বেজিং, 21 এপ্রিল: রাজনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও বিশ্বের দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রায় সব মহাদেশের নেতৃত্বরাই ৷ তাই আগামিকাল "আর্থ ডে"-তে অর্থাৎ 22 এপ্রিল 40টি দেশের নেতাদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ৷ উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন-সহ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ৷
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সামিটে অংশগ্রহণ করেননি ৷ তাই আবারও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জো বাইডেনের নেতৃত্বে বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সমন্বয়ে ফিরবে জো বাইডেন ৷ জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম ভার্চুয়াল সামিটে মুখোমুখি হবে দুই সুপার পাওয়ার ৷
আমেরিকার ক্লাইমেট এনভয় তথা জলবায়ু কূটনীতিবিদ জন কেরি আর চিনে তারই সমমর্যাদার জি ঝেনহুয়া জানান, তাঁরা জলবায়ু সঙ্কট সামলাতে "একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার" করেছেন, অন্য যে কোনো বিষয় নিয়ে যতই মতানৈক্য থাকুক না কেন ৷ যদিও উইঘুর আর হংকংয়ে চিনের নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে আমেরিকা ৷
আরও পড়ুন: মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার ওড়াল নাসা
বিশ্বে সর্বমোট গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের অর্ধেকের জন্য দায়ী এই দুই দেশের অর্থনীতি ৷ তাই জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে দু'দেশের নেতৃত্বের অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ ৷
চিন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশ ৷ 2030-র মধ্যে "কার্বন-নিউট্রাল" দেশ হওয়ার শপথ নিয়েছে ৷
মার্কিন প্রেসিডেন্টও কথা দিয়েছেন যাতে, সার্বিক তাপমাত্রা 2 ডিগ্রি সেলসিয়াস (3.6 ফারেনহাইট)-এর বেশি না হয় ৷ হয়তো এই সপ্তাহেই বাইডেন কার্বন নির্গমন আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে তাদের স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করবেন ৷ বেজিংয়ের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে আমেরিকাকে ৷
গত সপ্তাহে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ফ্রান্স আর জার্মানির সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সামিট করেছে জিংপিং ৷ সেখানে তিনি কার্বন নির্গমন আর উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সাহায্য করতে উন্নত দেশগুলিকে "দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ" করার কথা জানিয়েছেন ৷