ETV Bharat / headlines

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের ? ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ - ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ

চার দিন আগে থেকে বেপাত্তা স্ত্রী । তারপরেই গতকাল ঘর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ । অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে ওই যুবককে ।

Amit ghosh
মৃত
author img

By

Published : Nov 27, 2019, 4:59 AM IST

Updated : Nov 28, 2019, 5:49 AM IST

হাবরা, 27 নভেম্বর : চার দিন আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে স্ত্রী । আর তারপরেই গতকাল ঘর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ । মৃতের নাম অমিত ঘোষ(27) । অভিযোগ, অমিতকে খুন করা হয়েছে । আর এই কাজে করেছে অমিতের স্ত্রী ও তার প্রেমিক । গত রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার । তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । হাবরা থানার পৃথিবা পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামের ঘটনা ।

রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা অমিত ঘোষ । পাঁচ বছর আগে গ্রামেরই মেয়ে শুক্লা দে-কে বিয়ে করেন তিনি । প্রেম করেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের । কিন্তু এই বিয়ে মানতে অস্বীকার কর অমিতের পরিবার । তাই দক্ষিণ হাবরা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন অমিত ও শুক্লা । তাঁদের চার বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে । অমিতের পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি শুক্লা গাইঘাটার এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল । আর তা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত দু'জনের ।

ভাইয়ের মৃত্যুতে কী বলছে দাদা ? ভিডিয়োয় শুনুন

অমিতের দাদা প্রবীর ঘোষ জানান, চার দিন আগে গাইঘাটার ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় শুক্লা । অন্যদিকে গতকাল সকালে অমিত মাকে বলে যায় দুপুরে খেতে বাড়িতে আসবে । তাই যেন রান্না করে রাখা হয় । কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও অমিত না আসায় মা চিন্তা করতে থাকেন । পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে অমিতের মৃত্যুর খবর পায় তারা । সঙ্গে সঙ্গে অমিতের ভাড়াবাড়িতে যায় পরিবারের লোকেরা । সেখানেই ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় অমিতকে দেখতে পায় তারা । অমিতকে তাড়তাড়ি উদ্ধার করে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।

এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা । ক্ষুব্ধ হয়ে তারা শুক্লার বাপের বাড়িতে চড়াও হয় । ভাঙচুর করা হয় বাড়িতে । পরে হাবরা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । গত রাতেই শুক্লা সহ চার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে অমিতের পরিবার । শুক্লার খোঁজ না মেলায় পুলিশ বাকি তিন জনকে গ্রেপ্তার করে ।

হাবরা, 27 নভেম্বর : চার দিন আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে স্ত্রী । আর তারপরেই গতকাল ঘর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের ঝুলন্ত দেহ । মৃতের নাম অমিত ঘোষ(27) । অভিযোগ, অমিতকে খুন করা হয়েছে । আর এই কাজে করেছে অমিতের স্ত্রী ও তার প্রেমিক । গত রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার । তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । হাবরা থানার পৃথিবা পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামের ঘটনা ।

রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা অমিত ঘোষ । পাঁচ বছর আগে গ্রামেরই মেয়ে শুক্লা দে-কে বিয়ে করেন তিনি । প্রেম করেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের । কিন্তু এই বিয়ে মানতে অস্বীকার কর অমিতের পরিবার । তাই দক্ষিণ হাবরা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন অমিত ও শুক্লা । তাঁদের চার বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে । অমিতের পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি শুক্লা গাইঘাটার এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল । আর তা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত দু'জনের ।

ভাইয়ের মৃত্যুতে কী বলছে দাদা ? ভিডিয়োয় শুনুন

অমিতের দাদা প্রবীর ঘোষ জানান, চার দিন আগে গাইঘাটার ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় শুক্লা । অন্যদিকে গতকাল সকালে অমিত মাকে বলে যায় দুপুরে খেতে বাড়িতে আসবে । তাই যেন রান্না করে রাখা হয় । কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও অমিত না আসায় মা চিন্তা করতে থাকেন । পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে অমিতের মৃত্যুর খবর পায় তারা । সঙ্গে সঙ্গে অমিতের ভাড়াবাড়িতে যায় পরিবারের লোকেরা । সেখানেই ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় অমিতকে দেখতে পায় তারা । অমিতকে তাড়তাড়ি উদ্ধার করে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।

এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা । ক্ষুব্ধ হয়ে তারা শুক্লার বাপের বাড়িতে চড়াও হয় । ভাঙচুর করা হয় বাড়িতে । পরে হাবরা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । গত রাতেই শুক্লা সহ চার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে অমিতের পরিবার । শুক্লার খোঁজ না মেলায় পুলিশ বাকি তিন জনকে গ্রেপ্তার করে ।

