চন্দ্রকোনা, 4 মে : ঘটনাস্থান রাধাবল্লভপুর । এমনিতে মেদিনীপুর মানেই 'প্রতিবাদী'। আজকের মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের সময় বিরোধীনেত্রী ছিলেন। ফলে প্রতিবাদ, বিরোধিতা তখন ভালোই লাগত। আজ সরকারের আসনে বসে সেই বিরোধিতা নিশ্চয় ভালো লাগবে না। সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু প্রশাসনের উচ্চতম পদে বসে খুব ছোটোখাটো বিষয়ে মেজাজ হারানোটাও বোধহয় শোভা পায় না । যেমন শোভা পায়নি সে সময় বুদ্ধবাবুর মেজাজ হারানোটাও। ফল ভুগতে হয়েছিল হাতেনাতে । সেবারও ঘটনাস্থল ছিল মেদিনীপুর । এবারও তাই। খালি বদলে গেছে কাল আর পাত্র।
আজ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাচ্ছিল চন্দ্রকোনায় । রাধাবল্লভপুরের কাছে তাঁর কনভয় পৌঁছালে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে ( বলা ভালো, BJP সমর্থদের ) “জয়শ্রীরাম” ধ্বনি দিতে শোনা যায়। এরপরই গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে আচমকা এভাবে গাড়ি থেকে নেমে পড়তে দেখে, কিছুটা অবাকই হন গ্রামবাসীরা। যাঁরা জয়শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন পিছিয়ে গেলে, মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় – “পালাচ্ছিস কেন ?” কিন্তু কিছুটা নিম্নগ্রামে হলেও তখনও চলছিল জয়শ্রীরাম ধ্বনি।
এরপর বিকেলের দিকে 3 BJP সমর্থককে “জয়শ্রীরাম” স্লোগান দেওয়ার অপরাধে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিষয় যেহেতু, ধরে নেওয়া যেতে পারে, পরে গ্রেপ্তারই দেখানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে - জয়শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া কি অপরাধ ? তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী জয়শ্রীরাম ধ্বনিতে বিরক্ত হচ্ছেন ? বা বিরক্ত হওয়ার মতো কারণ তৈরি হয়েছে, যার ফলে জয়শ্রীরাম ধ্বনি শুনেই মেজাজ হারাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ?
বিরোধী-শূন্য রাজনীতির এ কোন গণতন্ত্র ?