনাকে ব্যবহার করা ।
এবার এই রিপোর্টের পালটা জবাব দিল চিন । আন্তর্জাতিক স্থিতাবস্থার উপর সবথেকে বড় অশনিসংকেত হিসেবে অ্যামেরিকার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বেজিং ।
আরও পড়ুন : নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প