ETV Bharat / entertainment

HBD Suchitra Sen: মুক্তির আলো দেখেনি প্রথম ছবি, ফিরে দেখা রমা'র সুচিত্রা হয়ে ওঠার কাহিনি

অন্ধকারের গহ্বরেই তলিয়ে গিয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি ৷ ঠিক যেমন জীবনের শেষ 36 বছর নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছিলেন সুচিত্রা ৷ তবে মহানায়িকা বলতে বাঙালি এখনও তাঁকেই বোঝে ।

author img

By

Published : Apr 6, 2023, 1:09 PM IST

HBD Suchitra Sen
মুক্তির আলো দেখেনি সুচিত্রার প্রথম ছবি

কলকাতা, 6 এপ্রিল: বাঙালি তাঁকে আজও মনে রেখেছে মহানায়িকা হিসেবে ৷ তিনি সুচিত্রা সেন । কারও কাছে তিনি মিসেস সেন আবার কারও কাছে ম্য়াডাম ৷ তাঁর আসল নাম যে রমা দাশগুপ্ত তা বোধহয় জেনারেল নলেজের বই ছাড়া বিশেষ কেউ মনে রাখেনি ৷ পাবনার রমা দাশগুপ্তর জীবনই বদলে যায় কলকাতায় এসে ৷ সত্য়জিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকদের ছবিতে তিনি অভিনয় করেননি ৷ বলা যায়, কিংবদন্তি দুই পরিচালককেই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন সযত্নে ৷ কিন্তু তাও বাংলা ছবি আদি অকৃত্রিম মহানায়িকা সেই একজনই ৷ তাঁর হাসি, তাঁর মোহময়ী চাহনি, তাঁর আঁখি কটাক্ষে যে কত বাঙালি পুরুষ পাগল হয়েছেন তার ইয়াত্তা নেই ৷

যদিও তাঁর প্রথম ছবি 'শেষ কোথায়' কখনও মুক্তির আলো দেখেনি ৷ সালটা ছিল 1952 ৷ যে নায়িকাকে একদিন অসাধারণত্বের আসনে বসাবে দর্শক, তাঁর প্রথম ছবিই হারিয়ে গিয়েছিল ডার্করুমের অন্ধকারে ৷ সুচিত্রার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি 'সাত নম্বর কয়েদী' ৷ নির্মল দে পরিচালিত এই ছবির হাত ধরে প্রথমবার মিসেস সেনের সঙ্গে দর্শকের পরিচয় ৷ পরের ছবি থেকেই তিনি জুটি বাঁধেন উত্তম কুমারের সঙ্গে ৷ আর সাড়ে চুয়াত্তর থেকে শুরু হওয়া সেই সফর যে কীভাবে আলোড়িত করেছে বাঙালিকে তা বোধহয় না বললেও চলে ৷

'সবার ওপরে', 'শাপমোচন', 'পথে হল দেরি', 'হারানো সুর', 'একটি রাত', 'শিল্পী', 'চাওয়া পাওয়া'- উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটিতে একেরপর এক হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন বাংলাকে ৷ কেরিয়ার শুরু হওয়ার দশ বছরের মাথা মস্কো থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পান এই মহানায়িকা ৷ ছবির নাম ছিল 'সাত পাকে বাঁধা' ৷ এই ছবির জন্য়ই তিনি পান মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের 'সেরা অভিনেত্রী'র পুরস্কার ৷ 25 বছরের সূদীর্ঘ কেরিয়ারে তাঁকে বারবার দেখা গিয়েছে নানা ধরনের চরিত্র ৷

তিনি যে ঠিক কতখানি সাহসী ছিলেন তাঁর অভিনয় নিয়ে তা বোঝা যায় 'ফরিয়াদ'-এর মতো ছবি দেখলেই ৷ তিনি শুধু বাঙালির চিরন্তন সুন্দরী প্রেমিকা রূপে নিজেকে বেঁধে রাখতে চাননি ৷ শুধু তাই নয়,'হসপিটাল','দ্বীপ জেলে যাই', 'হার মানা হার'-এর মতো ছবিও রয়েছে তাঁর কেরিয়ারে ৷ প্রায় 25 বছরের সফল কেরিয়ারের এই অভিনেত্রীই নিজেকে সরিয়ে নেন একেবারে ডার্ক রুমে ৷ ঠিক তাঁর প্রথম ছবির মতোই ৷

সালটা ছিল 1978 ৷ ফ্লপ করে অভিনেত্রীর প্রণয়পাশা ছবিটি ৷ সুচিত্রা চলে যান নির্বাসনে ৷ রূপোলি পর্দায় আর ফেরেননি তিনি ৷ দীর্ঘ 36 বছর নিজেকে তিনি বন্দি রেখেছিলেন ঘরেই ৷ মাঝে একবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল ভোটের কার্ডে ছবি তুলতে আসতে । কিন্তু না পর্দায় আর কামব্যাক করেননি তিনি ৷ তাই বোধহয় বাঙালির চোখে তিনি আজও আদি ও অকৃত্রিম ৷

