মালদা, 6 এপ্রিল : "এখন মুখ্যমন্ত্রী সাদা শাড়ি পরে (রাজ্য) চালাচ্ছেন। ভোটের পর তাঁর সাদা শাড়ি কালো হয়ে যাবে।" আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই আক্রমণ করেন BJP-র রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের BJP প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
"চায়ে পে চর্চা"-র কর্মসূচিতে অংশ নিতে গতরাতে দিলীপ মালদায় আসেন। আজ ভোরে হোটেল থেকে বেরিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন মালদা (দক্ষিণ)-র BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি সহ অন্য নেতারা। তারপর সুকান্ত মোড়ের কাছে একটি চায়ের দোকানেও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। সেখানে তিনি ETV ভারতের মুখোমুখি হন।
![Dilip Ghosh](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/images/wb-mld-8000-6april-dilipghoshonchyepecharcha-wb10016-arindambag_06042019073537_0604f_00040_368.jpeg)
ETV ভারত : নকশালবাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের কাছে ভোটের ঋণ চেয়েছেন। সে প্রসঙ্গে কী বলবেন?
দিলীপ ঘোষ : মুখ্যমন্ত্রী এতদিন জনগণের থেকে টাকা চেয়েছেন। রাজনৈতিক অধিকার চেয়েছেন। এখন ভোটের ঋণ চাইছেন! পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কি পাগল হয়ে গেছে যে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারপর ফুটপাথ ও গলিতে নামবেন। আরও দুর্ভাগ্যের বিষয়, তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা চোর-ডাকাত। তাঁদের কেউ বিশ্বাস করে না। মুখ্যমন্ত্রী সাদা শাড়ি পরে (রাজ্য) চালাচ্ছেন। ভোটের পর তাঁর সাদা শাড়ি কালো হয়ে যাবে। কেউ বিশ্বাস করবে না।
ETV ভারত : গতকাল আপনি বালুরঘাটে ছিলেন। আপনি এখানে আসার BJP কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
দিলীপ ঘোষ : আমার কাছে কোনও খবর নেই। রাত পর্যন্ত আমি সভায় ছিলাম। তবে গতকাল দক্ষিণ দিনাজপুরে ব্যাপক প্রচার হয়েছে। তা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এমন কাজ করতেই পারে।
ETV ভারত : গতকাল নির্বাচন কমিশন রাজ্যের চার পুলিশকর্তাকে সরিয়ে দিয়েছে।
দিলীপ ঘোষ : মাত্র চারজনকে সরিয়েছে। কমপক্ষে ৪০ জন সরানোর দরকার রয়েছে। তাহলেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
ETV ভারত : মালদা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সরানোর জন্য আপনারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, সে প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ দেয়নি। কী বলবেন?
দিলীপ ঘোষ : আমরা নির্বাচন কমিশনকে লম্বা লিস্ট দিয়েছি। আগের সব খবর, রেকর্ড নির্বাচন কমিশনের কাছে রয়েছে। তারা নিশ্চয়ই ধীরে ধীরে কাজ শুরু করবেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে এখন বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। কে কতটা প্রভাবিত করছে, তার উপর লক্ষ্য রাখছেন। যদি একটু এদিক ওদিক হয়, অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ETV ভারত : লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের স্লোগান 42-এ 42। আর BJP-র মিশন 23।
দিলীপ ঘোষ : 42-এ 42 আওয়াজটা তৃণমূলের 23 মে পর্যন্তই থাকবে। তারপর আওয়াজ পালটে যাবে। আওয়াজ আর শুনতে পাবেন না। এখন আমাদের কর্মীরা রাস্তায় নেমেছেন। দেওয়াল লিখছেন। মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এখন ঘুঁটি সাজানোর কাজ চলছে। তা দেখেই দিদিমণির হুঁশ উড়ে গেছে। আবোল-তাবোল বকতে শুরু করেছেন। ভোট শেষ হতে হতে অর্ধেক লোক পাগল হয়ে যাবেন।
ETV ভারত : BJP-র তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, তৃণমূলের লোকেরা ভোটের আগেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সে প্রসঙ্গে কী বলবেন?
দিলীপ ঘোষ : পঞ্চায়েত নির্বাচন সহ গত কয়েকটি নির্বাচন গুন্ডা ও পুলিশকে দিয়ে জিতেছে তৃণমূল। এবার পুলিশকে নির্বাচন কমিশন বুঝে নেবে। আর গুন্ডাদের আমরা টাইট করব। এবার আর ফাঁকা মাঠে গোল করা যাবে না।