ETV Bharat / entertainment

Rupankar Bagchi : কেউ পাশে, কেউ বিপক্ষে ; রূপঙ্করের কেকে মন্তব্যে দু'ভাগ টলিউড

author img

By

Published : Jun 2, 2022, 2:03 PM IST

কেকে'র মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে রূপঙ্কর বাগচির বেফাঁস মন্তব্যে এখনও উত্তাল সারা বাংলা । "কে এই কেকে?" এই বাক্যে ব্যথিত হয় কেকে অনুরাগীরা । এবার এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন বাংলার শিল্পী মহল ( Bengali Artists on Rupankar Bagchi) ৷

Artists on Rupankar Bagchi
রূপঙ্করের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বাংলার শিল্পীমহল

কলকাতা, 2 জুন : কেকে'র মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে রূপঙ্কর বাগচির বেফাঁস মন্তব্যে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা । "কে এই কেকে?" এই বাক্যে ব্যথিত হয় কেকে ভক্তকূল । এরপর নানাভাবে রূপঙ্কর বাগচির প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন অগণিত মানুষ । সমালোচনার ঝড়ে তাঁর টিকে থাকা দায় হয়ে পড়ে একপ্রকার । খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় তাঁকে ৷ যার জেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন রূপঙ্করের স্ত্রী ।

শিল্পীর দাবি, তিনি বড় অভিমানে বলেছেন এসব কথা । কেকে'র ফ্যান তিনিও । তাঁকে আঘাত করার তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না । কেকে'র অকালপ্র‍য়াণে তিনিও শোকাহত । তিনি বাংলার শিল্পীদের করুণ অবস্থার কথা বলতে চেয়েছেন । বাংলার শিল্পীরা এত সমাদর পান না নিজের রাজ্যেও । অথচ তাঁরা কারও থেকে কম ভাল গান করেন না । এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলার অনেক শিল্পীর নামও তুলে তাঁদের প্রশংসা করেন । বিপাকে পড়েন এখানেও । এই নিয়ে সরাসরি নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলার শিল্পীরা ( Bengali Artists on Rupankar Bagchi) ৷

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী ইমনের বক্তব্য, "রূপঙ্করদা আমার প্রশংসা করেছেন এর জন্য আমি আপ্লুত । কিন্তু যেটা বলেছেন সেটা আমারও বক্তব্য কিনা জেনে নিয়ে বলতে পারতেন ।" ইমন এদিন লাইভে এসে বলেন, " নিশ্বাসের উপর কোনও বিশ্বাস নেই । তাই আমার মনে হয়, কখনও কোনও কথা বলার আগে খুব সাবধানে বলা উচিত । কারণ আমরা কেউই জানি না, কখন কী হয়ে যায় । রূপঙ্করদা যা বলেছেন তা অনেকের মতো আমারও সমীচীন বলে মনে হয়নি । তবে যাঁরা আবার এটাও বলছেন যে রূপঙ্করদার অভিশাপে কেকে চলে গিয়েছেন, সেটাও একেবারেই ঠিক নয় । কারণ, এই কথাগুলো বললে যে মানুষটি চলে গিয়েছেন, তাঁকে অসম্মান করা হয় । তাঁর কাজগুলোকে ছোট করা হয় ।”

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

ইমন এদিন আরও বলেন, "রূপঙ্করদার বক্তব্যের সঙ্গে যখন আমার নাম জড়িয়েছে, তাই আমি আবারও বলছি, হয়তো রূপঙ্করদার অনেক মন্তব্যর সঙ্গে আমি সহমত হই তবে, তাঁর এই বক্তব্যর সঙ্গে একটুও সহমত নই । কারণ, কেকে'র মতো অসামান্য এক শিল্পীর অনুষ্ঠান দেখতে যে মানুষের ভিড় জমবে এটা খুবই স্বাভাবিক । একইভাবে রূপঙ্করদাও দারুণ শিল্পী, তাঁর জন্যও ভিড় উপচে পড়তে দেখি আমরা সকলেই । আমার নিজের চোখে দেখা, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, সোমলতা, যাঁর যাঁর নাম রূপঙ্করদা নিয়েছেন এবং অবশ্যই রূপঙ্করদা স্বয়ং, আমাদের সকলের পারফরম্যান্স দেখার জন্য কিন্তু বাঙালিরা মুখিয়ে থাকেন । একথা একশভাগ খাঁটি ।” সবশেষে ইমন এই লাইভে বলেন, "যে বাঙালি ইমনের গান পছন্দ করেন, সেই বাঙালি কে কের গানও পছন্দ করেন । আসল কথা হল সংগীত ইউনিভার্সাল !"