আরও পড়ুন: প্রযোজকের অশালীন মেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ অভিনেত্রী স্বস্তিকার

কলকাতা, 6 এপ্রিল: বাঙালি তাঁকে আজও মনে রেখেছে মহানায়িকা হিসেবে ৷ তিনি সুচিত্রা সেন । কারও কাছে তিনি মিসেস সেন আবার কারও কাছে ম্য়াডাম ৷ তাঁর আসল নাম যে রমা দাশগুপ্ত তা বোধহয় জেনারেল নলেজের বই ছাড়া বিশেষ কেউ মনে রাখেনি ৷ পাবনার রমা দাশগুপ্তর জীবনই বদলে যায় কলকাতায় এসে ৷ সত্য়জিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকদের ছবিতে তিনি অভিনয় করেননি ৷ বলা যায়, কিংবদন্তি দুই পরিচালককেই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন সযত্নে ৷ কিন্তু তাও বাংলা ছবি আদি অকৃত্রিম মহানায়িকা সেই একজনই ৷ তাঁর হাসি, তাঁর মোহময়ী চাহনি, তাঁর আঁখি কটাক্ষে যে কত বাঙালি পুরুষ পাগল হয়েছেন তার ইয়াত্তা নেই ৷

যদিও তাঁর প্রথম ছবি 'শেষ কোথায়' কখনও মুক্তির আলো দেখেনি ৷ সালটা ছিল 1952 ৷ যে নায়িকাকে একদিন অসাধারণত্বের আসনে বসাবে দর্শক, তাঁর প্রথম ছবিই হারিয়ে গিয়েছিল ডার্করুমের অন্ধকারে ৷ সুচিত্রার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি 'সাত নম্বর কয়েদী' ৷ নির্মল দে পরিচালিত এই ছবির হাত ধরে প্রথমবার মিসেস সেনের সঙ্গে দর্শকের পরিচয় ৷ পরের ছবি থেকেই তিনি জুটি বাঁধেন উত্তম কুমারের সঙ্গে ৷ আর সাড়ে চুয়াত্তর থেকে শুরু হওয়া সেই সফর যে কীভাবে আলোড়িত করেছে বাঙালিকে তা বোধহয় না বললেও চলে ৷

'সবার ওপরে', 'শাপমোচন', 'পথে হল দেরি', 'হারানো সুর', 'একটি রাত', 'শিল্পী', 'চাওয়া পাওয়া'- উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটিতে একেরপর এক হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন বাংলাকে ৷ কেরিয়ার শুরু হওয়ার দশ বছরের মাথা মস্কো থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পান এই মহানায়িকা ৷ ছবির নাম ছিল 'সাত পাকে বাঁধা' ৷ এই ছবির জন্য়ই তিনি পান মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের 'সেরা অভিনেত্রী'র পুরস্কার ৷ 25 বছরের সূদীর্ঘ কেরিয়ারে তাঁকে বারবার দেখা গিয়েছে নানা ধরনের চরিত্র ৷

তিনি যে ঠিক কতখানি সাহসী ছিলেন তাঁর অভিনয় নিয়ে তা বোঝা যায় 'ফরিয়াদ'-এর মতো ছবি দেখলেই ৷ তিনি শুধু বাঙালির চিরন্তন সুন্দরী প্রেমিকা রূপে নিজেকে বেঁধে রাখতে চাননি ৷ শুধু তাই নয়,'হসপিটাল','দ্বীপ জেলে যাই', 'হার মানা হার'-এর মতো ছবিও রয়েছে তাঁর কেরিয়ারে ৷ প্রায় 25 বছরের সফল কেরিয়ারের এই অভিনেত্রীই নিজেকে সরিয়ে নেন একেবারে ডার্ক রুমে ৷ ঠিক তাঁর প্রথম ছবির মতোই ৷

সালটা ছিল 1978 ৷ ফ্লপ করে অভিনেত্রীর প্রণয়পাশা ছবিটি ৷ সুচিত্রা চলে যান নির্বাসনে ৷ রূপোলি পর্দায় আর ফেরেননি তিনি ৷ দীর্ঘ 36 বছর নিজেকে তিনি বন্দি রেখেছিলেন ঘরেই ৷ মাঝে একবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল ভোটের কার্ডে ছবি তুলতে আসতে । কিন্তু না পর্দায় আর কামব্যাক করেননি তিনি ৷ তাই বোধহয় বাঙালির চোখে তিনি আজও আদি ও অকৃত্রিম ৷

আরও পড়ুন: প্রযোজকের অশালীন মেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ অভিনেত্রী স্বস্তিকার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.