কলকাতা, 8 জুন : লম্বা বিরতির পর ফের বড় পর্দায় ফিরছেন ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Haldar in Big screen After Five Years)। মাঝখানে কেটে গিয়েছে প্রায় পাঁচ-পাঁচটি বছর ৷ পরিচালক সুদীপ দাসের ছবি 'কুলের আচার' (Bengali Film Kuler Achar) মুক্তি পেতে চলেছে এই বর্ষাতেই । যাঁরা টক, ঝাল, মিষ্টি একসঙ্গে ভালোবাসেন তাঁদের কাছে কুলের আচার এক লোভনীয় খাবার । শীত পড়লেই পাকা কুল ঘরে এনে মশলাপাতি সহযোগে রসিয়ে কষিয়ে বানিয়ে ফেলা হয় কুলের আচার । বেশ কিছুদিন ওই দিয়েই জমে যায় নিস্তব্ধ দুপুর ।
আর এবার সেই টক-ঝাল-মিষ্টির স্বাদ মিলবে ভরা বর্ষায় । তবে তা নতুন বাংলা ছবি 'কুলের আচার'-এর দৌলতে ৷ ছবিটি পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে আগামি 15 জুলাই। প্রযোজনা সংস্থার তরফেই জানানো হয়েছে মুক্তির দিন । এই ছবির দৌলতেই অনেকদিন পর বড় পর্দায় ইন্দ্রাণী হালদার । পাশাপাশি নতুন জুটি হিসেবে দর্শক পাবে মধুমিতা সরকার এবং বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে । প্রসঙ্গত, বাংলা ধারাবাহিক 'শ্রীময়ী' শেষ হতেই দর্শকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল এ বার কোথায় দেখা যাবে তাঁদের প্রিয় 'শ্রীময়ী' ইন্দ্রাণী হালদারকে (Indrani Haldar Film)? অনেকেই ভেবেছিলেন হয়ত 'গোয়েন্দা গিন্নি-2'-তে ফিরবেন তিনি । কিন্তু না, এখনও সে রকম কোনও শক্তপোক্ত খবর নেই টলিপাড়ায় । তবে এই ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সকলের প্রিয় মামনি দি-কে । তাঁর সঙ্গে এই ছবিতে জুটি বাঁধবেন নীল মুখোপাধ্যায় ।
মধুমিতার চরিত্রের নাম মিঠি, বিক্রমের চরিত্রের নাম প্রীতম । প্রীতমের মায়ের চরিত্রেই দেখা যাবে ইন্দ্রাণীকে । আর বাবার চরিত্রে নীল মুখোপাধ্যায় । মিঠি বিয়ের পর তাঁর পদবী পালটাতে চান না । তাঁর মতে, ছেলেরা তো বিয়ের পর পদবী বদলায় না । শুধু মেয়েরাই কেন বদলাবে । তাঁর মতে, পদবীর সঙ্গে বাবা-মা-দাদু-ঠাকুমার অস্তিত্ব জড়িয়ে থাকে । তাকে ঝেড়ে ফেলার কোনও মানেই হয় না । এই নিয়ে রীতিমত একরোখা হয়ে ওঠেন মিঠি । বলাবাহুল্য, মিঠির মতো এমন দাবি অনেক মেয়েরই । এর ফলে অনেক আলোচনা, সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের । শ্বশুরবাড়িতে সইতে হয় নানা গঞ্জনা । মিঠিকেও কি তেমনই কিছু সইতে হবে ? জানা যাবে ছবিতে ।
আরও পড়ুন : নাম বদলাতে চলেছে সলমনের আসন্ন ছবি 'কভি ঈদ কভি দিওয়ালি'-র
এক্ষেত্রে প্রশ্ন আছে আরও । তাহলে যাঁরা পদবী বদলান তাঁরা সবাই কি ভুল ? আর যাঁরা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো দুটো পদবীই রাখে তাঁরাও কি ভুল ? তাহলে কে ঠিক আর কে ভুল, তা নিয়েই এই ছবির যাত্রাপথ । ঘটনার নিরিখে উঠে আসবে গোটা ব্যাপারটা, এমনটাই দাবি পরিচালক সুদীপ দাসের । কাহিনি এবং চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি নিজেই । ছবির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মৈনাক ভৌমিক ।