ETV Bharat / international

দশকভর প্রকৃতির কাছে অসহায় মানুষ - 2010-2019

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কাছে বরাবরই মাথা নুইয়েছে সভ্যতা ৷ ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে বন্যা, দাবানল ৷ একের পর এক দুর্যোগ প্রাণ কেড়েছে হাজার হাজার মানুষের ৷ ঘরছাড়ার সংখ্যাটা আরও বেশি ৷ বারবার প্রকৃতির কাছে হেরে যাওয়ার পরও ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে সভ্যতা ৷ একনজরে দেখে নেওয়া যাক ফেলে আসা দশকের ভয়াবহ কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয় ৷

Decade Round Up
একনজরে দশকের ভয়াবহ কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয়
author img

By

Published : Dec 29, 2019, 5:20 PM IST

Updated : Dec 31, 2019, 3:47 PM IST

শেষ হতে চলল গোটা একটা দশক ৷ নতুন দশকের নতুন কিছু স্বপ্নে বুক বাঁধছে বিশ্ববাসী ৷ ফেলে আসা দশকের কিছু বিভীষিকাময় স্মৃতির কথা মনে পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দেয় ৷ ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত, ঘূর্ণিঝড় থেকে সুনামি ৷ বাদ পড়েনি কিছুই ৷ প্রাণ কেড়েছে হাজার হাজার মানুষের ৷ ঘরছাড়া হয়েছেন অগুনতি মানুষ ৷ দশকের ভয়াবহ কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয় একনজরে ৷

আন্তর্জাতিক

  • 2010 সালের 12 জানুয়ারি হাইতিতে তীব্র ভূমিকম্প হয় । কম্পনের মাত্রা ছিল 7.0 । প্রাণ হারায় আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ । আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লক্ষ ।
  • 2010 সালের অক্টোবরের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপিতে অগ্নুৎপাত হয় । ঘটনায় 353 জন মানুষ প্রাণ হারায় । সরকারি তৎপরতায় সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষকে জাভা থেকে অন্যত্র সড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ।
  • 2011 সালের 11 মার্চ তীব্র ভূমিকম্প ও জলোচ্ছাস হয় জাপানের তোহোকু সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলে । জলতলের নীচে হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল 9.0-9.1 । ভূমিকম্প ও সুনামির জেরে প্রাণ হারায় 15 হাজার 899 জন মানুষ । আহতের সংখ্যা ছিল ছয় হাজারেরও বেশি ।
    2011 সালে জাপানের তোহোকুতে ভূমিকম্প ও সুনামি
  • 2012 সালের 25 নভেম্বর ফিলিপিনস ও মাইক্রোনেশিয়ায় আছড়ে পড়ে অতি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন বোফা । ঘূর্ণিঝড়ের গতি ছিল 278 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । বোফার দাপটে প্রাণ হারায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ ।
  • 2013 সালের 3 নভেম্বর ফের ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন হাইয়ানের কবলে পড়ে ফিলিপিনস, হংকং, মাইক্রোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ান । ঘূর্ণিঝড়ের গতি ছিল 315 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । ঝড়ের দাপটে প্রাণ হারায় 6 হাজার 340 জন মানুষ ।
  • 2014 সালের 3 অগাস্ট ভূমিকম্প হয় চিনের লুডিয়ানে । কম্পনের তীব্রতা ছিল 6.1 । ভূমিকম্পে কমপক্ষে 617 জন মানুষ মারা যায় । আহত হয় প্রায় দুহাজার 400 জন । তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি ।
    2014 সালে লুডিয়ানের ভূমিকম্প
  • 2015 সালের 25 এপ্রিল নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় 9 হাজারেরও বেশি মানুষ । জখমের সংখ্যা প্রায় 22 হাজার । রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল 7.8-8.1 ।
    2015 সালের নেপালের ভূমিকম্প
  • 2017 সালের 16 সেপ্টেম্বর ডোমিনিকান রিপাবলিক ও পুয়ের্তো রিকোয় আছড়ে পড়ে হ্যারিকেন মারিয়া । ঝড়ের গতি ছিল 282 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । মারিয়ার দাপটে প্রাণ হারায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষ ।