রূপঙ্করের অভিমানের কথা বুঝতে পেরেছেন আরেক স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী । তিনি রূপঙ্করের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে । উল্লেখ্য, রূপঙ্কর তাঁর ফেসবুকের পোস্টটি মুছেও ফেলেছেন । সতীর্থরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁর । শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, "এরপর রূপঙ্কর দার কিছু হয়ে গেলে নিজেদের ক্ষমা করতে পারব আমরা ?"

সঙ্গীত পরিচালক দ্রোণ আচার্য লিখেছেন, "কলকাতায় গানবাজনা করলে অরিজিৎ সিং, কুমার শানু, শ্রেয়া ঘোষাল কিছুতেই এরম গান গাইতেই পারতেন না । ওনারা কলকাতায় থাকাকালীন এমন কিছু গাইতেন যা আমরা ওনারা মুম্বই যাওয়ার পরে আমরা বুঝেছি । কলকাতায় থাকা কেউই ওনাদের মতো ভালো গান গাইতে পারেন না বা ওনাদের মতো কাজ করতে পরে না বলে কলকাতা মনে করে । তাই মেনে নাও দোষ মুম্বইয়ের শিল্পীদের নয়, দোষ কলকাতার শিল্পীদের । ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড তো সান্ত্বনা পুরস্কার । ঝগড়াটা আজকের না । অনেক পুরনো ।" তিনি আরও লেখেন, "অভিমানটা বাংলা এফএম রেডিয়োতে বাংলা গান না বাজানোর । রাগ প্রোগ্রাম অর্গানাইজারদের শেষ স্লটে প্রোগ্রাম জমানোর জন্যে বোম্বে সিঙ্গার । ফেসবুক কিছু ভিডিয়ো নিজের এলগারিদিমে ভাইরাল করে । ফাঁদে পা দেবেন না । কোন জায়গা থেকে, কতটা অভিমান জমলে রূপঙ্কর লাইভ করলেন সেটা একবার ভেবে দেখবেন । আপনি নিজে বা আপনার নিজের ছেলেমেয়ে কলকাতায় গান গাইলে আর সেটা সাপোর্ট করবেন না । ক্ষমতা থাকলে সোজা মুম্বই পাঠাবেন । নাহলে বড় প্রোগ্রামে শুধুই উদ্বোধনী সঙ্গীত গেয়ে জীবন চালাতে হবে । কেকে' র নাম উল্লেখ করা হয়েছে শুধুমাত্র অবস্থাটা বোঝানোর জন্যে । আমি নিশ্চিত ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে নয় ।"

আরও পড়ুন : ইতিহাসের ক্লাস বাঙ্ক করেছিলেন ? অক্ষয়ের 'হিস্ট্রি' জ্ঞান নিয়ে ধুয়ে দিল নেটপাড়া

রূপা ভট্টাচার্য রূপঙ্করের কথা সোশ্যালে শোনার পর লিখেছেন, "উনি চলে গেলেন । ওনাকে করা শেষ অপমানের গ্লানি নিয়ে আপনাকে সারাজীবন চলতে হবে । নিজের কাছে নিজের এই বোঝা বইতে পারবেন তো?" এরপর সকলে যখন রূপঙ্করের ওই রূপ মন্তব্যের পর তাঁকে আপত্তিকর মন্তব্যে বিধ্বস্ত করছেন, তিনি মারা গিয়েছেন বলে মিম ছড়াচ্ছেন তখনও মুখ বন্ধ রাখেননি এই প্রতিবাদী অভিনেত্রী । পাশে দাঁড়িয়েছেন রূপঙ্করের । তিনি লিখেছেন, "আজ সারাদিন দেখছি কিছু বিকৃত রুচির মানুষ রূপঙ্কর বাগচির fake মৃত্যুসংবাদের মিম বের করে মজা নিচ্ছে । এই নোংরামির বিরুদ্ধেও আমি প্রতিবাদ করি । এই বাঙালি আমার স্বজন নয় । কালকের ওই মৃত্যু উপত্যকাও আমার শহর নয় ।"

