কলকাতা, 5 জুন: প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের 'আদরিণী' অবলম্বনে অভিনেতা দেবদূত ঘোষ বানিয়েছেন বাংলা ছবি 'আদর'। ছবিতে হস্তিনী আদরিণীর বাবা জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে রজতাভ দত্তকে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস অর্থাৎ সোমবার সামনে এসেছে ছবির পোস্টার ৷
ছবির পোস্টার শেয়ার করে সংলাপ রচয়িতা পদ্মনাভ দাশগুপ্ত লিখেছেন, "বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এমন এক পৃথিবী আমাদের স্বপ্ন যেখানে পশু, পাখি, গাছপালা, প্রকৃতি সবার সঙ্গে মানুষের বসবাস হোক। বন্য প্রাণ, প্রকৃতি ধ্বংস করে মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব না। ভালো থেকো পরিবেশ, ভালো থেকো বন্য প্রাণ, জঙ্গল, গাছপালা, ঝরনা, পাহাড়।"
এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে ত্রিপুরায়। রজতাভ দত্ত ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী প্রমুখ। পরিচালনা, কাহিনি ও চিত্রনাট্য দেবদূত ঘোষের। সংলাপ লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। 23 জুন ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে প্রেক্ষাগৃহে। পরিচালক এদিন ইটিভি ভারতকে বলেন, "পৃথিবীটা মানুষের একার নয়, গাছপালা, পশু-পাখি এমনকী একটা পিঁপড়েরও। কিন্তু মানুষ সেটা বোঝে না। সে তো দাম্ভিক। সে ভাবে পৃথিবীটা তাঁর একার। সে সারাদিন এসি চালায়, বোমা ফাটায়, গুলি ছোঁড়ে ৷ তাঁর ছোঁড়া মিসাইল গিয়ে লাগে যাত্রীবাহী বিমানে। এগুলো কি মানুষের ভূমিকা? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তো চলছেই অস্বীকার করার উপায় নেই।"
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
তিনি আরও বলেন, "হিউম্যান-অ্যানিম্যাল কনফ্লিক্ট বাড়ছে দিনদিন। সকলেই জানেন, গত বারো বছরে 16 শতাংশ জঙ্গল কমে গিয়েছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে তো ভাবতেই হবে কীভাবে সুস্থভাবে বাঁচব আমরা। এর পরে বাঘ নিয়েও ছবি বানানোর কথা মাথায় আছে।" শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, "অনেক কষ্ট, অনেক বাধা পেরিয়ে কাজটা শেষ করেছি। ত্রিপুরার কৈলাশহরে শ্যুটিং হয়েছে। পাঁচটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতি নিয়ে কাজ করেছি। সকলেই খুব সহযোগিতা করেছেন। খুব ডিসিপ্লিনড ওরা। ওই গ্রামে খান তিরিশেক হাতি আছে। সেগুলির মধ্যে পাঁচটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতিকে নিয়েই কাজ করেছি আমরা।"
আরও পড়ুন: জঙ্গলে 'মিতিন মাসি'র শ্যুটিংয়ের ফাঁকে মন্দির দর্শনে কোয়েল, শেয়ার করলেন ভিডিয়ো
গল্প অনুযায়ী জয়রাম একজন নামকরা মোক্তার ছিল। তার মেজাজ ছিল রুক্ষ কিন্তু মন ছিল নরম। যৌবনে বদরাগী ছিল তবে এখন সে অনেকটাই ঠান্ডা প্রকৃতির। তার স্নেহের কন্যা আদরিণী ছিল তাঁর নয়নের মণি। বাবার কাজ চলে যাওয়ায় প্রতিদিন হস্তিনী কন্যার খাবারের জোগান দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। কেন না হাতি পোষা সহজ ব্যাপার নয়। বেশ ব্যয়বহুল। কিন্তু বাবা এবং মেয়ে কেউ তো কাউকে ছাড়বে না। এরপর কী হল? প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের এই লেখা প্রায় সকলেরই জানা। এবার পর্দায় দেখা অপেক্ষামাত্র। সেই দিনটিও আসন্ন।