জাতীয়

  • 2013 সালের জুনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় কেদারনাথ সহ উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু অঞ্চলে । তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মন্দাকিনীর দুই পাশের বাড়িগুলি । সরকারি হিসেবে, 934 জন স্থানীয় সহ 5 হাজার 700 জন মানুষ প্রাণ হারায় ।
    2013 সালের কেদারনাথের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
  • 2014 সালের অক্টোবরে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ আছড়ে পড়ে বিশাখাপত্তনমে ৷ হুদহুদের দাপটে কমপক্ষে 124 জন প্রাণ হারান ৷ ঝড়ের গতি ছিল 185 থেকে 215 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ৷
  • 2018 সালের মে মাসে টানা দু'দিন ধরে ধুলিঝড় হয় উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে ৷ ধুলিঝড়ে প্রাণ হারায় 125 জন ৷ আহত হয় আরও কমপক্ষে 200 জন ৷
  • 2018 সালের অগাস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় কেরালায় ৷ বন্যার প্রকোপে কমপক্ষে 438 জন মারা যায় ৷ প্রায় 10 লক্ষ মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে অন্যত্র সড়িয়ে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৷ রাজ্য জুড়ে জারি করা হয় কড়া সতর্কতা ৷
    2018 সালের কেরালার বন্যা
  • 2019 সালের এপ্রিলে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে অতি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ফণী ৷ ঝড়ের গতি ছিল 250 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ৷ ফণীর তাণ্ডবে প্রাণ হারান কমপক্ষে 89 জন ৷
  • 2019 সালের জুলাই মাসে গুজরাটের ভদোদরায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ৷ বন্যার কবলে প্রাণ হারান 8 জন ৷ 6 হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
  • 2019 সালের অগাষ্টে ফের কেরালায় ভয়াবহ বন্যা দেখা যায় ৷ বন্যার প্রকোপে কমপক্ষে 100 জন মারা যায় ৷


প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কাছে বারবার মাথা নুইয়েছে সভ্যতা ৷ কিন্তু প্রতিবারই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ৷ বিজ্ঞানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছে বিপর্যয়ের সঙ্গে ৷ কিন্তু, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াইয়ে সেই বিজ্ঞান কতটা হাত শক্ত করবে, সে প্রশ্নটা থেকেই গেল ।

শেষ হতে চলল গোটা একটা দশক ৷ নতুন দশকের নতুন কিছু স্বপ্নে বুক বাঁধছে বিশ্ববাসী ৷ ফেলে আসা দশকের কিছু বিভীষিকাময় স্মৃতির কথা মনে পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দেয় ৷ ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত, ঘূর্ণিঝড় থেকে সুনামি ৷ বাদ পড়েনি কিছুই ৷ প্রাণ কেড়েছে হাজার হাজার মানুষের ৷ ঘরছাড়া হয়েছেন অগুনতি মানুষ ৷ দশকের ভয়াবহ কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয় একনজরে ৷

