ETV Bharat / elections

লাল, গেরুয়া না সবুজ- অভিষেক গড়ে কোন আবির উড়বে 2 মে ?

author img

By

Published : Mar 13, 2021, 9:43 PM IST

Updated : Mar 13, 2021, 10:10 PM IST

2016 সালের পর বদলেছে রাজনৈতিক সমীকরণ ৷ তৃতীয় স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি৷ উন্নয়ন সহ একাধিক ইস্য়ু উঠে এবারের নির্বাচনে উঠে আসতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা৷

নির্বাচন
জনসংযোগে প্রতিকুর

ডায়মন্ড হারবার, 13 মার্চ : ভোটের বাদ্য়ি বেজে গেছে ৷ প্রচারে ঝড় তুলছে লাল, গেরুয়া, সবুজ সহ সব দল৷ সবার নজর একটাই৷ গঙ্গা পাড়ের নীল বাড়ি দখল ৷ গেরুয়া এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা না ঘোষণা করলেও দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবারে প্রচারের তেজ বাড়াচ্ছে লাল ও সবুজ৷

গত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার আসনটি তৃণমূল দখল করে৷ বিধায়ক হন দীপক কুমার হালদার৷ কয়েকমাস আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপি যোগ দেন দীপক৷ এরফলে বেশ কিছুটা ওলটপালট হয়েছে সেখানকার ভোট সমীকরণ ৷ অন্য়দিকে তরুন তুর্কি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসেবে প্রতিকুর রহমানকে দাঁড় করানোয় দল বেশ কিছুটা ভালো ফল করবে বলে আশাবাসী সিপিএম নেতৃত্ব৷ তাহলে কেমন হতে পারে এবারের নির্বাচনের ফলাফল ? আলোচনার আগে দেখে নেওয়া যাক 2016 সালের নির্বাচনী ফলাফল-

2016 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন দীপক কুমার হালদার৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট 96539 টি৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএমের আবুল হাসনাত৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 81442টি৷ এবং বিজেপির প্রার্থী বলরাম হালদার ছিলেন তৃতীয় স্থানে৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 14587টি৷

আরও পড়ুন- নির্বাচন কমিশন আর স্বতন্ত্র সংস্থা নেই, তৃণমূলে এসে তোপ যশবন্তের

অন্য়দিকে 2019 সালে লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই হিসেব ওলটপালট হয়ে যায়৷ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি৷ অন্য়দিকে তৃতীয় স্থানে নেমে যায় সিপি এম৷ জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল - 791127, বিজেপি ও সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ছিল যথাক্রমে- 470533 এবং 93833 ৷ এবারও কি ফলাফলে কোনও ওলটপালট হতে পারে ?

কেন ? এর মধ্য়ে একটি বড় সমীকরণ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ তাঁদের মতামত লেখার আগে একবার জেনে নেওয়া যাক দীপক হালদার কেন দল ছাড়লেন৷ এবং তিনি এখন রাজনৈতিকভাবে কতটা ক্ষমতাশালী রয়েছেন ৷

লাল, গেরুয়া না সবুজ- অভিষেক গড়ে কোন আবির উড়বে 2 মে ?

দীপক হালদার মূলত দুটি অভিযোগ করে দল পরিবর্তন করেছেন৷ সেটা হল, দল তাঁকে সম্মান দিচ্ছে না৷ আর দ্বিতীয়ত, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ একাধিকবার সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তিনি৷ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ অভিযোগ করেছিলেন, বারবার এলাকার উন্নয়নের কাজ করার জন্য় উদ্য়োগী হলেও তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি৷ পাশাপাশি তাঁর আরও একটি অভিযোগ ছিল, এলাকার কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হয়না৷ দল তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা করে না৷ সম্মান পাচ্ছিলেন না তিনি৷ সেকারণে দলত্য়াগ বলে জানিয়েছিলেন ৷

নির্বাচনের মুখে দীপক হালদারের দলত্য়াগ তৃণমূলের কাছে চিন্তার বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ কিন্তু তৃণমূল এইসব বিষয় উড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, দীপক দলত্য়াগ করায় কোনও প্রভাব পড়বে না৷ সত্য়িই কি পড়বে না ?

