কলকাতা, 18 অগস্ট: শেষ হতে চলেছে বাংলা ধারাবাহিক 'খড়কুটো'। 17 অগস্ট দু'বছর সম্পূর্ণ হবে ধারাবাহিকের । দু'বছরের জার্নির দ্য এন্ড হতে চলেছে এবার । কিন্তু সেটা হ্যাপি এন্ডিং নয় তা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন দর্শকরা । আগের দিনের পর্বে দেখানো হয়েছে যে ব্রেন টিউমারে মারা গিয়েছে দর্শকের প্রিয় গুনগুন । আর তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছে অনেকে । লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ধারাবাহিকটি বয়কট করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেউ কেউ ।
লেখিকা কোনওকালেই সোশাল মিডিয়ার কথায় কর্ণপাত করেন না । নিজের ছন্দে যুক্তি দিয়ে গল্প এগিয়ে নিয়ে চলেন । আর তাতেই হয় বাজিমাত । 2020 সালের 17 অগস্ট থেকে যাত্রা শুরু হয় এই ধারাবাহিকের । সন্ধে সাড়ে সাতটার স্লটে সম্প্রচারিত হত 'খড়কুটো'। পরেরপর বেশ কয়েকবার বেঙ্গল টপার হয় এই ধারাবাহিক । এরপর প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে একসময় পিছিয়েও পড়ে গুনগুনের পরিবার । কিন্তু গুনগুনের প্রতি দর্শকের ভালোবাসা কমেনি এতটুকুও । বড়লোক ডাক্তার বাপের দুলালি মেয়ে একজন সম্পূর্ণ মানুষে পরিণত হয় শ্বশুরবাড়ির ছত্রছায়ায় এসে ।
![Trina Saha on Khorkuto](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/khorkuto_18082022113622_1808f_1660802782_398.jpg)
মধ্যবিত্ত শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলিকে দু'হাতে আগলে ধরে সে । পরিবারও অচল হয়ে পড়ে গুনগুনকে ছাড়া । এহেন গুনগুন এরপর মা হয় । কিন্তু ব্রেন টিউমারের মতো জটিল অসুখ দানা বাঁধে তার শরীরে । চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেও শেষ রক্ষা করতে পারেন না । অবশেষে মৃত্যু হয় দর্শকের প্রিয় গুনগুনের । এই পর্যন্ত দেখে ফেলেছেন দর্শক । এরপর কী হতে চলেছে তা আন্দাজ করে গর্জে উঠেছেন অনেকে ।
এই ব্যাপারে গুনগুন কী বলছেন তা জানতে চাইলে(Trina Saha Shares Her Thoughts on Khorkuto) ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "দর্শক যে গুনগুনকে এতটা ভালোবেসেছে সেটা খড়কুটোর তো বটেই, আমার জন্যও বড় পাওয়া । গুনগুন তার শ্বশুরবাড়িতে এসে অনেক কিছু শিখেছে । সে এসব জানত না । সে সম্পূর্ণ হয়েছে এখানে । মা-ও হয়েছে । অর্থাৎ একটা মেয়ের জীবনের চক্র দেখিয়েছেন লীনাদি । তাই গল্পটা মানুষ এত ভালোবেসেছে । কয়েক সপ্তাহ বাংলার টপার হয়েছে । এরপর আমাদের সময়ও টিআরপি'র কারণে পালটেছে । তাও মানুষ আমাদের ভালোবেসেছে। এর থেকে বড় পাওয়া কী হতে পারে? আর পড়ে রইল মানুষের সোশাল মিডিয়ায় কমেন্ট । মানুষ যে কতটা ভালোবাসে গুনগুন সহ সবাইকে তা এর থেকেই বোঝা গেল । "
আরও পড়ুন: ঠিক কেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের গল্প এলো টেলিভিশনে
এই প্রসঙ্গে তৃণা আরও বলেন, "ব্রেন টিউমারে ৯০ শতাংশ মানুষ মারা যায়। এখানে লীনাদি যেটা দেখাতে চাইছেন সেটা যুক্তি দিয়ে বিচার করেই দেখাচ্ছেন। তাই ভরসা রাখুন সবাই। একটু ধৈর্য ধরুন। শেষ পর্ব পর্যন্ত ধারাবাহিকটি দেখুন। তা হলে আর ক্ষোভ বা রাগ থাকবে না লীনাদি'র উপর। আমি কথা দিচ্ছি।" অতএব অপেক্ষা করা ছাড়া আর খুব একটা কিছু করার নেই এখন।