ETV Bharat / international

বিশ্বে নিরুদ্দেশ মহিলাদের তালিকায় ভারতের 4.58 কোটি, জানাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ - Report of United Nations

বিগত 50 বছরের নিরিখে বিশ্বে নিরুদ্দেশ মহিলার সংখ্যা 14.26 কোটি ৷ 30 জুন রাষ্ট্রসংঘের প্রকাশ রিপোর্টে জানানো হয়, এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চিন ৷ তারপরই রয়েছে ভারত ৷ বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিন ও ভারত মিলিয়ে বছরে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক 12-15 লাখ নিরুদ্দেশ মহিলাদের 90-95 শতাংশ লিঙ্গ নির্ধারণের কারণে হয়ে থাকে ৷

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jul 16, 2020, 8:15 PM IST

নিউ ইয়র্ক, 15 জুলাই : বিশ্বে নিরুদ্দেশ মহিলাদের তালিকায় ভারতের 4.58 কোটি মহিলা রয়েছে ৷ বিগত 50 বছরের নিরিখে বিশ্বে নিরুদ্দেশ মহিলার সংখ্যা 14.26 কোটি ৷ 30 জুন রাষ্ট্রসংঘের প্রকাশ রিপোর্টে জানানো হয়, এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চিন ৷ তারপরই রয়েছে ভারত ৷

2020 সালের বিশ্বের জনসংখ্যার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ করে ইউনাইটেড নেশন্স পপুলেশন ফান্ড (UNPFA) ৷ এই সংগঠনের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, বিগত 50 বছরে নিরুদ্দেশ মহিলাদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে ৷ 1970 সালে সংখ্যাটা ছিল 6.1 কোটি ৷ 2020-তে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 14.26 কোটি ৷

2020 সালের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী তালিকায় ভারতের নিরুদ্দেশ মহিলাদের সংখ্যা 4.58 কোটি এবং চিনে সেই সংখ্যাটা 7.23 কোটি ৷ সংস্থার তরফে বলা হয়, অনেক সময় অতীতে গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর লিঙ্গ নির্ধারণের প্রভাব নিরুদ্দেশ মহিলাদের উপর পড়েছে ৷ 2013 থেকে 2017 সালের মধ্যে প্রতি বছর জন্মানো মেয়েদের প্রায় 4 লাখ 60 হাজার মেয়ে নিরুদ্দেশ ৷ একটি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, নিরুদ্দেশ মেয়েদের তিন ভাগের দুই ভাগ লিঙ্গ নির্ধারণের কারণে জন্মানোর আগেই মৃত্যু হয় ৷ এছাড়া, তিন ভাগের এক ভাগ জন্মানোর পর মৃত্যুর কারণে হয় ৷

বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিন ও ভারত মিলিয়ে বছরে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক 12-15 লাখ নিরুদ্দেশ মহিলাদের 90-95 শতাংশ লিঙ্গ নির্ধারণের কারণে হয়ে থাকে ৷ এই দুই দেশ প্রতিবছর জন্মানোর তালিকাতেও শীর্ষে রয়েছে ৷

অ্যালকেমা, লিওনটাইন এবং অন্যরা 2014 সালের জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী শিশুদের লিঙ্গ অনুপাত, পাঁচ বছরের নিচে মৃত্যু ও দেশগুলিতে পরিচয়ের নিরিখে অনুপাতের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করেন ৷ তাঁদের করা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভারতে অতিরিক্ত মহিলা মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি ৷ প্রতি এক হাজার জন মহিলা প্রসবে তা 13.5 শতাংশ ৷ যা থেকে সন্দেহ করা হয়, পাঁচ বছরের নিচে থাকা ন'জন মেয়ের মৃত্যুর মধ্যে একজনের মৃত্যু জন্মের পর লিঙ্গ নির্ধারণের কারণে হয় ৷

রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, লিঙ্গ নির্ধারণের কারণগুলিকে খুঁজে বের করতে সরকারগুলিও পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে ৷ ভারত ও ভিয়েতনাম এই বাঁধাধরা লিঙ্গ নির্ধারণের বিষয়টি থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে সাহায্যের জন্য প্রচার শুরু করে ৷

