ETV Bharat / elections

চলছে ভোটগণনা, চূড়ান্ত ফলাফল জানতে লাগবে সময় - counting delay

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এরাজ্যের 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য রয়েছে 58 টি কাউন্টিং সেন্টার । কাউন্টিং হল 379 টি। কাউন্টিং টেবিল 4668 টি। সবচেয়ে বেশি কাউন্টিং সেন্টার দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে । সেখানে রয়েছে সাতটি কাউন্টিং সেন্টার । মোট 25 হাজার গণনাকর্মী কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনের তরফে ।

ভোট গণনা কেন্দ্র (ফাইল ছবি )
author img

By

Published : May 23, 2019, 1:50 AM IST

Updated : May 23, 2019, 10:56 AM IST

দিল্লি ও কলকাতা, 23 মে : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে । সকাল 8 টা থেকে দেশের মোট 542 টি আসনের গণনা শুরু হয় (মোট লোকসভা আসন 543 টি । তামিলনাড়ুর ভেলোরে ভোট বাতিল হয়েছে) । যদিও আজ চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া নাও যেতে পারে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন । কমিশন সূত্রে খবর, পুরো ফল আসতে 24 মে পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে ।

গণনাকেন্দ্রে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে । স্ট্রং রুমে রয়েছে প্যারা মিলিটারি ফোর্স । স্ট্রং রুম লাগোয়া কাউন্টিং হল । সেই কাউন্টিং হলের ভিতর রয়েছে CAPF । কাউন্টিং হলের গেটে পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনী । সেখানেই প্রথম কর্ডন । এই কর্ডনে কাউন্টিং হলে যাওয়ার অনুমতি পত্রের পরীক্ষা হয়। এই গেট দিয়ে মোবাইল, জলের বোতল, খাবার নিয়ে প্রবেশ করা গেলেও, মূল কাউন্টিং হলের ভিতর এসবের প্রবেশ নিষিদ্ধ । কাউন্টিং হলের বাইরে মিডিয়া সেন্টারে মোবাইল রাখার জন্য নির্দিষ্ট একটি রুম । সেখানে সব জমা রাখতে হচ্ছে । তারপরই পাওয়া যাচ্ছে ভিতরে ঢোকার ছাড়পত্র । কাউন্টিং হলের ঠিক বাইরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বিতীয় কর্ডন । কাউন্টিং হলের ভিতরে তৃতীয় কর্ডন । কাউন্টিং সেন্টারের বাইরে 100 মিটারে রয়েছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী । তারপর পুলিশ । এই 100 মিটারের বাইরে রয়েছে একটি গেট । যেখানে প্রথম দফায় অনুমতিপত্র পরীক্ষা হয় । সেখানে এই অনুমতিপত্র পরীক্ষার জন্য রয়েছেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এরাজ্যের 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য রয়েছে 58 টি কাউন্টিং সেন্টার । কাউন্টিং হল থাকছে 379 টি । কাউন্টিং টেবিল রয়েছে 4668 টি । সবচেয়ে বেশি কাউন্টিং সেন্টার দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে । সেখানে রয়েছে সাতটি কাউন্টিং সেন্টার । মোট 25 হাজার গণনাকর্মী কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনের তরফে ।

এবার দেখে নিন কী পদ্ধতিতে হচ্ছে গণনা -

গণনা হবে পাঁচটি পদ্ধতিতে

1) প্রথম গণনা হবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট । ARO-র নেতৃত্বে যে কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার থাকবেন সেখানে এই পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে । রাজ্যে 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে 58 টি গণনা কেন্দ্র ।

2) পোস্টাল ব্যালটের গণনার পর সার্ভিস ভোটারদের ভোট গণনা করা হবে । তিনটি খামের ভিতর থাকবে পোস্টাল ব্যালট । প্রথমে খোলা হবে বাইরের খাম । তারপরের খামের ভিতর থাকবে সার্ভিস ভোটারের ডিক্লেয়ারেশন ও তৃতীয় খামে থাকবে পোস্টাল ব্যালট । এই খামের ভিতর পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে থাকবে QR CODE । এই কোডকে স্ক্যান করা হবে । যদি স্ক্যান মিলে যায় তবেই এই ভোট গণনা করা হবে ।