কলকাতা, 2 জুন : কেকে'র মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে রূপঙ্কর বাগচির বেফাঁস মন্তব্যে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা । "কে এই কেকে?" এই বাক্যে ব্যথিত হয় কেকে ভক্তকূল । এরপর নানাভাবে রূপঙ্কর বাগচির প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন অগণিত মানুষ । সমালোচনার ঝড়ে তাঁর টিকে থাকা দায় হয়ে পড়ে একপ্রকার । খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় তাঁকে ৷ যার জেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন রূপঙ্করের স্ত্রী ।

শিল্পীর দাবি, তিনি বড় অভিমানে বলেছেন এসব কথা । কেকে'র ফ্যান তিনিও । তাঁকে আঘাত করার তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না । কেকে'র অকালপ্র‍য়াণে তিনিও শোকাহত । তিনি বাংলার শিল্পীদের করুণ অবস্থার কথা বলতে চেয়েছেন । বাংলার শিল্পীরা এত সমাদর পান না নিজের রাজ্যেও । অথচ তাঁরা কারও থেকে কম ভাল গান করেন না । এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলার অনেক শিল্পীর নামও তুলে তাঁদের প্রশংসা করেন । বিপাকে পড়েন এখানেও । এই নিয়ে সরাসরি নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলার শিল্পীরা ( Bengali Artists on Rupankar Bagchi) ৷

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী ইমনের বক্তব্য, "রূপঙ্করদা আমার প্রশংসা করেছেন এর জন্য আমি আপ্লুত । কিন্তু যেটা বলেছেন সেটা আমারও বক্তব্য কিনা জেনে নিয়ে বলতে পারতেন ।" ইমন এদিন লাইভে এসে বলেন, " নিশ্বাসের উপর কোনও বিশ্বাস নেই । তাই আমার মনে হয়, কখনও কোনও কথা বলার আগে খুব সাবধানে বলা উচিত । কারণ আমরা কেউই জানি না, কখন কী হয়ে যায় । রূপঙ্করদা যা বলেছেন তা অনেকের মতো আমারও সমীচীন বলে মনে হয়নি । তবে যাঁরা আবার এটাও বলছেন যে রূপঙ্করদার অভিশাপে কেকে চলে গিয়েছেন, সেটাও একেবারেই ঠিক নয় । কারণ, এই কথাগুলো বললে যে মানুষটি চলে গিয়েছেন, তাঁকে অসম্মান করা হয় । তাঁর কাজগুলোকে ছোট করা হয় ।”

  • " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">

ইমন এদিন আরও বলেন, "রূপঙ্করদার বক্তব্যের সঙ্গে যখন আমার নাম জড়িয়েছে, তাই আমি আবারও বলছি, হয়তো রূপঙ্করদার অনেক মন্তব্যর সঙ্গে আমি সহমত হই তবে, তাঁর এই বক্তব্যর সঙ্গে একটুও সহমত নই । কারণ, কেকে'র মতো অসামান্য এক শিল্পীর অনুষ্ঠান দেখতে যে মানুষের ভিড় জমবে এটা খুবই স্বাভাবিক । একইভাবে রূপঙ্করদাও দারুণ শিল্পী, তাঁর জন্যও ভিড় উপচে পড়তে দেখি আমরা সকলেই । আমার নিজের চোখে দেখা, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, সোমলতা, যাঁর যাঁর নাম রূপঙ্করদা নিয়েছেন এবং অবশ্যই রূপঙ্করদা স্বয়ং, আমাদের সকলের পারফরম্যান্স দেখার জন্য কিন্তু বাঙালিরা মুখিয়ে থাকেন । একথা একশভাগ খাঁটি ।” সবশেষে ইমন এই লাইভে বলেন, "যে বাঙালি ইমনের গান পছন্দ করেন, সেই বাঙালি কে কের গানও পছন্দ করেন । আসল কথা হল সংগীত ইউনিভার্সাল !"