আরও পড়ুন- জমি আন্দোলনের আবেগ ফেরাতেই কি নন্দীগ্রাম দিবসে ইস্তাহার প্রকাশ তৃণমূলের ?

রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য়, দীপক হালদার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে যথেষ্ট পরিচিত ৷ সুনামও আছে তাঁর৷ এবং বারবার সোশাল মিডিয়াতে জানিয়েছিলেন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এটা এলাকাবাসীরা অনেকটাই বিশ্বাস করেছেন৷ ফলে এলাকার উন্নয়ন শেষ চার ,সাড়ে চার বছরে খুব একটা হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না বাসিন্দারা৷ একদিকে এলাকার অনুন্নয়ন অন্য়দিকে দীপক হালদারের জনপ্রিয়তার প্রভাব ইভিএমে প্রকাশ পেতে পারে৷

দলবদলে দীপকের অবস্থান এখন কেমন ?

যেহেতু এলাকার পরিচিত ব্য়ক্তিত্ব সেকারণে বিজেপিতে যাওয়ায় অন্য় এলাকার মতো বিক্ষোভ দেখাননি পুরোনো বিজেপি কর্মীরা৷ বরং একসঙ্গে কাজ করতেই দেখা যাচ্ছে সবাইকে৷ অন্য়দিকে কয়েকদিন আগে নরেন্দ্র মোদি রাজ্য়ে এসেছিলেন৷ সেদিন, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ব্রিগেড গ্রাউন্ডে মোদিকে আনার দায়িত্ব ছিল দীপক হালদারের উপর৷ অতএব, যেহেতু এলাকার পরিচিত মুখ সেহেতু তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি রাজ্য় নেতৃত্ব৷

আসন্ন নির্বাচনে এখনও বিজেপির তরফে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি৷ কার নাম ঘোষণা করা হতে পারে সেবিষয়ে মুখ খোলেননি স্থানীয় কোনও নেতা৷ তবে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে৷ তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন পান্নালাল হালদার এবং সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী এসএফআইয়ের রাজ্য় সভাপতি প্রতিকুর রহমান৷ ইতিমধ্য়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা ৷

ভোটের ফল কেমন হতে পারে

এলাকার অনুন্নয়ন থেকে দলবদল পুরোটাই ভোটের ফলে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ শুধু এটাই নয়, ধর্মীয় মেরুকরণে ভোট হবে বলেও মনে করছে তারা৷ তাদের ধারণা, এলাকায় তেমন উন্নয়ন হয়নি৷ অন্য়দিকে দীপকবাবু তা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন৷ সুতরাং মানুষ তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধ৷ দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় মেরুকরণ৷ বিস্তারিত ভাবে দেখলে দেখা যাবে, ওই এলাকায় 25 শতাংশ মানুষ সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়৷ তাদের মধ্য়ে সিংহভাগ মানুষের দুর্বলতা আছে ভাইজান ওরফে আব্বাসের উপর৷ সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম৷ নাম, প্রতিকুর রহমান৷ যিনিও সংখ্য়ালঘু৷ সুতরাং এলাকার সংখ্য়ালঘু ভোটের সিংহভাগই তিনি পেতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

এখানে আর একটা বিষয় এসে যাচ্ছে, হিন্দু ভোট ৷ অনেকেই মনে করছেন যেহেতু সংখ্য়ালঘু ভোটের অধিকাংশ পেতে পারে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী তাই হিন্দু ভোটের অধিকাংশ যেতে পারে বিজেপির দিকে৷ এই দুয়ের মাঝে তৃণমূলের ভোটব্য়াঙ্কে যথেষ্ট প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ যদিও এই ভবিষ্যৎবাণী মিলবে কি না তা জানা যাবে 2 মে ৷

যদিও এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাদের প্রার্থী পান্নালাল হালদার স্পষ্ট জানিয়েছেন, এলাকার উন্নয়ন ও মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে সামনে রেখে তাঁদের ভোট হয় ৷ তাই কে গেল, কে এল সেটা নিয়ে তাঁদের মাথাব্য়থা নেই৷ 2 মে সবুজ আবির খেলা নিয়েও আশাবাদী তিনি৷