তাঁরা মেয়েদের গুরুত্ব ও কীভাবে মেয়ে ও মহিলারা সমাজে ভালোর জন্য পরিবর্তন আনতে পারে সেই বিষয়ে নজর দেন ৷ মহিলাদের অগ্রগতি ও কৃতিত্ব উদযাপন করে এই প্রচারগুলি ৷ এই ধরনের প্রচার যে সব পরিবারে শুধু মেয়ে রয়েছে তাদের উৎসাহ বাড়াতে সাহায্য করবে বলে তাঁরা মনে করেন ৷ রিপোর্টে বলা হয়, ভারতে 'আপনি বেটি আপনা ধন'-এর মতো উদ্যোগ এবং স্কুলে উপস্থিতির ভিত্তিতে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার, বা স্কুলের ফিজ়, বই, পোশাক বা অন্যান্য জিনিসের খরচ বাবদ টাকা ট্রান্সফারের মতো শিক্ষা-সম্পর্কিত হস্তক্ষেপ সফল হয়েছে ৷

কিছু দেশের জনসংখ্যায় মহিলা ও পুরুষের এই অনুপাত প্রভাব ফেলে ৷ এই ভারসাম্যহীন অনুপাত বিবাহ ব্যবস্থাতেও প্রভাব ফেলে ৷ রিপোর্টে বলা হয়, যে সমস্ত দেশে বিবাহ সর্বজনীন, সেই সব দেশের পুরুষরা বিয়ে করতে দেরি করে মেয়ে না পাওয়ার জন্য ৷ "ম্যারেজ স্কুইজ়" যেখানে সম্ভাব্য কনের সংখ্যা সম্ভাব্য বরের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কমে গেছে ৷ ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশে এটি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং নিম্ন অর্থনৈতিক স্তরের বেশিরভাগ যুবককেই এটি প্রভাবিত করছে । বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, একই সময়ে এই ম্যারেজ স্কুইজ়ের ফলে বাল্যবিবাহের সংখ্যাও বাড়তে থাকে ৷

2055 সালে ভারতে ম্যারেজ স্কুইজ় বিষয়টি শীর্ষে থাকবে বলে কিছু গবেষকরা মনে করছেন ৷ 2050 সালের পর ভারতে 50 বছরের উর্ধ্বে একা থাকা পুরুষের সংখ্যা 10 শতাংশ বাড়বে ৷ রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মেয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান ও সম্মতিতে পরিবার, বন্ধু ও সম্প্রদায়ের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয় ৷ UNFPA রিপোর্ট অনুযায়ী, এমন 19 ধরনের ক্ষতিকারক রীতি বা প্রথা রয়েছে, যেগুলি মানব অধিকার লঙ্ঘন করে বলে ধরা হয় ৷

এই বছর 41 লাখ মেয়ে যৌনাঙ্গ বাদ দিয়ে দেওয়ার শিকার হয়েছে ৷ আজ 18 বছরের নিচে 33 হাজার মেয়েকে বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়েতে জোর করা হয় ৷ এছাড়া মেয়ে নয় ছেলে চাই, এই দাবিতেও অনেক মেয়েকে জোর করা হয় ৷ অতিরিক্ত অবহেলার ফলে অনেকের ছোটোবেলাতেই মৃত্যু হয় ৷ যার ফলে এই 14 কোটি নিরুদ্দেশ মহিলার তালিকা তৈরি হয়েছে ৷

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাল্য বিবাহ ও মহিলাদের যৌনাঙ্গ বাদ দিয়ে দেওয়ার ঘটনা বন্ধ করলে বিশ্বব্যাপী 10 বছরে পরিবর্তন আনা সম্ভব ৷ এর ফলে মেয়েদের স্কুলে বেঁচে থাকার কৌশল এবং ছেলে ও পুরুষদের সামাজিক পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে ৷ 2030 পর্যন্ত প্রতি বছর 3.4 বিলিয়ন ডলার নিয়োগের ফলে এই দুই ক্ষতিকারক প্রথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে ৷ যার ফলে প্রায় 8.4 কোটি মেয়ে বেঁচে যেতে পারে ৷

সম্প্রতি একটি বিশ্লেষণে প্রকাশ পেয়েছে যে, যদি কোরোনার জেরে ছয় মাসের জন্য পরিষেবা ও অনুষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকে তাহলে অতিরিক্ত 1.3 কোটি মেয়েকে বিয়ের জন্য জোর করা হবে ৷ এছাড়া, এখন থেকে 2030 পর্যন্ত 20 লাখের বেশি মেয়েরা যৌনাঙ্গ বাদ দেওয়ার শিকার হবে ৷