3) এরপরই গণনা করা হবে EVM । EVM-এর সঙ্গে থাকা কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে । প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্র যার ভিতর কাউন্টিং হল থাকবে সেখানে সাতটি বিধানসভা×প্রায় 14 টি টেবিল× 15 থেকে 16 রাউন্ড । এভাবেই কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা করা হবে । এই ক্ষেত্রে যদি কোনও কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায় তখন সেই কন্ট্রোল ইউনিটের VVPAT গণনা করা হবে ।

4) কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা শেষ হয়ে গেলে শুরু হবে VVPAT-এর গণনা । লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে VVPAT স্ট্রং রুম থেকে নিয়ে আসা হবে কাউন্টিং হলের ভিতর । তবে গণনা হবে এক সঙ্গেই । কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, আনুমানিকভাবে প্রত্যেক বিধানসভার গণনা করতে সময় লাগতে পারে 2 ঘণ্টা ।

5) 1961 সালের নির্বাচন কমিশনের 56 D ধারা অনুযায়ী কোনও প্রার্থী বা তার এজেন্ট রিকাউন্টিং চাইতে পারে । রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শিয়ে আবেদন করতে হবে । রিটার্নিং অফিসার চাইলে তা গ্রাহ্য করতে পারেন আবার নাও পারেন ।

একটি রাউন্ডের গণনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর রিটার্নিং অফিসার সেই ফলাফল যোগ করে একদিকে বোর্ডে লিখে দেবেন অন্যদিকে বাইরে মাইকের সাহায্যে তা ঘোষণা করা হবে । ঘোষণা শেষ হওয়ার পরই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য স্ট্রং রুম থেকে নতুন কন্ট্রোল ইউনিট আনা হবে কাউন্টিং হলের ভিতর ।

দিল্লি ও কলকাতা, 23 মে : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে । সকাল 8 টা থেকে দেশের মোট 542 টি আসনের গণনা শুরু হয় (মোট লোকসভা আসন 543 টি । তামিলনাড়ুর ভেলোরে ভোট বাতিল হয়েছে) । যদিও আজ চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া নাও যেতে পারে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন । কমিশন সূত্রে খবর, পুরো ফল আসতে 24 মে পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে ।

গণনাকেন্দ্রে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে । স্ট্রং রুমে রয়েছে প্যারা মিলিটারি ফোর্স । স্ট্রং রুম লাগোয়া কাউন্টিং হল । সেই কাউন্টিং হলের ভিতর রয়েছে CAPF । কাউন্টিং হলের গেটে পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনী । সেখানেই প্রথম কর্ডন । এই কর্ডনে কাউন্টিং হলে যাওয়ার অনুমতি পত্রের পরীক্ষা হয়। এই গেট দিয়ে মোবাইল, জলের বোতল, খাবার নিয়ে প্রবেশ করা গেলেও, মূল কাউন্টিং হলের ভিতর এসবের প্রবেশ নিষিদ্ধ । কাউন্টিং হলের বাইরে মিডিয়া সেন্টারে মোবাইল রাখার জন্য নির্দিষ্ট একটি রুম । সেখানে সব জমা রাখতে হচ্ছে । তারপরই পাওয়া যাচ্ছে ভিতরে ঢোকার ছাড়পত্র । কাউন্টিং হলের ঠিক বাইরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বিতীয় কর্ডন । কাউন্টিং হলের ভিতরে তৃতীয় কর্ডন । কাউন্টিং সেন্টারের বাইরে 100 মিটারে রয়েছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী । তারপর পুলিশ । এই 100 মিটারের বাইরে রয়েছে একটি গেট । যেখানে প্রথম দফায় অনুমতিপত্র পরীক্ষা হয় । সেখানে এই অনুমতিপত্র পরীক্ষার জন্য রয়েছেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এরাজ্যের 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য রয়েছে 58 টি কাউন্টিং সেন্টার । কাউন্টিং হল থাকছে 379 টি । কাউন্টিং টেবিল রয়েছে 4668 টি । সবচেয়ে বেশি কাউন্টিং সেন্টার দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে । সেখানে রয়েছে সাতটি কাউন্টিং সেন্টার । মোট 25 হাজার গণনাকর্মী কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনের তরফে ।

