কলকাতা, 3 জানুয়ারি: আজ রাতের আকাশে তারাদের পাশে আরও এক তারার উপস্থিতি । আর সেই তারার নাম সুমিত্রা । কিংবদন্তির এই চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না বাংলার সংগীত মহল । 89 বছর বয়সি এই বর্ষীয়ান গায়িকা বেশ কিছুদিন ধরেই ভুগছিলেন ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায় ৷ অবশেষে মঙ্গলবার শেষ সমস্ত লড়াই ৷
শোকপ্রকাশ করে এদিন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, "সুমিত্রাদি ডাকতাম । কিন্তু উনি আমার মাতৃসম ছিলেন । 12-15 টা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছিলাম ওঁর কাছ থেকে । রবীন্দ্র ভারতীতে পড়াতেন । আমি তখন পড়তাম ওখানে । আমাকে পুত্রের মতো স্নেহ করতেন সুমিত্রাদি । শুনেছিলাম অসুস্থ । আজকাল আর হাসপাতালে গিয়ে কাউকে দেখতে যেতে মন চায় না । আমারও তো বয়স হচ্ছে । ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন । আর তো বেশিদিন বাকি ছিল না জন্মদিনের । ভেবেছিলাম এবার জন্মদিনে ওঁর বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসব । তার আগেই সকাল সকাল এই খবর পেলাম । খুব খারাপ লাগছে (Pandit Ajay Chakraborty Shares his Thoughts on Sumitra Sen)।"
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী আরও বলেন, "সবাই বলেন সুমিত্রা সেন তো রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী । আসলে অনেকেই জানেন না উনি যেমন রবীন্দ্র সংগীত গাইতেন তেমনই গাইতেন ভজন এবং আধুনিক । কী মিষ্টি গলা ছিল দিদির! সব ধরনের গান গাইতে পারতেন সেই গানের ঢঙেই নিজস্ব কায়দায় । অসাধারণ সারল্য ছিল স্বভাবে । একইসঙ্গে স্পষ্টবাদী ছিলেন । সোজাসুজি কথা বলতেন (Sumitra Sen Passes Away)।"
আরও পড়ুন: তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে ! তারার দেশে সুমিত্রা সেন, অভিভাবকহীন 'ত্রিবেণী'
অজয়বাবুর কণ্ঠস্বরেই বোঝা যায় মনটা তাঁর একেবারেই ভালো নেই। তিনি বলেন, "বয়স্কদের মধ্যে কেউ তো আর সেভাবে নেই । আমাকে তাই এঁরা চলে গেলে বলতে হয় । আপনারা ফোন করেন । কষ্ট হয় ঠিকই, আবার স্মৃতি আওড়াতে পেরে একটু হালকা হই (Pandit Ajay Chakraborty on Sumitra Sen )।"