দিল্লি, 14 জানুয়ারি : ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত সফরে আসতে পারেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ তবে ট্রাম্পের সফরের চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি ৷ আগামী সপ্তাহে আদালতে উঠছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ইশু ৷ তারপরেই ঘোষণা হতে পারে সফরের চূড়ান্ত নির্ঘণ্ট ৷ 2018 সালের নভেম্বর থেকে আটকে থাকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে আসন্ন বৈঠকে ৷
2019 সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান আমন্ত্রণ করা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ওয়াশিংটন ৷ তবে এবারের ট্রাম্পের দিল্লি সফরের প্রেক্ষিত যথেষ্টই আলাদা ৷ কিছুদিন আগেই অ্যামেরিকার ড্রোন হানায় মারা যান ইরানের সেনার জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ৷ তারপরই অ্যামেরিকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে ৷ অ্যামেরিকাও পাশে পেয়েছিল তার মিত্র দেশগুলিকে ৷ কিন্তু ওয়াশিংটনের সঙ্গে দাঁড়ায়নি দিল্লি ৷ বরং বরাবরই ছিল নিরপেক্ষ ভূমিকায় ৷
ইরানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভারতের ৷ ফি বছরে প্রায় 40-42 হাজার মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয় দুই দেশের ৷ ইরানে এখন প্রায় তিন থেকে চার লাখ ভারতীয়ের বাস ৷ এই পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায়নি ভারত ৷
আগামী সপ্তাহেই ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট ইশু নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া চালু হবে ৷ অন্যদিকে দেশের একাধিক প্রান্তে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, 2019-এর প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দুই প্রধানের জন্য কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্টের আসন্ন সফর ৷
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা নিয়েও নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ ৷ গতবছরের সেপ্টেম্বরেই অ্যামেরিকা সফরে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷
2009 সালের পর থেকে এই অর্থবর্ষেই সবথেকে কম আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে ভারতের ৷ দেশের বেহাল অর্থনীতি নিয়ে সরব হচ্ছেন বিরোধীরা ৷ ট্রাম্পের আসন্ন ভারত সফরে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান ৷