তেহরান, 5 জানুয়ারি : অ্যামেরিকার বিমান অভিযানের তীব্র সমালোচনা করলেন ইরানের মন্ত্রী ৷ অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাদের হিটলিস্টে রয়েছে ইরানের 52টি এলাকা ৷ এবার এরই পাল্টা হুঁশিয়ারি ইরানের মন্ত্রী ৷ বললেন, কেউ ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে, প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত ইরান ৷ এদিকে গতকাল সোলেইমানির শেষযাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ ৷ সেই মিছিলেই স্লোগান উঠল 'অ্যামেরিকার মৃত্যু হোক' ৷
সোলেইমানির পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে কয়েক লক্ষ মানুষ পদযাত্রায় শামিল হন গতকাল। কফিনগুলি প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তর বাগদাদের একটি শিয়া তীর্থস্থানে। সেখান থেকে বিশাল পদযাত্রা হয় কারবালা শহরে। সোলেমানি বাদে অন্য নিহত সেনাদের শেষকৃত্য হয়েছে নজ়ফ শহরে। তার পরেই সোলেইমানির মরদেহ পাঠানো হয় ইরানে। সেই পদযাত্রা থেকেই স্লোগান তোলা হয় 'অ্যামেরিকা দূর হটো', 'অ্যামেরিকার মৃত্যু হোক' ৷ অ্যামেরিকা বিরোধী পোস্টারে ছেয়ে যায় মিছিল ৷ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও ৷
এদিকে ইরান কমান্ডারের মৃত্যুর পরে প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বলেন, অ্যামেরিকা দশকের পর দশক ধরে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে ৷ বেঁধেছে সংঘাতও ৷ কিন্তু তাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই ৷ কিন্তু কেউ যদি ইরানের বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করে ৷ তাহলে কীভাবে জবাব দিতে হবে, তা ইরান জানে ৷
-
People of Ahvaz, a city in the southwest of #Iran, are going to attend the funeral ceremony of #QasemSoleimani in Molavi square of the city. pic.twitter.com/ES6RW678qA
— کێشەی کۆمپیوتەر (@kishaycomputer) January 5, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">People of Ahvaz, a city in the southwest of #Iran, are going to attend the funeral ceremony of #QasemSoleimani in Molavi square of the city. pic.twitter.com/ES6RW678qA
— کێشەی کۆمپیوتەر (@kishaycomputer) January 5, 2020People of Ahvaz, a city in the southwest of #Iran, are going to attend the funeral ceremony of #QasemSoleimani in Molavi square of the city. pic.twitter.com/ES6RW678qA
— کێشەی کۆمپیوتەر (@kishaycomputer) January 5, 2020
আরও পড়ুন : পেন্টাগনের হিটলিস্টে ইরানের 52টি এলাকা, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ইরানের জঙ্গি নেতা নিধনের পর থেকে অ্যামেরিকার দূতাবাস ও সম্পত্তি নষ্ট করার কথা বলছে ইরান ৷ এদিকে ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন ইরান যদি অ্যামেরিকার কোনও দপ্তর বা কোনও আধিকারিকের উপর হামলা করে তাহলে চরম সংকটে পড়তে হবে সেদেশকে ৷ 2018 সালের মে মাসে ট্রাম্প আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান এবং ইরানের উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন । এরপর থেকেই দু'দেশের মধ্যে সংঘাত বেড়েছে আরও ৷ সেই প্রেক্ষিতেই ইরানের কমান্ডারকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে 'জবাব' দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৷