অন্য়দিকে, তৃণমূল বিজেপিকে কোনও আমল দিতে চাননি সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী প্রতিকুর রহমান৷ স্পষ্ট জানিয়েছেন, এলাকার মানুষ তৃণমূল বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ৷ তাই ভোট তাঁদের দখলেই আসবে৷

ডায়মন্ড হারবার, 13 মার্চ : ভোটের বাদ্য়ি বেজে গেছে ৷ প্রচারে ঝড় তুলছে লাল, গেরুয়া, সবুজ সহ সব দল৷ সবার নজর একটাই৷ গঙ্গা পাড়ের নীল বাড়ি দখল ৷ গেরুয়া এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা না ঘোষণা করলেও দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবারে প্রচারের তেজ বাড়াচ্ছে লাল ও সবুজ৷

গত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার আসনটি তৃণমূল দখল করে৷ বিধায়ক হন দীপক কুমার হালদার৷ কয়েকমাস আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপি যোগ দেন দীপক৷ এরফলে বেশ কিছুটা ওলটপালট হয়েছে সেখানকার ভোট সমীকরণ ৷ অন্য়দিকে তরুন তুর্কি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসেবে প্রতিকুর রহমানকে দাঁড় করানোয় দল বেশ কিছুটা ভালো ফল করবে বলে আশাবাসী সিপিএম নেতৃত্ব৷ তাহলে কেমন হতে পারে এবারের নির্বাচনের ফলাফল ? আলোচনার আগে দেখে নেওয়া যাক 2016 সালের নির্বাচনী ফলাফল-

2016 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন দীপক কুমার হালদার৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট 96539 টি৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএমের আবুল হাসনাত৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 81442টি৷ এবং বিজেপির প্রার্থী বলরাম হালদার ছিলেন তৃতীয় স্থানে৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 14587টি৷

আরও পড়ুন- নির্বাচন কমিশন আর স্বতন্ত্র সংস্থা নেই, তৃণমূলে এসে তোপ যশবন্তের

অন্য়দিকে 2019 সালে লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই হিসেব ওলটপালট হয়ে যায়৷ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি৷ অন্য়দিকে তৃতীয় স্থানে নেমে যায় সিপি এম৷ জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল - 791127, বিজেপি ও সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ছিল যথাক্রমে- 470533 এবং 93833 ৷ এবারও কি ফলাফলে কোনও ওলটপালট হতে পারে ?

কেন ? এর মধ্য়ে একটি বড় সমীকরণ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ তাঁদের মতামত লেখার আগে একবার জেনে নেওয়া যাক দীপক হালদার কেন দল ছাড়লেন৷ এবং তিনি এখন রাজনৈতিকভাবে কতটা ক্ষমতাশালী রয়েছেন ৷

লাল, গেরুয়া না সবুজ- অভিষেক গড়ে কোন আবির উড়বে 2 মে ?

দীপক হালদার মূলত দুটি অভিযোগ করে দল পরিবর্তন করেছেন৷ সেটা হল, দল তাঁকে সম্মান দিচ্ছে না৷ আর দ্বিতীয়ত, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ একাধিকবার সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তিনি৷ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ অভিযোগ করেছিলেন, বারবার এলাকার উন্নয়নের কাজ করার জন্য় উদ্য়োগী হলেও তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি৷ পাশাপাশি তাঁর আরও একটি অভিযোগ ছিল, এলাকার কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হয়না৷ দল তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা করে না৷ সম্মান পাচ্ছিলেন না তিনি৷ সেকারণে দলত্য়াগ বলে জানিয়েছিলেন ৷

নির্বাচনের মুখে দীপক হালদারের দলত্য়াগ তৃণমূলের কাছে চিন্তার বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ কিন্তু তৃণমূল এইসব বিষয় উড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, দীপক দলত্য়াগ করায় কোনও প্রভাব পড়বে না৷ সত্য়িই কি পড়বে না ?

