কলকাতা, 26 অগস্ট: একইদিনে মুক্তি পেয়েছে দুটি বাংলা ছবি 'কলকাতা চলন্তিকা' এবং 'লক্ষ্মীছেলে'(Lokkhi Chele And Kolkata Chalantika )। প্রথমটির পরিচালক পাভেল। দ্বিতীয়টি বানিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয় প্রতিযোগিতা । হল কম-বেশি পাওয়া না পাওয়া, পছন্দমতো শো টাইম পাওয়া না পাওয়া নিয়ে সন্তোষ-অসন্তোষও থাকবেই । এরই মাঝে মুক্তি পাচ্ছে দুটি মর্মস্পর্শী বাংলা ছবি ।
প্রথমে আসি 'কলকাতা চলন্তিকা'র কথায় । পাভেল এই ছবি বানিয়েছেন 2016 সালে পোস্তা উড়ালপুর ভেঙে পড়ার কাহিনিকে সম্বল করে (Pavel Directional Kolkata Chalantika)। সবমিলিয়ে তিনদিনের গল্প দেখানো হয়েছে । ব্রিজ ভেঙে পড়ার আগের দিন, ব্রিজ ভেঙে পড়ার দিন আর তার পরের দিন । মানুষের হাহাকার, অসহায়তা, প্রেম সব নিয়েই এই ছবি ।
অন্যদিকে 'লক্ষ্মী ছেলে' বিহারের বুকে ঘটে যাওয়া এক সত্য কাহিনির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি । চারটি হাত আছে এমন একটি শিশু জন্ম নিলে সমাজে তাকে দেবী হিসেবে ধরে নেওয়া হয় । আর তাকে ঘিরে চলে ব্যবসা । এমন এক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় । আর তার পরেই সেটাকে নিজের গল্পে বন্দি করেছেন পরিচালক । দুই তরফেই চলছে জোরদার প্রচার কর্মসূচী ।
'কলকাতা চলন্তিকা'র প্রচারে অপরাজিতা আঢ্যকে দেখা গিয়েছে ব্যস্ত সকালে শহরে ট্রাফিক সামলাতে । একইভাবে টিম 'লক্ষ্মী ছেলে' শহরের নানা জায়গায় স্ট্রিট প্লে করছে । এই স্ট্রিট প্লে'র পরিচালনাতেও কৌশিক (Kaushik Ganguly Directional Lokkhi Chele) । সব মিলিয়ে বলা যায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নেমে পড়েছে উভয়পক্ষই । তা হলে কি ছবির ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রচারই একমাত্র হাতিয়ার?
পাভেল বলেন,"প্রচার তো অবশ্যই প্রয়োজনীয় । ছবি বানানোর পর সকলেই নানাভাবে প্রোমোশনের কথা ভাবেন৷ আমার মনে হয় সিনেমার প্রোমোশন যতটা ইউনিক করা যায় তা ছবির পক্ষেই ভাল । প্রোমোশনের মাধ্যমে সাধারণের কাছে পৌঁছনো যায় সহজেই (Pavel on Kolkata Chalantika )।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা হয়ত অনেক বেশি হল পাব না । আমরা হয়ত শো টাইম অনেক কম পাব । বাজে সময় দেওয়া হবে আমাদের । তাও সবাইকে অনুরোধ আমাদের ট্রেলার ভাল লাগলে, গান ভাল লাগলে হল ভরিয়ে দিন । শো গুলো হাউজফুল গেলে আমার মনে হয় শো বাড়বে ।"
আরও পড়ুন: ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 102তম জন্মদিনে বড় খবর, আসছে যমালয়ে জীবন্ত ভানু
পাভেল বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, "খুব বেশি হল এখনও পাইনি । সব জায়গায় একটা করে শো । তাও সেই 7 টা 45-এর মতো সময়ে । কিছু করার নেই । কেন বেশি হল পেলাম না, কেন ভাল শো টাইম পেলাম না, কারা পেল, আমরা কেন পেলাম না তা নিয়ে কান্নাকাটি তো করতে পারব না । লাভ নেই । দর্শককে অনুরোধ হল ভরিয়ে দিন যদি ট্রেলার, গান ভাল লেগে থাকে। 25 তারিখ প্রিমিয়ারে বিকেল চারটে-তে সাউথ সিটি, হাইল্যান্ড পার্কের 6টা 50-এর শো, প্রিয়াতে সন্ধে সাতটার শো পেয়েছি আমরা। আমার বিশ্বাস শো হাউজ ফুল হলে শো বাড়বে এবং সিনেমা হলও বাড়বে।"