আন্তর্জাতিক

  • 2010 সালের 12 জানুয়ারি হাইতিতে তীব্র ভূমিকম্প হয় । কম্পনের মাত্রা ছিল 7.0 । প্রাণ হারায় আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ । আহতের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লক্ষ ।
  • 2010 সালের অক্টোবরের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপিতে অগ্নুৎপাত হয় । ঘটনায় 353 জন মানুষ প্রাণ হারায় । সরকারি তৎপরতায় সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষকে জাভা থেকে অন্যত্র সড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ।
  • 2011 সালের 11 মার্চ তীব্র ভূমিকম্প ও জলোচ্ছাস হয় জাপানের তোহোকু সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলে । জলতলের নীচে হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল 9.0-9.1 । ভূমিকম্প ও সুনামির জেরে প্রাণ হারায় 15 হাজার 899 জন মানুষ । আহতের সংখ্যা ছিল ছয় হাজারেরও বেশি ।
    2011 সালে জাপানের তোহোকুতে ভূমিকম্প ও সুনামি
  • 2012 সালের 25 নভেম্বর ফিলিপিনস ও মাইক্রোনেশিয়ায় আছড়ে পড়ে অতি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন বোফা । ঘূর্ণিঝড়ের গতি ছিল 278 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । বোফার দাপটে প্রাণ হারায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ ।
  • 2013 সালের 3 নভেম্বর ফের ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন হাইয়ানের কবলে পড়ে ফিলিপিনস, হংকং, মাইক্রোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ান । ঘূর্ণিঝড়ের গতি ছিল 315 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । ঝড়ের দাপটে প্রাণ হারায় 6 হাজার 340 জন মানুষ ।
  • 2014 সালের 3 অগাস্ট ভূমিকম্প হয় চিনের লুডিয়ানে । কম্পনের তীব্রতা ছিল 6.1 । ভূমিকম্পে কমপক্ষে 617 জন মানুষ মারা যায় । আহত হয় প্রায় দুহাজার 400 জন । তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি ।
    2014 সালে লুডিয়ানের ভূমিকম্প
  • 2015 সালের 25 এপ্রিল নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় 9 হাজারেরও বেশি মানুষ । জখমের সংখ্যা প্রায় 22 হাজার । রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল 7.8-8.1 ।
    2015 সালের নেপালের ভূমিকম্প
  • 2017 সালের 16 সেপ্টেম্বর ডোমিনিকান রিপাবলিক ও পুয়ের্তো রিকোয় আছড়ে পড়ে হ্যারিকেন মারিয়া । ঝড়ের গতি ছিল 282 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । মারিয়ার দাপটে প্রাণ হারায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষ ।

জাতীয়

  • 2013 সালের জুনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় কেদারনাথ সহ উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু অঞ্চলে । তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মন্দাকিনীর দুই পাশের বাড়িগুলি । সরকারি হিসেবে, 934 জন স্থানীয় সহ 5 হাজার 700 জন মানুষ প্রাণ হারায় ।
    2013 সালের কেদারনাথের মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
  • 2014 সালের অক্টোবরে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ আছড়ে পড়ে বিশাখাপত্তনমে ৷ হুদহুদের দাপটে কমপক্ষে 124 জন প্রাণ হারান ৷ ঝড়ের গতি ছিল 185 থেকে 215 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ৷
  • 2018 সালের মে মাসে টানা দু'দিন ধরে ধুলিঝড় হয় উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে ৷ ধুলিঝড়ে প্রাণ হারায় 125 জন ৷ আহত হয় আরও কমপক্ষে 200 জন ৷
  • 2018 সালের অগাস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় কেরালায় ৷ বন্যার প্রকোপে কমপক্ষে 438 জন মারা যায় ৷ প্রায় 10 লক্ষ মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে অন্যত্র সড়িয়ে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৷ রাজ্য জুড়ে জারি করা হয় কড়া সতর্কতা ৷
    2018 সালের কেরালার বন্যা
  • 2019 সালের এপ্রিলে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে অতি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ফণী ৷ ঝড়ের গতি ছিল 250 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ৷ ফণীর তাণ্ডবে প্রাণ হারান কমপক্ষে 89 জন ৷
  • 2019 সালের জুলাই মাসে গুজরাটের ভদোদরায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ৷ বন্যার কবলে প্রাণ হারান 8 জন ৷ 6 হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
  • 2019 সালের অগাষ্টে ফের কেরালায় ভয়াবহ বন্যা দেখা যায় ৷ বন্যার প্রকোপে কমপক্ষে 100 জন মারা যায় ৷


প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কাছে বারবার মাথা নুইয়েছে সভ্যতা ৷ কিন্তু প্রতিবারই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ৷ বিজ্ঞানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছে বিপর্যয়ের সঙ্গে ৷ কিন্তু, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াইয়ে সেই বিজ্ঞান কতটা হাত শক্ত করবে, সে প্রশ্নটা থেকেই গেল ।

Purulia (West Bengal), Dec 29 (ANI): The temperature is hovering on the lower levels in West Bengal's Purulia district. A thick layer of snow was seen over paddy straw. Farmers are facing problem due to this issue. According to the information given by scientist the similar weather will continue in the coming days as well.
Last Updated : Dec 31, 2019, 3:47 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.