এবার দেখে নিন কী পদ্ধতিতে হচ্ছে গণনা -

গণনা হবে পাঁচটি পদ্ধতিতে

1) প্রথম গণনা হবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট । ARO-র নেতৃত্বে যে কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার থাকবেন সেখানে এই পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে । রাজ্যে 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে 58 টি গণনা কেন্দ্র ।

2) পোস্টাল ব্যালটের গণনার পর সার্ভিস ভোটারদের ভোট গণনা করা হবে । তিনটি খামের ভিতর থাকবে পোস্টাল ব্যালট । প্রথমে খোলা হবে বাইরের খাম । তারপরের খামের ভিতর থাকবে সার্ভিস ভোটারের ডিক্লেয়ারেশন ও তৃতীয় খামে থাকবে পোস্টাল ব্যালট । এই খামের ভিতর পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে থাকবে QR CODE । এই কোডকে স্ক্যান করা হবে । যদি স্ক্যান মিলে যায় তবেই এই ভোট গণনা করা হবে ।

3) এরপরই গণনা করা হবে EVM । EVM-এর সঙ্গে থাকা কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে । প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্র যার ভিতর কাউন্টিং হল থাকবে সেখানে সাতটি বিধানসভা×প্রায় 14 টি টেবিল× 15 থেকে 16 রাউন্ড । এভাবেই কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা করা হবে । এই ক্ষেত্রে যদি কোনও কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায় তখন সেই কন্ট্রোল ইউনিটের VVPAT গণনা করা হবে ।

4) কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা শেষ হয়ে গেলে শুরু হবে VVPAT-এর গণনা । লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে VVPAT স্ট্রং রুম থেকে নিয়ে আসা হবে কাউন্টিং হলের ভিতর । তবে গণনা হবে এক সঙ্গেই । কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, আনুমানিকভাবে প্রত্যেক বিধানসভার গণনা করতে সময় লাগতে পারে 2 ঘণ্টা ।

5) 1961 সালের নির্বাচন কমিশনের 56 D ধারা অনুযায়ী কোনও প্রার্থী বা তার এজেন্ট রিকাউন্টিং চাইতে পারে । রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শিয়ে আবেদন করতে হবে । রিটার্নিং অফিসার চাইলে তা গ্রাহ্য করতে পারেন আবার নাও পারেন ।

একটি রাউন্ডের গণনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর রিটার্নিং অফিসার সেই ফলাফল যোগ করে একদিকে বোর্ডে লিখে দেবেন অন্যদিকে বাইরে মাইকের সাহায্যে তা ঘোষণা করা হবে । ঘোষণা শেষ হওয়ার পরই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য স্ট্রং রুম থেকে নতুন কন্ট্রোল ইউনিট আনা হবে কাউন্টিং হলের ভিতর ।

Intro:কলকাতা, ২২ মে: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। বিশ্বের অন্যতম বড় গণতন্ত্রের আগামী পাঁচ বছরের ভাগ্য নির্ধারণের শুরু। যদিও প্রতীক্ষার প্রহর কাটে সময় লেগে যাবে অনেকটাই। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পুরো ফল আসতে সময় লেগে যেতে পারে ২৪ মে পর্যন্ত। Body:নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, গণনা কেন্দ্রে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
স্ট্রং রুমে থাকছে প্যারা মিলিটারি ফোর্স। এক প্লাটুনের কিছু বেশি সংখ্যায় থাকছে এই বাহিনী। স্ট্রং রুমের লাগোয়া কাউন্টিং হল। কাউন্টিং হলের ভেতর থাকবে সিএপিএফ। কাউন্টিং হলের গেটে পাহারায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানেই থাকবে প্রথম কর্ডন। এই কর্ডনে পরীক্ষা হবে কাউন্টিং হলে যাওয়ার অনুমতি পত্র। এই গেট দিয়ে মোবাইল, জলের বোতল কিংবা খাবার নিয়ে প্রবেশ করা গেলেও, মূল কাউন্টিং হলের ভেতর এসবের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কাউন্টিং হল এর বাইরে মিডিয়া সেন্টারে পাশাপাশি থাকবে মোবাইল রাখার জন্য নির্দিষ্ট একটি রুম। সেখানে সব জমা রাখতে হবে। তারপরেই পাওয়া যাবে ভেতরে ঢোকার ছাড়পত্র। কাউন্টিং হলের ঠিক বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বিতীয় কর্ডন। কাউন্টিং হলের ভেতরে থাকবে তৃতীয়। কাউন্টিং সেন্টারের বাইরে 100 মিটারে থাকবে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী। তারপরে থাকবে পুলিশ। এই 100 মিটার এর বাইরে থাকবে একটি গেট। যেখানে প্রথম দফায় অনুমতি পত্র পরীক্ষা হবে। সেখানে এই অনুমতি পত্র পরীক্ষার জন্য থাকবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য থাকবে 58 টি কাউন্টিং সেন্টার। কাউন্টিং হল থাকছে 379 টি। কাউন্টিং টেবিল থাকবে 4668 টি। সবচেয়ে বেশি কাউন্টিং সেন্টার দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে। সেখানে থাকছে সাতটি কাউন্টিং সেন্টার। মোট 155 জন অবজারভার থাকার কথা কাউন্টিংয়ে। যদিও কমিশন সূত্রে খবর, সংখ্যাটা কিছুটা কমতে পারে। মোট 25 হাজার গণনা কর্মী কাজ করবেন নির্বাচন কমিশনের তরফে।