এই প্যানডেমিক আমাদের কাজকে আরও কঠিন ও জরুরি করে তুলেছে ৷ কারণ এখন আরও অনেক বেশি মেয়েরা বিপদের মধ্যে রয়েছে ৷

নিউ ইয়র্ক, 15 জুলাই : বিশ্বে নিরুদ্দেশ মহিলাদের তালিকায় ভারতের 4.58 কোটি মহিলা রয়েছে ৷ বিগত 50 বছরের নিরিখে বিশ্বে নিরুদ্দেশ মহিলার সংখ্যা 14.26 কোটি ৷ 30 জুন রাষ্ট্রসংঘের প্রকাশ রিপোর্টে জানানো হয়, এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চিন ৷ তারপরই রয়েছে ভারত ৷

2020 সালের বিশ্বের জনসংখ্যার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ করে ইউনাইটেড নেশন্স পপুলেশন ফান্ড (UNPFA) ৷ এই সংগঠনের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, বিগত 50 বছরে নিরুদ্দেশ মহিলাদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে ৷ 1970 সালে সংখ্যাটা ছিল 6.1 কোটি ৷ 2020-তে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 14.26 কোটি ৷

2020 সালের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী তালিকায় ভারতের নিরুদ্দেশ মহিলাদের সংখ্যা 4.58 কোটি এবং চিনে সেই সংখ্যাটা 7.23 কোটি ৷ সংস্থার তরফে বলা হয়, অনেক সময় অতীতে গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর লিঙ্গ নির্ধারণের প্রভাব নিরুদ্দেশ মহিলাদের উপর পড়েছে ৷ 2013 থেকে 2017 সালের মধ্যে প্রতি বছর জন্মানো মেয়েদের প্রায় 4 লাখ 60 হাজার মেয়ে নিরুদ্দেশ ৷ একটি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, নিরুদ্দেশ মেয়েদের তিন ভাগের দুই ভাগ লিঙ্গ নির্ধারণের কারণে জন্মানোর আগেই মৃত্যু হয় ৷ এছাড়া, তিন ভাগের এক ভাগ জন্মানোর পর মৃত্যুর কারণে হয় ৷

বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিন ও ভারত মিলিয়ে বছরে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক 12-15 লাখ নিরুদ্দেশ মহিলাদের 90-95 শতাংশ লিঙ্গ নির্ধারণের কারণে হয়ে থাকে ৷ এই দুই দেশ প্রতিবছর জন্মানোর তালিকাতেও শীর্ষে রয়েছে ৷

অ্যালকেমা, লিওনটাইন এবং অন্যরা 2014 সালের জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী শিশুদের লিঙ্গ অনুপাত, পাঁচ বছরের নিচে মৃত্যু ও দেশগুলিতে পরিচয়ের নিরিখে অনুপাতের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করেন ৷ তাঁদের করা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভারতে অতিরিক্ত মহিলা মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি ৷ প্রতি এক হাজার জন মহিলা প্রসবে তা 13.5 শতাংশ ৷ যা থেকে সন্দেহ করা হয়, পাঁচ বছরের নিচে থাকা ন'জন মেয়ের মৃত্যুর মধ্যে একজনের মৃত্যু জন্মের পর লিঙ্গ নির্ধারণের কারণে হয় ৷

রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, লিঙ্গ নির্ধারণের কারণগুলিকে খুঁজে বের করতে সরকারগুলিও পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে ৷ ভারত ও ভিয়েতনাম এই বাঁধাধরা লিঙ্গ নির্ধারণের বিষয়টি থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে সাহায্যের জন্য প্রচার শুরু করে ৷

তাঁরা মেয়েদের গুরুত্ব ও কীভাবে মেয়ে ও মহিলারা সমাজে ভালোর জন্য পরিবর্তন আনতে পারে সেই বিষয়ে নজর দেন ৷ মহিলাদের অগ্রগতি ও কৃতিত্ব উদযাপন করে এই প্রচারগুলি ৷ এই ধরনের প্রচার যে সব পরিবারে শুধু মেয়ে রয়েছে তাদের উৎসাহ বাড়াতে সাহায্য করবে বলে তাঁরা মনে করেন ৷ রিপোর্টে বলা হয়, ভারতে 'আপনি বেটি আপনা ধন'-এর মতো উদ্যোগ এবং স্কুলে উপস্থিতির ভিত্তিতে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার, বা স্কুলের ফিজ়, বই, পোশাক বা অন্যান্য জিনিসের খরচ বাবদ টাকা ট্রান্সফারের মতো শিক্ষা-সম্পর্কিত হস্তক্ষেপ সফল হয়েছে ৷

কিছু দেশের জনসংখ্যায় মহিলা ও পুরুষের এই অনুপাত প্রভাব ফেলে ৷ এই ভারসাম্যহীন অনুপাত বিবাহ ব্যবস্থাতেও প্রভাব ফেলে ৷ রিপোর্টে বলা হয়, যে সমস্ত দেশে বিবাহ সর্বজনীন, সেই সব দেশের পুরুষরা বিয়ে করতে দেরি করে মেয়ে না পাওয়ার জন্য ৷ "ম্যারেজ স্কুইজ়" যেখানে সম্ভাব্য কনের সংখ্যা সম্ভাব্য বরের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কমে গেছে ৷ ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশে এটি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং নিম্ন অর্থনৈতিক স্তরের বেশিরভাগ যুবককেই এটি প্রভাবিত করছে । বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, একই সময়ে এই ম্যারেজ স্কুইজ়ের ফলে বাল্যবিবাহের সংখ্যাও বাড়তে থাকে ৷

2055 সালে ভারতে ম্যারেজ স্কুইজ় বিষয়টি শীর্ষে থাকবে বলে কিছু গবেষকরা মনে করছেন ৷ 2050 সালের পর ভারতে 50 বছরের উর্ধ্বে একা থাকা পুরুষের সংখ্যা 10 শতাংশ বাড়বে ৷ রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মেয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান ও সম্মতিতে পরিবার, বন্ধু ও সম্প্রদায়ের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয় ৷ UNFPA রিপোর্ট অনুযায়ী, এমন 19 ধরনের ক্ষতিকারক রীতি বা প্রথা রয়েছে, যেগুলি মানব অধিকার লঙ্ঘন করে বলে ধরা হয় ৷

এই বছর 41 লাখ মেয়ে যৌনাঙ্গ বাদ দিয়ে দেওয়ার শিকার হয়েছে ৷ আজ 18 বছরের নিচে 33 হাজার মেয়েকে বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়েতে জোর করা হয় ৷ এছাড়া মেয়ে নয় ছেলে চাই, এই দাবিতেও অনেক মেয়েকে জোর করা হয় ৷ অতিরিক্ত অবহেলার ফলে অনেকের ছোটোবেলাতেই মৃত্যু হয় ৷ যার ফলে এই 14 কোটি নিরুদ্দেশ মহিলার তালিকা তৈরি হয়েছে ৷

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাল্য বিবাহ ও মহিলাদের যৌনাঙ্গ বাদ দিয়ে দেওয়ার ঘটনা বন্ধ করলে বিশ্বব্যাপী 10 বছরে পরিবর্তন আনা সম্ভব ৷ এর ফলে মেয়েদের স্কুলে বেঁচে থাকার কৌশল এবং ছেলে ও পুরুষদের সামাজিক পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে ৷ 2030 পর্যন্ত প্রতি বছর 3.4 বিলিয়ন ডলার নিয়োগের ফলে এই দুই ক্ষতিকারক প্রথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে ৷ যার ফলে প্রায় 8.4 কোটি মেয়ে বেঁচে যেতে পারে ৷

সম্প্রতি একটি বিশ্লেষণে প্রকাশ পেয়েছে যে, যদি কোরোনার জেরে ছয় মাসের জন্য পরিষেবা ও অনুষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকে তাহলে অতিরিক্ত 1.3 কোটি মেয়েকে বিয়ের জন্য জোর করা হবে ৷ এছাড়া, এখন থেকে 2030 পর্যন্ত 20 লাখের বেশি মেয়েরা যৌনাঙ্গ বাদ দেওয়ার শিকার হবে ৷

এই প্যানডেমিক আমাদের কাজকে আরও কঠিন ও জরুরি করে তুলেছে ৷ কারণ এখন আরও অনেক বেশি মেয়েরা বিপদের মধ্যে রয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.