ETV Bharat / international

মালালা দিবস : গুলি খেয়েও থামেনি নারীশিক্ষার দাবিতে আন্দোলন

2013 সালের 12জুলাই । শিক্ষায় নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের প্রধান কার্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন । প্রেক্ষাগৃহে প্রায় সবাই উঠে দাঁড়িয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন সেই কিশোরীর বক্তৃতার পর । সেইদিনই তাঁর জন্মদিন । এরপর খুব শীঘ্রই 12 জুলাইকে মালালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ ।

malala
malala
author img

By

Published : Jul 12, 2020, 11:18 AM IST

Updated : Jul 12, 2020, 11:27 AM IST

রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে আজ সারা বিশ্বে পালিত হয় "মালালা দিবস" । পাকিস্তানি সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজ়াইয়ের নারীশিক্ষার জন্য লড়াই-আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিতেই উদযাপন করা হয় মালালা দিবস ।

2013 সালের 12জুলাই । তখন মাত্র 16 বছরের মালালা । শিক্ষায় নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের প্রধান কার্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। প্রেক্ষাগৃহে প্রায় সবাই উঠে দাঁড়িয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন সেই কিশোরীর বক্তৃতার পর । সেইদিনই তাঁর জন্মদিন । এরপর খুব শীঘ্রই 12 জুলাইকে মালালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ ।

মালালা কথা :

1997 সালের 12 জুলাই জন্ম হয় মালালার । পাকিস্তানের মিনগোরায় তাঁর জন্ম । জ়িয়াউদ্দিন এবং তোর পেকাই ইউসুফজ়াইয়ের সন্তান তিনি । তাঁর দুই ভাই রয়েছে ।

আর পাঁচজন মেয়ের মতো শিক্ষায় অসাম্য মেনে নেননি মালালা । বিরোধিতা করেছিলেন । শিক্ষায় সাম্যতার জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন । নারীশিক্ষা নিয়ে তালিবানের প্রচলিত বিধির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেন তিনি।

2009 সাল থেকে ছদ্মনামে ব্লগে মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে লেখা শুরু করেন । পাকিস্তানের স্কুলগুলিতে তালিবান হামলার আশঙ্কার কথা লেখেন । তাঁর পরিচিতি প্রকাশ্যে আসার পরেও চুপ করেননি মালালা । তিনি ও তাঁর বাবা শিক্ষার জন্য প্রচার অব্যাহত রাখেন । এই বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তালিবানরা । কী হয়েছিল? স্কুল থেকে ফেরার পথেই মালালাকে আক্রমণ করে তালিবান । 2012 সালের 9 অক্টোবর মালালার মাথায় ও ঘাড়ে গুলি করা হয় । এরপর পরই পাকিস্তানে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে । সারা বিশ্ব এই ঘটনায় নিন্দা জানায় । শুধু পাকিস্তানেই 2 মিলিয়নের বেশি মানুষ শিক্ষার অধিকারের জন্য পিটিশনে সই করেন । এবং পাকিস্তানের প্রথম ফ্রি অ্যান্ড কম্পালসারি এডুকেশন বিলে অনুমোদন দেয় জাতীয় অ্যাসেম্বলি । বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর পরিচিতি , এক আদর্শ হয়ে ওঠেন মালালা ।

আক্রমণের পরও থেমে যায়নি মালালা । দ্রুতই ফিরে আসেন । জেন্ডার রাইটসের আন্দোলন অব্যাহত থাকে । গঠন করেন মালালা ফান্ড, একটি নন-প্রফিট সংস্থা । মেয়েদের স্কুলে যাওয়ায় সাহায্য করত মালালা ফান্ড । "আই অ্যাম মালালা" বইয়ের সহ-লেখক মালালা । যা বিশ্বে প্রায় প্রত্যেকেই স্বাগত জানায় ।

2012 সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার দেয় । ডিসেম্বর 2014 সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা । এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী তিনি । 2017 সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন মালালা । 2020 সালে স্নাতক হন ।

মালালা নিয়ে আকর্ষণীয় তথ্য

  • 17 বছর বয়সে নোবেলজয়ী মালালা । বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ।
  • BBC-র জন্য 2009 সালে ব্লগ লেখা শুরু করেন মালালা । তালিবান শাসনাধীনে জীবন কেমন হয়, সেই নিয়েই লেখা শুরু করেন । পরবর্তীকালে নিজের দেশে জাতীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন । টেলিভিশনে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে বারবার কথা বলেন ।
  • 11 বছর বয়সে BBC-র প্রথম ডায়েরি লেখেন তিনি; 'আই অ্যাম অ্যাফ্রেড' । তাঁর প্রদেশে জীবনযাপনের ভয় প্রসঙ্গে লেখেন । তালিবানের জন্য স্কুল যেতে কতটা ভয় পেতেন, সেই বিষয়েও লেখেন ।
  • 2013 সালের 10 অক্টোবর ইউরোপের সংসদ তাঁকে 'ভাবনার স্বাধীনতা' পুরস্কারে সম্মানিত করে ।
  • 2015 সালে মালালার সম্মানে একটি অ্যাসটেরয়েডের নামকরণ করা হয় ।
  • 2017 সালে এপ্রিলে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি বার্তাদূত হন মালালা ।

রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে আজ সারা বিশ্বে পালিত হয় "মালালা দিবস" । পাকিস্তানি সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজ়াইয়ের নারীশিক্ষার জন্য লড়াই-আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিতেই উদযাপন করা হয় মালালা দিবস ।

2013 সালের 12জুলাই । তখন মাত্র 16 বছরের মালালা । শিক্ষায় নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের প্রধান কার্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। প্রেক্ষাগৃহে প্রায় সবাই উঠে দাঁড়িয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন সেই কিশোরীর বক্তৃতার পর । সেইদিনই তাঁর জন্মদিন । এরপর খুব শীঘ্রই 12 জুলাইকে মালালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ ।

মালালা কথা :

1997 সালের 12 জুলাই জন্ম হয় মালালার । পাকিস্তানের মিনগোরায় তাঁর জন্ম । জ়িয়াউদ্দিন এবং তোর পেকাই ইউসুফজ়াইয়ের সন্তান তিনি । তাঁর দুই ভাই রয়েছে ।

আর পাঁচজন মেয়ের মতো শিক্ষায় অসাম্য মেনে নেননি মালালা । বিরোধিতা করেছিলেন । শিক্ষায় সাম্যতার জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন । নারীশিক্ষা নিয়ে তালিবানের প্রচলিত বিধির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেন তিনি।

2009 সাল থেকে ছদ্মনামে ব্লগে মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে লেখা শুরু করেন । পাকিস্তানের স্কুলগুলিতে তালিবান হামলার আশঙ্কার কথা লেখেন । তাঁর পরিচিতি প্রকাশ্যে আসার পরেও চুপ করেননি মালালা । তিনি ও তাঁর বাবা শিক্ষার জন্য প্রচার অব্যাহত রাখেন । এই বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তালিবানরা । কী হয়েছিল? স্কুল থেকে ফেরার পথেই মালালাকে আক্রমণ করে তালিবান । 2012 সালের 9 অক্টোবর মালালার মাথায় ও ঘাড়ে গুলি করা হয় । এরপর পরই পাকিস্তানে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে । সারা বিশ্ব এই ঘটনায় নিন্দা জানায় । শুধু পাকিস্তানেই 2 মিলিয়নের বেশি মানুষ শিক্ষার অধিকারের জন্য পিটিশনে সই করেন । এবং পাকিস্তানের প্রথম ফ্রি অ্যান্ড কম্পালসারি এডুকেশন বিলে অনুমোদন দেয় জাতীয় অ্যাসেম্বলি । বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর পরিচিতি , এক আদর্শ হয়ে ওঠেন মালালা ।

আক্রমণের পরও থেমে যায়নি মালালা । দ্রুতই ফিরে আসেন । জেন্ডার রাইটসের আন্দোলন অব্যাহত থাকে । গঠন করেন মালালা ফান্ড, একটি নন-প্রফিট সংস্থা । মেয়েদের স্কুলে যাওয়ায় সাহায্য করত মালালা ফান্ড । "আই অ্যাম মালালা" বইয়ের সহ-লেখক মালালা । যা বিশ্বে প্রায় প্রত্যেকেই স্বাগত জানায় ।

2012 সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার দেয় । ডিসেম্বর 2014 সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা । এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী তিনি । 2017 সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন মালালা । 2020 সালে স্নাতক হন ।

মালালা নিয়ে আকর্ষণীয় তথ্য

  • 17 বছর বয়সে নোবেলজয়ী মালালা । বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ।
  • BBC-র জন্য 2009 সালে ব্লগ লেখা শুরু করেন মালালা । তালিবান শাসনাধীনে জীবন কেমন হয়, সেই নিয়েই লেখা শুরু করেন । পরবর্তীকালে নিজের দেশে জাতীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন । টেলিভিশনে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে বারবার কথা বলেন ।
  • 11 বছর বয়সে BBC-র প্রথম ডায়েরি লেখেন তিনি; 'আই অ্যাম অ্যাফ্রেড' । তাঁর প্রদেশে জীবনযাপনের ভয় প্রসঙ্গে লেখেন । তালিবানের জন্য স্কুল যেতে কতটা ভয় পেতেন, সেই বিষয়েও লেখেন ।
  • 2013 সালের 10 অক্টোবর ইউরোপের সংসদ তাঁকে 'ভাবনার স্বাধীনতা' পুরস্কারে সম্মানিত করে ।
  • 2015 সালে মালালার সম্মানে একটি অ্যাসটেরয়েডের নামকরণ করা হয় ।
  • 2017 সালে এপ্রিলে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি বার্তাদূত হন মালালা ।
Last Updated : Jul 12, 2020, 11:27 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.