ETV Bharat / international

আতঙ্কে বাঁকুড়ার কথাই বেশি মনে পড়ছে, "অচেনা" টেক্সাস থেকে বললেন অনুশ্রী

এক লহমায় সব যেন তছনছ হয়ে গেছে । কোরোনার সংক্রমণে বদলে গেছে তাঁর চেনা শহর টেক্সাস । সেখান থেকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন প্রবাসী বাঙালি অনুশ্রী মণ্ডল ।

Lockdown
সুনসান টেক্সাসের রাস্তা
author img

By

Published : Apr 12, 2020, 6:46 PM IST

Updated : Apr 12, 2020, 8:59 PM IST

টেক্সাস, 12 এপ্রিল : নেই সেই চেনা ছন্দ । নেই কান্ট্রি মিউজ়িকের সুর । কাউবয় বুট পরা সেই লোকটাও আর নেই শহরের রাস্তায় । বারবিকিউয়ের সেই রেস্তরাঁটাও বন্ধ । টেক্সাস শহরটাকে গ্রাস করেছে আতঙ্ক । অদৃশ্য এক আততায়ীর ভয়ে ঘরবন্দী হয়ে রয়েছে সবাই । অন্যদের মতো আতঙ্কে রয়েছেন বাঁকুড়ার অনুশ্রী মণ্ডলও । টেক্সাস এগ্রিকালচার অ্যান্ড মেকানিকাল ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করছেন রসায়নবিদ্যা নিয়ে । 2016 সাল থেকেই এই শহরটাকে আপন করে নিয়েছেন খড়গপুর IIT-র এই প্রাক্তনী । কিন্তু, চেনা সেই শহর আজ তাঁর কাছে অজানা ।

কোরোনার সংক্রমণের জেরে বদলেছে পরিস্থিতি । গত চার বছর ধরে এই শহরটাকে দেখে আসছেন । কিন্তু, এক লহমায় সব যেন তছনছ হয়ে গেছে । এই টেক্সাস তাঁর একেবারেই চেনা নয় । টেক্সাসকে এভাবে আগে কোনওদিন দেখেননি তিনি । আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বেরোচ্ছে না । ফাঁকা পথঘাট ।

টেক্সাসে আতঙ্কেই রাত কাটছে অনুশ্রীর

তবে অ্যামেরিকার সামগ্রিক ছবি যতটা খারাপ, টেক্সাসের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ভালো । তবে মাস্কের আকাল টেক্সাসেও । পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে । তবে অনুশ্রী বলছেন, মাস্ক পরাটা আবশ্যিক বলে তিনি অন্তত মনে করছেন না ।

Lockdown
ফাঁকা টেক্সাসের রাস্তা

লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় । সেখানে ঢুকতে গেলে লাগছে বিশেষ অনুমতিপত্র । ভাইরাসের মোকাবিলায় কোনও গবেষণার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাগারের কোনও সামগ্রীর পরিচর্যার সঙ্গে যুক্ত, এমন কেউ ছাড়া বাকিদের প্রবেশ ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ । তাই খুব প্রয়োজন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে না অনুশ্রীকে । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিনিট দশেকের হাঁটা পথ অনুশ্রীর বাড়ি । কিন্তু অ্যামেরিকায় ভাইরাসের সংক্রমণের খবর সামনে আসার পর থেকেই যতটা সম্ভব অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন তিনি । ওই মিনিট দশেকের পথের জন্যও এখন তাই গাড়িই ভরসা ।

Lockdown
থমকে রয়েছে শহর

লকডাউন যাতে সফল হয়, তা নিশ্চিত করতে বেড়েছে পুলিশি টহল । তবে খোলা থাকছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান । ওষুধের দোকান বা গ্রসারি শপগুলিতে যেতে গেলে এখনও আলাদা করে অনুমতির প্রয়োজন হচ্ছে না । অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ রাস্তায় বেরোচ্ছে না । অনুশ্রীর প্রতিবেশীের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ছেন বা গবেষণার কাজে জড়িত । তাঁদের সঙ্গেও এখন তাই সোশাল মিডিয়াতে বা ই-মেলেই যোগাযোগ রাখছেন অনুশ্রী ।

Lockdown
টেক্সাসেও ঘরবন্দী সাধারণ মানুষ

আতঙ্কের মধ্যে বাঁকুড়ার কথা আরও বেশি করে মনে পড়ছে অনুশ্রীর । ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দিকেও সবসময় চোখ রাখছেন । বাঁকুড়ায় বাড়ির সবার সঙ্গে প্রতিদিনই কথা হচ্ছে । সবসময় বাড়ির সদস্যদের খোঁজখবর নিচ্ছেন । কিন্তু তাতেও যেন মন মানতে চাইছে না । বাড়ির সবাই কেমন আছেন, সেই চিন্তাটা যেন এখন আরও বেশি করে তাঁর মাথায় ভিড় করছে ।

