কলকাতা, 17 মে : কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায়কে মনে রেখেই অপরাজিত রায়কে তৈরি করেছেন পরিচালক অনীক দত্ত ৷ তাঁর নতুন ছবি 'অপরাজিত'-এর গল্প হল সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’ নির্মাণের ঘটনা ৷ ছবি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কের মুখে পড়েছেন পরিচালক । এর জন্য তিনি যে প্রস্তুত, সে কথাও ইটিভি ভারতকে আগেই জানিয়েছেন অনীক দত্ত (Anik Dutta Film Aparajito)।
ছবিটি মুক্তি পেয়েছে 13 মে । কিন্তু তা প্রদর্শনের জায়গা পায়নি নন্দন এবং রাধাতে । এই নিয়েও তেমন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি পরিচালককে । কিন্তু ট্রেলার সামনে আসতে না আসতেই যেমন মন জিতে নিয়েছিলেন ছবির চরিত্ররা ৷ তেমনই ছবি মুক্তির সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগেনি 'অপরাজিত'-র । বিশেষত অপরাজিত বেশি জিতু কমলকে দেখে তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই ৷ সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায় প্রশংসা করেছেন এই ছবির । প্রবীণ পরিচালক শ্যাম বেনেগালও প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনীক এবং তাঁর অপরাজিত জিতুর ।
আইএমডিবির রিপোর্ট অনুসারে ছবির রেটিং 9.4 । যা বিগত কয়েক বছরে কোনও বাংলা ছবি পায়নি । এমনকি দক্ষিণ ভারতের বিগ বাজেটের বহু আলোচিত ছবি ‘কেজিএফ-চ্যাপ্টার 2’ ছবির রেটিং 8.8, যা 'অপরাজিত'র থেকে বেশ খানিকটা কম । শুধু বাংলাতে নয়, এই রেটিং সারা ভারতের হিসেব অনুযায়ী । বাংলার পাশাপাশি মুম্বইতে খুব ভাল ব্যবসা করেছে ছবি ।
'টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব' এবং 'লন্ডন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'-এও দেখানো হবে ‘অপরাজিত’ । 'ফেলুদা' তথ্যচিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক তথা সন্দীপ রায়ের প্রাক্তন সহকারী সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায় তাঁর সামাজিক মাধ্যমে অনেক কথার মাঝে লেখেন, "এই ছবির পর অনীকদা আমার কাছে স্টার ডিরেক্টর ।" প্রসঙ্গত, সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায় হাত দিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের 'মাস্টার অংশুমান' ছবির কাজে ।
আরও পড়ুন: কেন হঠাৎ নিজেকে ড্রাকুলার সঙ্গে তুলনা করলেন সৃজিত!
অপরাজিত হিসেবে জিতু কমলকে কতটা মানাবে বা আদৌ মানাবে কিনা তা নিয়েও অনেক কথা ওঠে একসময় । বলা বাহুল্য, সেই জায়গাতেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন জিতু। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ টলিপাড়া । এই ব্যাপারে জিতুর কাছে তাঁর অনুভূতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমি নিন্দেই কোনওদিন গায়ে মাখিনি । তা হলে প্রশংসা কেন গায়ে নেব? আমাদের জীবনে সবই আপেক্ষিক । আজ আছে কাল নেই । এরপরেও যদি একইভাবে ভাল কাজ করে যেতে না পারি তা হলে এই প্রশংসা কদিন? হিন্দিতে একটা গান আছে, "ম্যায় পল দো পল কা শ্যায়ার হুঁ.."- গানটা আমার এই কারণেই পছন্দ । সবই আপেক্ষিক । কিছুই চিরস্থায়ী নয় । অনেককেই দেখেছি প্রথম দু-তিনটে কাজে প্রশংসার বন্যায় ভেসে গিয়ে তাদের আর পরে খুঁজে পাওয়া যায়নি । আমি সেই স্রোতে ভাসতে চাই না । প্রশংসা হচ্ছে, ভাল লাগছে ওটুকুই । ভাসতে চাই না ।"