রূপঙ্করের অভিমানের কথা বুঝতে পেরেছেন আরেক স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী । তিনি রূপঙ্করের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে । উল্লেখ্য, রূপঙ্কর তাঁর ফেসবুকের পোস্টটি মুছেও ফেলেছেন । সতীর্থরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁর । শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, "এরপর রূপঙ্কর দার কিছু হয়ে গেলে নিজেদের ক্ষমা করতে পারব আমরা ?"

সঙ্গীত পরিচালক দ্রোণ আচার্য লিখেছেন, "কলকাতায় গানবাজনা করলে অরিজিৎ সিং, কুমার শানু, শ্রেয়া ঘোষাল কিছুতেই এরম গান গাইতেই পারতেন না । ওনারা কলকাতায় থাকাকালীন এমন কিছু গাইতেন যা আমরা ওনারা মুম্বই যাওয়ার পরে আমরা বুঝেছি । কলকাতায় থাকা কেউই ওনাদের মতো ভালো গান গাইতে পারেন না বা ওনাদের মতো কাজ করতে পরে না বলে কলকাতা মনে করে । তাই মেনে নাও দোষ মুম্বইয়ের শিল্পীদের নয়, দোষ কলকাতার শিল্পীদের । ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড তো সান্ত্বনা পুরস্কার । ঝগড়াটা আজকের না । অনেক পুরনো ।" তিনি আরও লেখেন, "অভিমানটা বাংলা এফএম রেডিয়োতে বাংলা গান না বাজানোর । রাগ প্রোগ্রাম অর্গানাইজারদের শেষ স্লটে প্রোগ্রাম জমানোর জন্যে বোম্বে সিঙ্গার । ফেসবুক কিছু ভিডিয়ো নিজের এলগারিদিমে ভাইরাল করে । ফাঁদে পা দেবেন না । কোন জায়গা থেকে, কতটা অভিমান জমলে রূপঙ্কর লাইভ করলেন সেটা একবার ভেবে দেখবেন । আপনি নিজে বা আপনার নিজের ছেলেমেয়ে কলকাতায় গান গাইলে আর সেটা সাপোর্ট করবেন না । ক্ষমতা থাকলে সোজা মুম্বই পাঠাবেন । নাহলে বড় প্রোগ্রামে শুধুই উদ্বোধনী সঙ্গীত গেয়ে জীবন চালাতে হবে । কেকে' র নাম উল্লেখ করা হয়েছে শুধুমাত্র অবস্থাটা বোঝানোর জন্যে । আমি নিশ্চিত ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে নয় ।"

আরও পড়ুন : ইতিহাসের ক্লাস বাঙ্ক করেছিলেন ? অক্ষয়ের 'হিস্ট্রি' জ্ঞান নিয়ে ধুয়ে দিল নেটপাড়া

রূপা ভট্টাচার্য রূপঙ্করের কথা সোশ্যালে শোনার পর লিখেছেন, "উনি চলে গেলেন । ওনাকে করা শেষ অপমানের গ্লানি নিয়ে আপনাকে সারাজীবন চলতে হবে । নিজের কাছে নিজের এই বোঝা বইতে পারবেন তো?" এরপর সকলে যখন রূপঙ্করের ওই রূপ মন্তব্যের পর তাঁকে আপত্তিকর মন্তব্যে বিধ্বস্ত করছেন, তিনি মারা গিয়েছেন বলে মিম ছড়াচ্ছেন তখনও মুখ বন্ধ রাখেননি এই প্রতিবাদী অভিনেত্রী । পাশে দাঁড়িয়েছেন রূপঙ্করের । তিনি লিখেছেন, "আজ সারাদিন দেখছি কিছু বিকৃত রুচির মানুষ রূপঙ্কর বাগচির fake মৃত্যুসংবাদের মিম বের করে মজা নিচ্ছে । এই নোংরামির বিরুদ্ধেও আমি প্রতিবাদ করি । এই বাঙালি আমার স্বজন নয় । কালকের ওই মৃত্যু উপত্যকাও আমার শহর নয় ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.