টেক্সাস, 12 এপ্রিল : নেই সেই চেনা ছন্দ । নেই কান্ট্রি মিউজ়িকের সুর । কাউবয় বুট পরা সেই লোকটাও আর নেই শহরের রাস্তায় । বারবিকিউয়ের সেই রেস্তরাঁটাও বন্ধ । টেক্সাস শহরটাকে গ্রাস করেছে আতঙ্ক । অদৃশ্য এক আততায়ীর ভয়ে ঘরবন্দী হয়ে রয়েছে সবাই । অন্যদের মতো আতঙ্কে রয়েছেন বাঁকুড়ার অনুশ্রী মণ্ডলও । টেক্সাস এগ্রিকালচার অ্যান্ড মেকানিকাল ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করছেন রসায়নবিদ্যা নিয়ে । 2016 সাল থেকেই এই শহরটাকে আপন করে নিয়েছেন খড়গপুর IIT-র এই প্রাক্তনী । কিন্তু, চেনা সেই শহর আজ তাঁর কাছে অজানা ।

কোরোনার সংক্রমণের জেরে বদলেছে পরিস্থিতি । গত চার বছর ধরে এই শহরটাকে দেখে আসছেন । কিন্তু, এক লহমায় সব যেন তছনছ হয়ে গেছে । এই টেক্সাস তাঁর একেবারেই চেনা নয় । টেক্সাসকে এভাবে আগে কোনওদিন দেখেননি তিনি । আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বেরোচ্ছে না । ফাঁকা পথঘাট ।

টেক্সাসে আতঙ্কেই রাত কাটছে অনুশ্রীর

তবে অ্যামেরিকার সামগ্রিক ছবি যতটা খারাপ, টেক্সাসের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ভালো । তবে মাস্কের আকাল টেক্সাসেও । পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে । তবে অনুশ্রী বলছেন, মাস্ক পরাটা আবশ্যিক বলে তিনি অন্তত মনে করছেন না ।

Lockdown
ফাঁকা টেক্সাসের রাস্তা

লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় । সেখানে ঢুকতে গেলে লাগছে বিশেষ অনুমতিপত্র । ভাইরাসের মোকাবিলায় কোনও গবেষণার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাগারের কোনও সামগ্রীর পরিচর্যার সঙ্গে যুক্ত, এমন কেউ ছাড়া বাকিদের প্রবেশ ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ । তাই খুব প্রয়োজন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে না অনুশ্রীকে । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিনিট দশেকের হাঁটা পথ অনুশ্রীর বাড়ি । কিন্তু অ্যামেরিকায় ভাইরাসের সংক্রমণের খবর সামনে আসার পর থেকেই যতটা সম্ভব অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন তিনি । ওই মিনিট দশেকের পথের জন্যও এখন তাই গাড়িই ভরসা ।

Lockdown
থমকে রয়েছে শহর

লকডাউন যাতে সফল হয়, তা নিশ্চিত করতে বেড়েছে পুলিশি টহল । তবে খোলা থাকছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান । ওষুধের দোকান বা গ্রসারি শপগুলিতে যেতে গেলে এখনও আলাদা করে অনুমতির প্রয়োজন হচ্ছে না । অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ রাস্তায় বেরোচ্ছে না । অনুশ্রীর প্রতিবেশীের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ছেন বা গবেষণার কাজে জড়িত । তাঁদের সঙ্গেও এখন তাই সোশাল মিডিয়াতে বা ই-মেলেই যোগাযোগ রাখছেন অনুশ্রী ।

Lockdown
টেক্সাসেও ঘরবন্দী সাধারণ মানুষ

আতঙ্কের মধ্যে বাঁকুড়ার কথা আরও বেশি করে মনে পড়ছে অনুশ্রীর । ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দিকেও সবসময় চোখ রাখছেন । বাঁকুড়ায় বাড়ির সবার সঙ্গে প্রতিদিনই কথা হচ্ছে । সবসময় বাড়ির সদস্যদের খোঁজখবর নিচ্ছেন । কিন্তু তাতেও যেন মন মানতে চাইছে না । বাড়ির সবাই কেমন আছেন, সেই চিন্তাটা যেন এখন আরও বেশি করে তাঁর মাথায় ভিড় করছে ।

Last Updated : Apr 12, 2020, 8:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.