Intro:স্ত্রী প্রণয়ীর হাত ধরে বেপাত্তা, ঘরে স্বামীর ঝুলন্ত

হাবরাঃ স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তিও কম হয়নি। চার দিন আগে প্রেমিকের হাত ধরে বেপাত্তা স্ত্রী। তারই মধ্যে রহস্যমৃত্যু স্বামীর। নাম অমিত বিশ্বাস। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিক-সহ স্ত্রী ও তার পরিবার পরিকল্পনা করে অমিতকে খুন করেছে। অমিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ পরিবার ও প্রতিবেশীরা চড়াও হন স্ত্রী শুক্লা বিশ্বাসের বাপের বাড়িতে। যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর করা হয় সেখানে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় হাবড়া থানার পৃথিবা পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সন্ধ্যায় অমিতের দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রাতেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবরা থানার পৃথিবী পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামেই বাড়ি অমিত ঘোষের (২৭)। বছর পাঁচেক আগে অমিত বিয়ে করেন একই গ্রামের শুক্লা দে-কে। প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। অমিতের পরিবারের লোকজন প্রথম দিকে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। অমিত ও শুক্লা বাড়ি ভাড়া করে অন্যত্র চলে যান। তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন দক্ষিণ হাবড়া এলাকায়। তাঁদের একটি চার বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শুক্লা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল গাইঘাটার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। তা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত অমিত আর শুক্লার মধ্যে। অমিতের দাদা প্রবীর ঘোষ বলেন, চার দিন আগে শুক্লা তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে চলে গিয়েছে। এদিন সকালের পর অমিত বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সে তার মাকে বলে গিয়েছিল, ফের সে দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসবেন।বাড়িতে ফিরে সে ভাত খাবে বলেই অমিত মাকে বলেছিল।ফলে আমরা সকলেই তার ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম। দুপুর গরিয়ে বিকেল হলেও সে না ফিরে আসায় মা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। পরে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে অমিতের মৃত্যুর খবর জানতে পারি।

তারপরই অমিতের পরিবারের লোকজন চলে আসেন অমিতের ভাড়াবাড়িতে।সেখানেই ঘরের ভিতর থেকে অমিতকে ওড়নার ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি অমিতকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন হাবড়া হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনরোষ গিয়ে পড়ে স্ত্রী শুক্লার বাপের বাড়ির লোকজনদের উপর। একজোট হয়ে তাঁরা চড়াও হন সেখানে। শুক্লার বাপের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান উত্তেজিত মানুষ। ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারি-সহ ঘরের ভিতরের ব্যাপক জিনিস ভাঙচুর চালান গ্রামবাসীরা। ভাঙচুরের খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে চলে আসে হাবরা থানার পুলিশ।উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

অমিকের পরিবারের অভিযোগ, অমিতের মৃত্যু একেবারেই স্বাভাবিক নয়। তাঁকে শুক্লা ও তার পরিচিতরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে।রাতেই অমিতের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্লা-সহ চার জনের বিরুদ্ধে হাবড়া থানায় খুনের অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।Body:স্ত্রী প্রণয়ীর হাত ধরে বেপাত্তা, ঘরে স্বামীর ঝুলন্ত

হাবরাঃ স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তিও কম হয়নি। চার দিন আগে প্রেমিকের হাত ধরে বেপাত্তা স্ত্রী। তারই মধ্যে রহস্যমৃত্যু স্বামীর। নাম অমিত বিশ্বাস। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিক-সহ স্ত্রী ও তার পরিবার পরিকল্পনা করে অমিতকে খুন করেছে। অমিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ পরিবার ও প্রতিবেশীরা চড়াও হন স্ত্রী শুক্লা বিশ্বাসের বাপের বাড়িতে। যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর করা হয় সেখানে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় হাবড়া থানার পৃথিবা পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সন্ধ্যায় অমিতের দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রাতেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবরা থানার পৃথিবী পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামেই বাড়ি অমিত ঘোষের (২৭)। বছর পাঁচেক আগে অমিত বিয়ে করেন একই গ্রামের শুক্লা দে-কে। প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। অমিতের পরিবারের লোকজন প্রথম দিকে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। অমিত ও শুক্লা বাড়ি ভাড়া করে অন্যত্র চলে যান। তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন দক্ষিণ হাবড়া এলাকায়। তাঁদের একটি চার বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শুক্লা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল গাইঘাটার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। তা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত অমিত আর শুক্লার মধ্যে। অমিতের দাদা প্রবীর ঘোষ বলেন, চার দিন আগে শুক্লা তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে চলে গিয়েছে। এদিন সকালের পর অমিত বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সে তার মাকে বলে গিয়েছিল, ফের সে দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসবেন।বাড়িতে ফিরে সে ভাত খাবে বলেই অমিত মাকে বলেছিল।ফলে আমরা সকলেই তার ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম। দুপুর গরিয়ে বিকেল হলেও সে না ফিরে আসায় মা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। পরে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে অমিতের মৃত্যুর খবর জানতে পারি।

