যুদ্ধ বহু শিক্ষা দেয় ৷ যুদ্ধ পরিস্থিতিই শিখিয়ে ছিল আস্ত এক পাতাল শহরের ভাবনা ৷ আজ অবশ্য সেই যুদ্ধ নেই ৷ তবু, ঐতিহাসিক শীতযুদ্ধের আর্ধ শতকের বেশি পরেও রয়ে গিয়েছে পাতাল শহরখানা ৷ আজ যেখানে চিনের প্রায় 5 মিলিয়ান মানুষের বসবাস ৷
আসলে হাইড্রোজেন বোম কিংবা পরমাণু বোম থেকে বাঁচতেই মাটির নিচে আস্ত শহরের ভাবনা প্রশাসনের ৷ স্বয়ং মাও জে দংয়ের নির্দেশই তৈরি করা হয় বেজমেন্টের বেজিং ৷ হ্যাঁ, বেজিং শহরের নিচেই রয়েছে 'দ্য দুনগিয়ন' নামের সমান্তরাল আর্থসমাজ ! বর্তমানে যেখানে বসবাস করেন 'ব়্যাট ট্রাইব' সম্প্রদায়ের মানুষরা ৷ কিন্তু কারা 'ব়্যাট ট্রাইব'?
এই মানষগুলো নগরে বেমানান গরিব ৷ বেজিংয়ের নিম্ন আয়ের মানুষ যাঁরা, পাতাল শহরে তাঁরাই থাকেন, আর তাঁদেরকে বলা হয় 'ব়্যাট ট্রাইব' ৷ ইতিহাস বলছে, 1969 সালে চিন পরমাণু আক্রমণের হুমকির মুখে পড়ে ৷ সেই সময়ই দ্রুত নির্মাণ করা হয় 'দ্য দুনগিয়ন' ৷ মাও জে দং নির্দেশ ছিল, প্রয়োজনে পর্যাপ্ত খাবার নিয়ে বেজিংয়ের বেজমেন্টে ঢুকে পড়ে প্রাণে বাঁচাতে হবে শহরবাসীকে ৷ সব মিলিয়ে 10 হাজার বাঙ্কার তৈরি করা হয় ৷ নিকাশি থেকে বিদ্যুতের আলো সব ব্যবস্থাই করা হয় ৷ তবে মূল শহর যদি স্বর্গ হয়, তবে এ তবে নরক !
আজ সেখানেই থাকেন বেজিং শহরে কাজের সন্ধানে আসা পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শহরে পড়তে আসা পড়ুয়ারা ৷ এই মানুষগুলো কীভাবে হয়ে গেল 'ব়্যাট ট্রাইব' !