ETV Bharat / elections

জয়শ্রীরাম ধ্বনি শুনে গাড়ি থেকে নেমে গেলেন মমতা - election

দিন যত যাচ্ছে, জয় শ্রীরাম ধ্বনি যেন একটা রাজনৈতিক স্লোগানে পরিণত হচ্ছে। 2014 সালেও এরাজ্যে জয়শ্রীরাম ধ্বনিতে কারোর কিছু যেত-আসত না। আজ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দাঁড়িয়ে যায় এই জয়শ্রীরাম ধ্বনিতেই।

মমতা
author img

By

Published : May 4, 2019, 7:32 PM IST

Updated : May 4, 2019, 7:47 PM IST

চন্দ্রকোনা, 4 মে : ঘটনাস্থান রাধাবল্লভপুর । এমনিতে মেদিনীপুর মানেই 'প্রতিবাদী'। আজকের মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের সময় বিরোধীনেত্রী ছিলেন। ফলে প্রতিবাদ, বিরোধিতা তখন ভালোই লাগত। আজ সরকারের আসনে বসে সেই বিরোধিতা নিশ্চয় ভালো লাগবে না। সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু প্রশাসনের উচ্চতম পদে বসে খুব ছোটোখাটো বিষয়ে মেজাজ হারানোটাও বোধহয় শোভা পায় না । যেমন শোভা পায়নি সে সময় বুদ্ধবাবুর মেজাজ হারানোটাও। ফল ভুগতে হয়েছিল হাতেনাতে । সেবারও ঘটনাস্থল ছিল মেদিনীপুর । এবারও তাই। খালি বদলে গেছে কাল আর পাত্র।

দেখুন ভিডিয়ো

আজ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাচ্ছিল চন্দ্রকোনায় । রাধাবল্লভপুরের কাছে তাঁর কনভয় পৌঁছালে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে ( বলা ভালো, BJP সমর্থদের ) “জয়শ্রীরাম” ধ্বনি দিতে শোনা যায়। এরপরই গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে আচমকা এভাবে গাড়ি থেকে নেমে পড়তে দেখে, কিছুটা অবাকই হন গ্রামবাসীরা। যাঁরা জয়শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন পিছিয়ে গেলে, মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় – “পালাচ্ছিস কেন ?” কিন্তু কিছুটা নিম্নগ্রামে হলেও তখনও চলছিল জয়শ্রীরাম ধ্বনি।

এরপর বিকেলের দিকে 3 BJP সমর্থককে “জয়শ্রীরাম” স্লোগান দেওয়ার অপরাধে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিষয় যেহেতু, ধরে নেওয়া যেতে পারে, পরে গ্রেপ্তারই দেখানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে - জয়শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া কি অপরাধ ? তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী জয়শ্রীরাম ধ্বনিতে বিরক্ত হচ্ছেন ? বা বিরক্ত হওয়ার মতো কারণ তৈরি হয়েছে, যার ফলে জয়শ্রীরাম ধ্বনি শুনেই মেজাজ হারাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ?

বিরোধী-শূন্য রাজনীতির এ কোন গণতন্ত্র ?

চন্দ্রকোনা, 4 মে : ঘটনাস্থান রাধাবল্লভপুর । এমনিতে মেদিনীপুর মানেই 'প্রতিবাদী'। আজকের মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের সময় বিরোধীনেত্রী ছিলেন। ফলে প্রতিবাদ, বিরোধিতা তখন ভালোই লাগত। আজ সরকারের আসনে বসে সেই বিরোধিতা নিশ্চয় ভালো লাগবে না। সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু প্রশাসনের উচ্চতম পদে বসে খুব ছোটোখাটো বিষয়ে মেজাজ হারানোটাও বোধহয় শোভা পায় না । যেমন শোভা পায়নি সে সময় বুদ্ধবাবুর মেজাজ হারানোটাও। ফল ভুগতে হয়েছিল হাতেনাতে । সেবারও ঘটনাস্থল ছিল মেদিনীপুর । এবারও তাই। খালি বদলে গেছে কাল আর পাত্র।

