ওয়াশিংটন, 27 জানুয়ারি: দেশে জাতিবৈষম্য় দূর করতে একের পর এক নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন জো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে সকলের সমানাধিকার নিশ্চিত করবেন৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসে সেই প্রতিশ্রুতিই পালন করলেন বাইডেন৷
আমেরিকার 46তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেন দায়িত্ব নিয়েছেন সবে এক সপ্তাহ হয়েছে৷ মঙ্গলবার তাঁর মুখে উঠে আসে জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ঘটনা৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, গত বছরের মে মাসে মিনেসোটা পুলিশের এক আধিকারিকের হাতে খুন হতে হয় ওই কৃষ্ণাঙ্গকে৷ আমেরিকা তো বটেই, গোটা দুনিয়া এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে৷ প্রশ্নের মুখে পড়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকাও৷ কারণ, নানা সময়ে তাঁর মুখে এমন অনেক মন্তব্য় শোনা গিয়েছে, যা বর্ণবৈষম্য়কে উসকানি দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট৷ বাইডেনের প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি যদি ক্ষমতায় আসেন, তাহলে এর অবসান ঘটাবেনই৷
ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু চেপে তাঁকে খুন করেছিলেন মিনেসোটার ওই পুলিশ আধিকারিক৷ বাইডেনের মতে, ওই ঘটনা আদতে সুবিচারেরও টুঁটি চেপে ধরেছিল৷ কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে৷ বদলে গিয়েছে ভাবনা, মানসিকতা৷
এই প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময়েই আমি বলেছিলাম, আমেরিকায় বর্ণবৈষম্য় এবং পরিকল্পিত বর্ণবৈষম্য়ের গভীরে আমাদের পৌঁছতে হবে৷ সেই সময় এসে গিয়েছে৷ তা না হলে, সুদূর ভবিষ্য়তেও আমাদের এর ফল ভোগ করতে হবে৷’’
নয়া নির্দেশনামাগুলিতে সাক্ষর করার সময় বাইডেন বলেন, ‘‘সমানাধিকারের নীতির উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল এই রাষ্ট্র৷ এখানকার প্রত্য়েকটা মানুষ সমান৷ আমরণ তাঁরা তাঁদের এই অধিকার পাবেন৷ সময় এসেছে সমানাধিকারের নীতিকে নিশ্চিত করার৷’’
আরও পড়ুন: আমেরিকা-তালিবান চুক্তি নিয়ে পর্যালোচনার বার্তা হোয়াইট হাউসের
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় এশীয় বংশোদ্ভূতদের হেনস্থা নতুন কিছু নয়৷ মার্কিনিদের একাংশ কার্যত তাঁদের চোখের বালি মনে করেন৷ এই মানসিকতার বদল হওয়া দরকার বলে মনে করেন বাইডেন৷ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলি থেকে আসা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ প্রয়োজনে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