কলকাতা, 30 জুন: বেশ কয়েক বছর পর ফের বড় পর্দায় ইন্দ্রাণী হালদার । এতদিন টেলিভিশনে বেশ ব্যস্ত ছিলেন তিনি । ব্যস্ত ছিলেন রাজ্যের শাসক দলের সদস্যা হিসেবেও । দু'দিক সমান তালে বহাল রেখেই এবার বড় পর্দায় অনেকদিন পর দেখা যাবে সকলের প্রিয় গোয়েন্দা গিন্নি এবং শ্রীময়ী ইন্দ্রাণী হালদারকে । সুদীপ দাসের পরিচালনায় আগামী 15 জুলাই দর্শক দরবারে আসছে 'কুলের আচার'।
এই ছবিতে মিতালির ভূমিকায় অভিনয় করবেন ইন্দ্রাণী হালদার । বাবার পদবীর সঙ্গে তাঁর বংশ পরিচয় জড়িয়ে আছে । মিঠির শ্বশুর প্রাণতোষ তার এই সিদ্ধান্তে বাধ সাধে । আর মিতালি? সে কী করে? সেও একটা সময় নিজের বাবার বাড়ির পদবী লেখার সিদ্ধান্ত নেয় । ট্রেলার তেমনটাই জানান দেয় । বাকিটা জানতে হলে দেখতে হবে ছবিটি । 'শ্রীময়ী' ধারাবাহিকের দৌলতে ইন্দ্রাণী হালদার দর্শকের হৃদয়ে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য । যা অবশ্য 'গোয়েন্দা গিন্নি'র সময়েও ঘটেছিল ।
এবার বড় পর্দায় আরেক শাশুড়ির অবতারে আসছেন ইন্দ্রাণী হালদার । এই অবতারের নাম মিতালি । এই ব্যাপারে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, শ্রীময়ীর পর এবার কি মানুষ মিতালির মতো শাশুড়ি খুঁজবে? অভিনেত্রী সহাস্যে বলেন(Indrani Haldar Opens Up About Kuler Achaar), "শ্রীময়ী একটা ইতিহাস । তাকে কেউ ভুলবে না কোনওদিন । শ্রীময়ীর মতো শাশুড়ি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার ৷ তবে, এবার মিতালি আসছে নিজের জায়গা দর্শককে বুঝিয়ে দিতে এবং নিজের জায়গা বুঝে নিতে । ইতিমধ্যেই ট্রেলারের দৌলতে মিতালি অনেকের কাছে সমাদর পেয়ে গিয়েছে । বাকিটার জন্য 15 জুলাই অবধি অপেক্ষা ।"
আরও পড়ুন: হাজির টক ঝাল মিষ্টি 'কুলের আচার'-এর ট্রেলার, কী বলছেন ইন্দ্রাণী-নীলরা
ছবি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইন্দ্রাণী হালদার বলেন, "কুলের আচার যেমন টক ঝাল মিষ্টি, এই ছবিটিও সেরকমই । একই সঙ্গে এখানে কোনও বংশের আচার-বিচার, নিয়ম-নীতির কথাও বলা হয়েছে । খুব হালকা চালে একটা সিরিয়াস বিষয়কে তুলে ধরেছেন সুদীপ । এখানে জ্ঞান দেওয়া হয়নি কোনও । শুধু চারপাশে যেটা আমরা ঘটতে দেখি সেটাই দেখানো হয়েছে । সব ছবিই মেসেজ দেয় না । এটাও সেরকম । একটা মেয়ে তার বাপের বাড়ির পদবী না বদলাতে চাইলে কী হয় তা এখানে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে । আর যাঁরা বদলায় তাঁরা কি ভুল করে? নাকি যারা বদলায় না তারা অপরাধ করে ফেলে? আর না বদলালে ঠিক কোন কোন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় সেটাই অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ।"
অভিনেত্রী আরও বলেন যে, এই ছবিতে বৌমা এসে যখন বোমা ফাটায় তখন মিতালি হতভম্ব হয়। নড়েচড়ে বসে। পরে দুজনের চাওয়া-পাওয়া-ইচ্ছেগুলো এক হয়ে যায়। গল্পের শেষটা নাকি মারাত্মক। তাই সকলকে 'কুলের আচার' দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিনেত্রী।