ETV Bharat / international

2030 সালের মধ্যে বিশ্বকে এইডস মুক্ত করার প্রস্তাব পাশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায়

সাধারণ সভার তরফে সদস্য দেশগুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এইডস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় রসদ না বাড়ালে এবং সেই সঙ্গে সংক্রমিত ও আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসা না করা 2030 সালের মধ্যে এই মহামারিকে শেষ করা যাবে না ৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফে বলা হয়েছে, এইডস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা অতিমারী ৷

the-fight-against-aids-is-far-behind-the-world-due-to-corona
‘‘এইডস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধা সৃষ্টি করেছে করোনা’’, মত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার
author img

By

Published : Jun 9, 2021, 8:04 PM IST

জেনেভা, 9 জুন : করোনা অতিমারীর জেরে এইডস’র (AIDS) বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে বিশ্ব ৷ তাই এবার 2030 সালের মধ্যে এইডস’র মতো রোগকে নিঃশেষ করার কথা ঘোষণা করল রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা ৷ সেই সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে এও বলা হয়েছে, ‘‘এটা খুবই বিপদের সঙ্কেত যে, করোনা অতিমারির জেরে এইডস’র ওষুধের সরবরাহ, তার চিকিৎসা এবং সর্বোপরি এইডস নির্ধারণ করার প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে’’ ৷

18 পাতার এই নথিতে উল্লেখ করা বিষয়গুলি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার 193 টি সদস্য দেশ কার্যকর করার কথা জানিয়েছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, আগামী 2025 সালের মধ্যে বছরে এইচআইভি (HIV) সংক্রমণের সংখ্যা 3 লক্ষ 70 হাজারের নিচে নামিয়ে আনা হবে ৷ পাশাপাশি এইচআইভি (HIV) সংক্রমণের জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বছরে আড়াই লক্ষের নিচে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সাধারণ সভার সদস্য দেশগুলি ৷ সেই সঙ্গে এইচআইভি (HIV) সংক্রান্ত অচ্ছুত এবং বৈষম্য সমাজ থেকে একেবারে মুছে ফেলার বার্তা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফে ৷ অন্যদিকে, সদস্য দেশগুলিকে এইচআইভি’র (HIV) ভ্যাকসিন তৈরি কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে ৷

সাধারণ সভার তরফে সদস্য দেশগুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এইডস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় রসদ না বাড়ালে এবং সেই সঙ্গে সংক্রমিত ও আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসা না করা 2030 সালের মধ্যে এই মহামারিকে শেষ করা যাবে না ৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফে বলা হয়েছে, এইডস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা অতিমারি ৷

আরও পড়ুন : 2021’এ ভারতে 7.5% আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস, সঙ্গে পতনের সতর্কতা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

এ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্যে প্রয়োজনের থেকে কম বিনিয়োগ, ভয়ঙ্কর ভাবে বিশ্বকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে ৷ যার মধ্যে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও অসমতা দেখা গিয়েছে ৷ ফলে যে কোনও অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে মানবসভ্যতা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে ৷ সাধারণ সভার তরফে আরও বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিনিয়োগ পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না ৷ আর যা করা হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় যা অতি সামান্য ৷

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রসঙ্ঘে শান্তি ও সংস্কৃতি প্রস্তাব লঙ্ঘনের অভিযোগ, পাকিস্তানকে একহাত ভারতের

সাধারণ সভার তিন দিনের এই উচ্চস্তরের বৈঠকে 165-4 ফলাফলে এইডস নিয়ে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ৷ যেখানে রাশিয়া, বেলারুস, সিরিয়া এবং নিকাগুয়া প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৷ এই ভোটাভুটির আগে রাশিয়া প্রস্তাবের মধ্যে 3টি সংশোধন দাবি করেছিল ৷ যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফ থেকে খারিজ করে দেওয়া হয় ৷

প্রসঙ্গত, রাশিয়া এইডস মহামারি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তাবে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টিকে বাদ দিতে বলেছিল ৷ সেই সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনের প্রস্তাবটিও বাতিলের পক্ষে ছিল ৷ যা কোনওভাবেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা মেনে নেয়নি ৷

জেনেভা, 9 জুন : করোনা অতিমারীর জেরে এইডস’র (AIDS) বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে বিশ্ব ৷ তাই এবার 2030 সালের মধ্যে এইডস’র মতো রোগকে নিঃশেষ করার কথা ঘোষণা করল রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা ৷ সেই সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে এও বলা হয়েছে, ‘‘এটা খুবই বিপদের সঙ্কেত যে, করোনা অতিমারির জেরে এইডস’র ওষুধের সরবরাহ, তার চিকিৎসা এবং সর্বোপরি এইডস নির্ধারণ করার প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে’’ ৷

18 পাতার এই নথিতে উল্লেখ করা বিষয়গুলি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার 193 টি সদস্য দেশ কার্যকর করার কথা জানিয়েছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, আগামী 2025 সালের মধ্যে বছরে এইচআইভি (HIV) সংক্রমণের সংখ্যা 3 লক্ষ 70 হাজারের নিচে নামিয়ে আনা হবে ৷ পাশাপাশি এইচআইভি (HIV) সংক্রমণের জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বছরে আড়াই লক্ষের নিচে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সাধারণ সভার সদস্য দেশগুলি ৷ সেই সঙ্গে এইচআইভি (HIV) সংক্রান্ত অচ্ছুত এবং বৈষম্য সমাজ থেকে একেবারে মুছে ফেলার বার্তা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফে ৷ অন্যদিকে, সদস্য দেশগুলিকে এইচআইভি’র (HIV) ভ্যাকসিন তৈরি কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে ৷

সাধারণ সভার তরফে সদস্য দেশগুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এইডস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় রসদ না বাড়ালে এবং সেই সঙ্গে সংক্রমিত ও আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসা না করা 2030 সালের মধ্যে এই মহামারিকে শেষ করা যাবে না ৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফে বলা হয়েছে, এইডস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা অতিমারি ৷

আরও পড়ুন : 2021’এ ভারতে 7.5% আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস, সঙ্গে পতনের সতর্কতা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

এ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্যে প্রয়োজনের থেকে কম বিনিয়োগ, ভয়ঙ্কর ভাবে বিশ্বকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে ৷ যার মধ্যে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও অসমতা দেখা গিয়েছে ৷ ফলে যে কোনও অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে মানবসভ্যতা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে ৷ সাধারণ সভার তরফে আরও বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিনিয়োগ পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না ৷ আর যা করা হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় যা অতি সামান্য ৷

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রসঙ্ঘে শান্তি ও সংস্কৃতি প্রস্তাব লঙ্ঘনের অভিযোগ, পাকিস্তানকে একহাত ভারতের

সাধারণ সভার তিন দিনের এই উচ্চস্তরের বৈঠকে 165-4 ফলাফলে এইডস নিয়ে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ৷ যেখানে রাশিয়া, বেলারুস, সিরিয়া এবং নিকাগুয়া প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৷ এই ভোটাভুটির আগে রাশিয়া প্রস্তাবের মধ্যে 3টি সংশোধন দাবি করেছিল ৷ যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার তরফ থেকে খারিজ করে দেওয়া হয় ৷

প্রসঙ্গত, রাশিয়া এইডস মহামারি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তাবে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টিকে বাদ দিতে বলেছিল ৷ সেই সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনের প্রস্তাবটিও বাতিলের পক্ষে ছিল ৷ যা কোনওভাবেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভা মেনে নেয়নি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.