কলকাতা, 9 জুন: ইতিমধ্যেই ওটিটিতে হাজির সন্দীপ রায় পরিচালিত 'হত্যাপুরী'৷ দীর্ঘ ছয় বছর পর গত বছর ডিসেম্বরে বড় পর্দায় আসে 'ফেলুদা'। এবার ওটিটিতেও চলে এসেছে এই ছবি। ইতিমধ্যেই তা দেখে ফেলেছেন অনেক দর্শক। 'হত্যাপুরী'তে ফেলুদার চরিত্রে সন্দীপ রায় নিয়ে আসেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। আপ্লুত অভিনেতা ৷
ওটিটিতে ফেলুদার গল্প 'হত্যাপুরী' আসা নয়ে অভিনেতা বলেন, "আমরা অনেক সিনেমা হল ভিসিট করেছি। মানুষের উৎসাহ দেখে আমি আপ্লুত হয়েছি। হত্যাপুরী তাঁদের ভালো লেগেছে বুঝতে পেরেছি। জি ফাইভের দর্শক সংখ্যা মন্দ নয়। ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ দেখবেন নতুন ফেলুদাকে। আমার মনে হয় থিয়েটার রিলিজ থেকে আমরা যা উপার্জন করেছি তা ওটিটি রিলিজের পর আরও বাড়বে।"
উল্লেখ্য, এই ছবিতে তোপসের চরিত্রে আয়ুশ দাস, লালমোহন গাঙ্গুলির চরিত্রে অভিজিৎ গুহ-কে দেখা গিয়েছে। তোপসে কিংবা লালমোহন বাবুকে নিয়ে মানুষের মধ্যে খুব বেশি নাক উঁচু ভাব না থাকলেও ছিল ফেলুদাকে নিয়ে। অনেকেই মেনে নিতে পারেননি এই নতুন ফেলুদাকে। তাঁরা আজও ফেলুদা হিসেবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী চক্রবর্তীতেই মজে আছেন। এই ব্যাপারে ইন্দ্রনীলের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, "সাধারণত আমি কারোর কাজের রেফারেন্স পছন্দ করি না। আমি অনুকরণের ঘোর বিরোধী। সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজ আমি দেখতে পারতাম কিন্তু সন্দীপ রায় আমাকে বারণ করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি যদি তা করি তবে তা আমার মাথায় থাকবে। তিনি আমাকে যতটা সম্ভব ভিজ্যুয়ালাইজ করতে, চিন্তা করতে এবং পড়তে বলেছিলেন। কাউকে অনুকরণ করতে বারণ করেছিলেন।সন্দীপ দা আমাকে নিজেই বলেন, যদি কিছু সংশোধন করার প্রয়োজন হয়, তবে তিনিই তা করবেন। উনি মনে করেন সব অভিনেতার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব রয়েছে। উনি নিজেও জানতেন, আমি ব্যর্থ হলে উনিও ব্যর্থ হবেন ৷ তাই আমি আমার সবটা দিয়ে নিজের ছন্দে কাজ করে গিয়েছি।"
অভিনেতা আরও বলেন, "চরিত্রটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম এটা খুব সত্যি কথা। কারণ আমি কলকাতায় থাকি না। ফেলুদা চরিত্র বাঙালির মনের খুব কাছের ৷ তাই সেখানে একটা ভয় কাজ করছিল। কলকাতার মানুষদের মধ্যে কথাবার্তা চাল চলনে যে বাঙালিয়ানা রয়েছে তা আমার মধ্যে নেই। এর জন্য আমাকে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। ফেলুদার জন্য আমি আমার বাংলা উচ্চারণ মেরামত করেছি। আমি বাংলা বই পড়তাম, অনুশীলন করতাম।"
আরও পড়ুন: জয়দীপের হাত ধরে আসছে উল্লাস মল্লিকের 'ডুগডুগি'
সন্দীপ রায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইন্দ্রনীল বলেন, "সন্দীপ রায় আমার দেখা ভালো পরিচালকের বাইরেও একজন দুর্দান্ত মানুষ। অত্যন্ত শান্ত মেজাজের একজন মানুষ সন্দীপদা। কোনও পরিচালক রি-টেক করার জন্য আর্টিস্টকে 'সরি' বলতে পারেন আমার জানা ছিল না। উনি আমার একটা সিন রি-টেক করার জন্য আমাকে সরি বলেছিলেন।"