দেখুন ভিডিয়ো

আজ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাচ্ছিল চন্দ্রকোনায় । রাধাবল্লভপুরের কাছে তাঁর কনভয় পৌঁছালে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে ( বলা ভালো, BJP সমর্থদের ) “জয়শ্রীরাম” ধ্বনি দিতে শোনা যায়। এরপরই গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে আচমকা এভাবে গাড়ি থেকে নেমে পড়তে দেখে, কিছুটা অবাকই হন গ্রামবাসীরা। যাঁরা জয়শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন পিছিয়ে গেলে, মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় – “পালাচ্ছিস কেন ?” কিন্তু কিছুটা নিম্নগ্রামে হলেও তখনও চলছিল জয়শ্রীরাম ধ্বনি।

এরপর বিকেলের দিকে 3 BJP সমর্থককে “জয়শ্রীরাম” স্লোগান দেওয়ার অপরাধে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিষয় যেহেতু, ধরে নেওয়া যেতে পারে, পরে গ্রেপ্তারই দেখানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে - জয়শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া কি অপরাধ ? তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী জয়শ্রীরাম ধ্বনিতে বিরক্ত হচ্ছেন ? বা বিরক্ত হওয়ার মতো কারণ তৈরি হয়েছে, যার ফলে জয়শ্রীরাম ধ্বনি শুনেই মেজাজ হারাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ?

বিরোধী-শূন্য রাজনীতির এ কোন গণতন্ত্র ?

সভা ক্যানসেল তো কি হয়েছে ,এবার রোড শো এ মাতালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় l বলা যায় যে ফনির দুর্যোগের জন্য গতকাল ঘাটালের নির্বাচনী সভা বাতিল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে l সবকিছু ঠিকঠাক ছিল কিন্তু ফনির প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সভা বাতিল করেন ঘাটালের ক্ষেত্রপাল মাঠে l এছাড়াও শনিবার তার সভা ছিল দাঁতনে ,সেই সভা ও মুখ্যমন্ত্রী বাতিল করেন এই ফনির জন্য l এরপর শনিবার তিনি চার চাকায় করে গিয়ে চন্দ্রকোনা টাউন এ রোড শো করেন l এই রোড শোতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব , ছিলেন আরামবাগের প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার l মূলত এই দুই প্রার্থীর সমর্থনে এদিন রোড শো করেন তৃণমূল সুপ্রিমো l উল্লেখ্য পশ্চিমবাংলায় 42 টি আসনে তৃণমূল কে 42 টিতেই জেতানোর জন্য আসরে নেমে পড়েছেন দিদি নিজেই l প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সভা সমিতির মিটিং এর মাধ্যমে মানুষকে বোঝানোর কাজ চলছে l শেষ দফায় ভোট হবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ অংশ l আর সেই জঙ্গলমহলের ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় l গতকাল তার সভা ছিল ঘাটালের ক্ষেত্রপাল মাঠে কিন্তু ঝড়ের জন্য তিনি সেসব সভা বাতিল করে খড়গপুর এর একটি হোটেলে ঠাঁই নেন l সারা দিন ও রাত্রি ব্যাপি তিনি নিজে হাতে দায়িত্ব পালন করেন ঝড়ের প্রভাব সম্বন্ধে এবং ঝড়ের তদারকিতে l এরপর শনিবার সকাল হতেই তিনি রওনা দেন চন্দ্রকোনা টাউন এর উদ্দেশ্যে l এখানেই তিনি রোড শো এ হাজির হন l দুই পাশে অসংখ্য মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখার জন্য ভিড় জমান l রাজনীতি মহলের বক্তব্য চন্দ্রকোনা টাউন ,ঘাটাল ,চন্দ্রকোনা রোড ,সালবনি সহ বিস্তীর্ণ অংসের মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছে l সেই সব মানুষকে পুনরায় তৃণমূলে ফিরিয়ে আনার জন্য দিদিমণির সফর l যদিও তিনি কতটা সফল হবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক নেতৃত্ব l আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় এবং আরামবাগ লোকসভা আসনের ভোট প্রচার আজই শেষ আগামী ৬ ই মে নির্বাচন থাকায় l তার আগে চন্দ্রকোনায় শেষ প্রচারে নজর কাড়লেন মমতা ব্যানার্জী l এদিন চন্দ্রকোনা শহরে ঘাটাল চন্দ্রকোনা রাজ্যসড়কের দুধারেই উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো l এদিন চন্দ্রকোনায় আসার পথে কেশপুর বাজারে কিছুক্ষণের জন্য নামেন দলনেত্রী,সেখানে দলীয় নেতাদের সাথে চা খান বলে খবর l
Last Updated : May 4, 2019, 7:47 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.