এবার দেখে নিন কি পদ্ধতিতে হবে গণনা

গণনা হবে পাঁচটি পদ্ধতিতে

১) প্রথম গণনা হবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট। ARO র নেতৃত্বে যে কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার থাকবেন সেখানে এই পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। সারা রাজ্যে 42 টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে 58 টি গণনা কেন্দ্র।

২) পোস্টাল ব্যালটের গণনার পর গণনা করা হবে সার্ভিস ভোটারদের ভোট। তিনটি খামের ভেতর থাকবে পোস্টাল ব্যালট। প্রথমে খোলা হবে বাইরের খাম, তারপরের খামের ভেতর থাকবে সার্ভিস ভোটারের ডিক্লেয়ারেশন এবং তৃতীয় খামে থাকবে পোস্টাল ব্যালট। এই খামের ভেতর পোস্টাল ব্যালটের সঙ্গে থাকবে QR CODE। এই কোড কে স্ক্যান করা হবে। যদি স্ক্যান মিলে যায় তবেই এই ভোট গণনা করা হবে।

৩) এরপরই গণনা করা হবে ই ভি এম। ইভিএম এর সঙ্গে থাকা কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে। প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্র যার ভিতর কাউন্টিং হল থাকবে সেখানে সাতটি বিধানসভা×প্রায় ১৪ টি টেবিল× ১৫ থেকে ১৬ রাউন্ড। এভাবেই কন্ট্রোল ইউনিট এর গণনা করা হবে। এই ক্ষেত্রে যদি কোনো কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায় তখন সেই কন্ট্রোল ইউনিটের ভিভিপ্যাট গণনা করা হবে।

৪) কন্ট্রোল ইউনিট এর গণনা শেষ হয়ে গেলে তারপর শুরু হবে ভিভিপ্যাটের গণনা। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট স্ট্রং রুম থেকে নিয়ে আসা হবে কাউন্টিং হলের ভেতর। তবে গণনা হবে এক সঙ্গেই। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে আনুমানিকভাবে প্রত্যেক বিধানসভার গণনা করতে সময় লাগতে পারে 2 ঘন্টা।

৫) ১৯৬১ সালের নির্বাচন কমিশনের ৫৬ ডি ধারা অনুযায়ী কোন প্রার্থী বা তার এজেন্ট রিকাউন্টিং চাইতে পারে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শিয়ে আবেদন করতে হবে। রিটার্নিং অফিসার চাইলে তা গ্রাহ্য করতেও পারেন আবার নাও করতে পারেন।Conclusion:একটি রাউন্ডের গণনা শেষ হয়ে যাবার পর রিটার্নিং অফিসার সেই ফলাফল যোগ করে একদিকে বোর্ডে লিখে দেবেন অন্যদিকে বাইরে মাইকের সাহায্যে তা ঘোষণা করা হবে। ঘোষণা শেষ হওয়ার পর তারপরেই দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য স্ট্রং রুম থেকে নতুন কন্ট্রোল ইউনিট আনা হবে কাউন্টিং হলের ভিতর।
Last Updated : May 23, 2019, 10:56 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.