ওয়াশিংটন, 1 জুন : কৃষ্ণাঙ্গ বন্দী হত্যায় উত্তাল অ্যামেরিকা । এই ইশুতেই ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজ়ের সামনে শুক্রবার রাতে ভিড় জমাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা । তারপরই সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে কিছু সময়ের জন্য রাখা হয় । বিষয়টি জানান হোয়াইট হাউজ়ের এক আধিকারিক ।
ওই বাঙ্কারে প্রায় এক ঘণ্টা মতো ছিলেন ট্রাম্প । আইন প্রণয়নকারী দপ্তরের সূত্রে খবর, শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পই নন, তাঁর সঙ্গে মেলানিয়া ট্রাম্প ও তাঁদের সন্তান ব্যারনকেও ওই বাঙ্কারে রাখা হয় । এই সূত্রের তরফে আরও বলা হয়, প্রশাসন যদি সুরক্ষার জন্য ট্রাম্পকে সরায়, তাহলে তাঁর পরিবারের সদস্য মেলানিয়া ও ব্যারনকেও সরানো হবে ।
সংবাদ সংস্থা AP সূত্রে খবর, গতকাল প্রায় 10 হাজার মানুষ অ্যামেরিকার রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । কৃষ্ণাঙ্গ বন্দীকে পুলিশের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে তারা বিক্ষোভ দেখায় । ফিলাডেলফিয়া থেকে লস অ্যাঞ্জেলস হয়ে হোয়াইট হাউজ়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে শহর ও রাজ্য আধিকারিকরা হাজার হাজার সেনা মোতায়নে করেন । জারি করা হয় কারফিউও । বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে বন্ধ করে দেওয়া গণ-পরিবহন ব্যবস্থাও । তবে, এর ফলে সেরকম কোনও উপকার হয়নি । বহু শহরের ছোটো ছোটো জায়গায় কেবল পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে । প্রতিবাদ রয়েছে অব্যাহত ।
শনিবার এই ইশুতে ট্রাম্প সিক্রেট সার্ভিসের প্রশংসা করেন । সঙ্গে বলেন, তিনি সুরক্ষিত রয়েছেন । পরপর অনেকগুলি টুইটের মাধ্যমে তাঁকে বাঁচানোর জন্য অ্যামেরিকার সিক্রেট সার্ভিসের প্রশংসা করেন ।
মিনেপলিস পুলিশের হেপাজতে থাকাকালীন একজন আফ্রো-আমেরিকান বন্দীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে ৷ এরপরই দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয় ৷ প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে মিনেপলিস বিক্ষোভকারীদের "ঠগ" বলেছিলেন ও তাঁদের উপর গুলি চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন ।