ETV Bharat / international

ঘাড়ে আঘাতের কারণে মৃত্যু জর্জ ফ্লয়েডের, হত্যা; বলছে অটোপ্সি

author img

By

Published : Jun 2, 2020, 12:57 PM IST

জর্জের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে তাঁর হৃদরোগ ছিল । শরীরে ফেনটানিল ইনটক্সিকেশন এবং সম্প্রতি মেথামফেটামাইনের ব্যবহারের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে ।

george floyd
george floyd

মিনেপলিস, 2 জুন : নৃশংসতার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল কিছুদিন আগে । জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ের উপর হাঁটু দিয়ে চেপে রয়েছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মী । আর শ্বাস নেওয়ার জন্য কাতড়াচ্ছেন জর্জ । মৃত্যু হয় তাঁর । আজ তাঁর অটোপ্সি রিপোর্ট আসে । ঘাড়ে আঘাতের (নেক কম্প্রেশন)কারণেই তাঁর মৃত্যু । এই মৃত্যুকে ‘হত্যা’(হোমিসাইড) বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে ।

হেনেপিন কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনার ইন মিনেপলিসের তরফে তাঁর অটোপ্সি রিপোর্ট জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় । ‘কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্ট ল এন্ফোর্সমেন্ট সাবডুয়াল’ এবং ঘাড়ে আঘাত 46 বছরের জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর কারণ । তাঁর মৃত্যু আসলে হোমিসাইড বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে ।

এছাড়ারও জর্জের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে তাঁর হৃদরোগ ছিল । শরীরে ফেনটানিল ইনটক্সিকেশন এবং সম্প্রতি মেথামফেটামাইনের ব্যবহারের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে ।

মিনেপলিস পুলিশি হেপাজতে জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই উত্তাল হয়েছে অ্যামেরিকা । প্রতিবাদের স্লোগান মুখর মিনেপলিস, ওয়াশিংটন, সান ফ্রান্সিসকো-র মতো বড় বড় শহর । মোতায়েন হয়েছে সেনা । জারি হয়েছে কারফিউ । কিন্তু দমানো যায়নি সাধারণ মানুষকে । “আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে, আমায় শ্বাস নিতে দাও”- পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে অ্যামেরিকার রাজপথ । রাস্তায় নেমে ভাঙচুর, লুটপাটও চালান বিক্ষোভকারীরা । কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে । পরিবর্তে ফেরে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, ট্যাঙ্কার ট্রাক এবং আরও পুলিশি অত্যাচার ।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘হিংস্র কুকুর লেলিয়ে’ দেওয়ার হুমকি বা বিক্ষোভ ‘ঠান্ডা’ করে দেওয়ার হুমকিতে পিছু হটেননি বিক্ষোভকারীরা । পরবর্তীকালে জানা যায়, শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউসের গোপন বাঙ্কারে সরানো হয়েছিল প্রেসিডেন্টকে । কারণ সেই রাতে হোয়াইট হাউসের সামনে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ । ফ্যাসিবাদ বিরোধী দল ‘অ্যান্টিফা’-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রেসিডেন্ট । তারাই বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি । অ্যান্টিফা-কে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ঘোষণা করার পদক্ষেপও করা হয় ।

ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে কিংবা আশ্বাস দিয়ে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বিক্ষোভকারীদের । সেখানে এখনও নেভেনি প্রতিবাদের আগুন । জর্জের খুনের বিচার চেয়ে মিছিলে হাঁটছেন বহু মানুষ । সেই মিছিলে বর্ণ বিদ্বেষ নেই । কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্ক নেই । নিয়ন্ত্রণ নেই । জোর জুলুম নেই । অন্যায়ের বিরোধিতা আছে, ধৃত পুলিশ কর্মী ডেরেক শভিনের শাস্তির দাবি আছে । আর আছে স্লোগান, “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার” ।

মিনেপলিস, 2 জুন : নৃশংসতার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল কিছুদিন আগে । জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ের উপর হাঁটু দিয়ে চেপে রয়েছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মী । আর শ্বাস নেওয়ার জন্য কাতড়াচ্ছেন জর্জ । মৃত্যু হয় তাঁর । আজ তাঁর অটোপ্সি রিপোর্ট আসে । ঘাড়ে আঘাতের (নেক কম্প্রেশন)কারণেই তাঁর মৃত্যু । এই মৃত্যুকে ‘হত্যা’(হোমিসাইড) বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে ।

হেনেপিন কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনার ইন মিনেপলিসের তরফে তাঁর অটোপ্সি রিপোর্ট জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় । ‘কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্ট ল এন্ফোর্সমেন্ট সাবডুয়াল’ এবং ঘাড়ে আঘাত 46 বছরের জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর কারণ । তাঁর মৃত্যু আসলে হোমিসাইড বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে ।

এছাড়ারও জর্জের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে তাঁর হৃদরোগ ছিল । শরীরে ফেনটানিল ইনটক্সিকেশন এবং সম্প্রতি মেথামফেটামাইনের ব্যবহারের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে ।

মিনেপলিস পুলিশি হেপাজতে জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই উত্তাল হয়েছে অ্যামেরিকা । প্রতিবাদের স্লোগান মুখর মিনেপলিস, ওয়াশিংটন, সান ফ্রান্সিসকো-র মতো বড় বড় শহর । মোতায়েন হয়েছে সেনা । জারি হয়েছে কারফিউ । কিন্তু দমানো যায়নি সাধারণ মানুষকে । “আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে, আমায় শ্বাস নিতে দাও”- পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে অ্যামেরিকার রাজপথ । রাস্তায় নেমে ভাঙচুর, লুটপাটও চালান বিক্ষোভকারীরা । কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে । পরিবর্তে ফেরে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, ট্যাঙ্কার ট্রাক এবং আরও পুলিশি অত্যাচার ।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘হিংস্র কুকুর লেলিয়ে’ দেওয়ার হুমকি বা বিক্ষোভ ‘ঠান্ডা’ করে দেওয়ার হুমকিতে পিছু হটেননি বিক্ষোভকারীরা । পরবর্তীকালে জানা যায়, শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউসের গোপন বাঙ্কারে সরানো হয়েছিল প্রেসিডেন্টকে । কারণ সেই রাতে হোয়াইট হাউসের সামনে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ । ফ্যাসিবাদ বিরোধী দল ‘অ্যান্টিফা’-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রেসিডেন্ট । তারাই বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি । অ্যান্টিফা-কে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ঘোষণা করার পদক্ষেপও করা হয় ।

ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে কিংবা আশ্বাস দিয়ে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বিক্ষোভকারীদের । সেখানে এখনও নেভেনি প্রতিবাদের আগুন । জর্জের খুনের বিচার চেয়ে মিছিলে হাঁটছেন বহু মানুষ । সেই মিছিলে বর্ণ বিদ্বেষ নেই । কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্ক নেই । নিয়ন্ত্রণ নেই । জোর জুলুম নেই । অন্যায়ের বিরোধিতা আছে, ধৃত পুলিশ কর্মী ডেরেক শভিনের শাস্তির দাবি আছে । আর আছে স্লোগান, “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার” ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.