তারপরই অমিতের পরিবারের লোকজন চলে আসেন অমিতের ভাড়াবাড়িতে।সেখানেই ঘরের ভিতর থেকে অমিতকে ওড়নার ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি অমিতকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন হাবড়া হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনরোষ গিয়ে পড়ে স্ত্রী শুক্লার বাপের বাড়ির লোকজনদের উপর। একজোট হয়ে তাঁরা চড়াও হন সেখানে। শুক্লার বাপের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান উত্তেজিত মানুষ। ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারি-সহ ঘরের ভিতরের ব্যাপক জিনিস ভাঙচুর চালান গ্রামবাসীরা। ভাঙচুরের খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে চলে আসে হাবরা থানার পুলিশ।উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

অমিকের পরিবারের অভিযোগ, অমিতের মৃত্যু একেবারেই স্বাভাবিক নয়। তাঁকে শুক্লা ও তার পরিচিতরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে।রাতেই অমিতের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্লা-সহ চার জনের বিরুদ্ধে হাবড়া থানায় খুনের অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।Conclusion:স্ত্রী প্রণয়ীর হাত ধরে বেপাত্তা, ঘরে স্বামীর ঝুলন্ত

হাবরাঃ স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তিও কম হয়নি। চার দিন আগে প্রেমিকের হাত ধরে বেপাত্তা স্ত্রী। তারই মধ্যে রহস্যমৃত্যু স্বামীর। নাম অমিত বিশ্বাস। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিক-সহ স্ত্রী ও তার পরিবার পরিকল্পনা করে অমিতকে খুন করেছে। অমিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ পরিবার ও প্রতিবেশীরা চড়াও হন স্ত্রী শুক্লা বিশ্বাসের বাপের বাড়িতে। যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর করা হয় সেখানে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় হাবড়া থানার পৃথিবা পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সন্ধ্যায় অমিতের দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রাতেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবরা থানার পৃথিবী পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামেই বাড়ি অমিত ঘোষের (২৭)। বছর পাঁচেক আগে অমিত বিয়ে করেন একই গ্রামের শুক্লা দে-কে। প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। অমিতের পরিবারের লোকজন প্রথম দিকে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। অমিত ও শুক্লা বাড়ি ভাড়া করে অন্যত্র চলে যান। তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন দক্ষিণ হাবড়া এলাকায়। তাঁদের একটি চার বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শুক্লা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল গাইঘাটার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। তা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত অমিত আর শুক্লার মধ্যে। অমিতের দাদা প্রবীর ঘোষ বলেন, চার দিন আগে শুক্লা তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে চলে গিয়েছে। এদিন সকালের পর অমিত বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সে তার মাকে বলে গিয়েছিল, ফের সে দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসবেন।বাড়িতে ফিরে সে ভাত খাবে বলেই অমিত মাকে বলেছিল।ফলে আমরা সকলেই তার ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম। দুপুর গরিয়ে বিকেল হলেও সে না ফিরে আসায় মা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। পরে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে অমিতের মৃত্যুর খবর জানতে পারি।

তারপরই অমিতের পরিবারের লোকজন চলে আসেন অমিতের ভাড়াবাড়িতে।সেখানেই ঘরের ভিতর থেকে অমিতকে ওড়নার ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি অমিতকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন হাবড়া হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনরোষ গিয়ে পড়ে স্ত্রী শুক্লার বাপের বাড়ির লোকজনদের উপর। একজোট হয়ে তাঁরা চড়াও হন সেখানে। শুক্লার বাপের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান উত্তেজিত মানুষ। ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারি-সহ ঘরের ভিতরের ব্যাপক জিনিস ভাঙচুর চালান গ্রামবাসীরা। ভাঙচুরের খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে চলে আসে হাবরা থানার পুলিশ।উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

অমিকের পরিবারের অভিযোগ, অমিতের মৃত্যু একেবারেই স্বাভাবিক নয়। তাঁকে শুক্লা ও তার পরিচিতরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে।রাতেই অমিতের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্লা-সহ চার জনের বিরুদ্ধে হাবড়া থানায় খুনের অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
Last Updated : Nov 28, 2019, 5:49 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.