আরও পড়ুন- জমি আন্দোলনের আবেগ ফেরাতেই কি নন্দীগ্রাম দিবসে ইস্তাহার প্রকাশ তৃণমূলের ?

রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য়, দীপক হালদার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে যথেষ্ট পরিচিত ৷ সুনামও আছে তাঁর৷ এবং বারবার সোশাল মিডিয়াতে জানিয়েছিলেন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এটা এলাকাবাসীরা অনেকটাই বিশ্বাস করেছেন৷ ফলে এলাকার উন্নয়ন শেষ চার ,সাড়ে চার বছরে খুব একটা হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না বাসিন্দারা৷ একদিকে এলাকার অনুন্নয়ন অন্য়দিকে দীপক হালদারের জনপ্রিয়তার প্রভাব ইভিএমে প্রকাশ পেতে পারে৷

দলবদলে দীপকের অবস্থান এখন কেমন ?

যেহেতু এলাকার পরিচিত ব্য়ক্তিত্ব সেকারণে বিজেপিতে যাওয়ায় অন্য় এলাকার মতো বিক্ষোভ দেখাননি পুরোনো বিজেপি কর্মীরা৷ বরং একসঙ্গে কাজ করতেই দেখা যাচ্ছে সবাইকে৷ অন্য়দিকে কয়েকদিন আগে নরেন্দ্র মোদি রাজ্য়ে এসেছিলেন৷ সেদিন, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ব্রিগেড গ্রাউন্ডে মোদিকে আনার দায়িত্ব ছিল দীপক হালদারের উপর৷ অতএব, যেহেতু এলাকার পরিচিত মুখ সেহেতু তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি রাজ্য় নেতৃত্ব৷

আসন্ন নির্বাচনে এখনও বিজেপির তরফে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি৷ কার নাম ঘোষণা করা হতে পারে সেবিষয়ে মুখ খোলেননি স্থানীয় কোনও নেতা৷ তবে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে৷ তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন পান্নালাল হালদার এবং সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী এসএফআইয়ের রাজ্য় সভাপতি প্রতিকুর রহমান৷ ইতিমধ্য়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা ৷

ভোটের ফল কেমন হতে পারে

এলাকার অনুন্নয়ন থেকে দলবদল পুরোটাই ভোটের ফলে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ শুধু এটাই নয়, ধর্মীয় মেরুকরণে ভোট হবে বলেও মনে করছে তারা৷ তাদের ধারণা, এলাকায় তেমন উন্নয়ন হয়নি৷ অন্য়দিকে দীপকবাবু তা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন৷ সুতরাং মানুষ তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধ৷ দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় মেরুকরণ৷ বিস্তারিত ভাবে দেখলে দেখা যাবে, ওই এলাকায় 25 শতাংশ মানুষ সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়৷ তাদের মধ্য়ে সিংহভাগ মানুষের দুর্বলতা আছে ভাইজান ওরফে আব্বাসের উপর৷ সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম৷ নাম, প্রতিকুর রহমান৷ যিনিও সংখ্য়ালঘু৷ সুতরাং এলাকার সংখ্য়ালঘু ভোটের সিংহভাগই তিনি পেতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

এখানে আর একটা বিষয় এসে যাচ্ছে, হিন্দু ভোট ৷ অনেকেই মনে করছেন যেহেতু সংখ্য়ালঘু ভোটের অধিকাংশ পেতে পারে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী তাই হিন্দু ভোটের অধিকাংশ যেতে পারে বিজেপির দিকে৷ এই দুয়ের মাঝে তৃণমূলের ভোটব্য়াঙ্কে যথেষ্ট প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ যদিও এই ভবিষ্যৎবাণী মিলবে কি না তা জানা যাবে 2 মে ৷

যদিও এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাদের প্রার্থী পান্নালাল হালদার স্পষ্ট জানিয়েছেন, এলাকার উন্নয়ন ও মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে সামনে রেখে তাঁদের ভোট হয় ৷ তাই কে গেল, কে এল সেটা নিয়ে তাঁদের মাথাব্য়থা নেই৷ 2 মে সবুজ আবির খেলা নিয়েও আশাবাদী তিনি৷

অন্য়দিকে, তৃণমূল বিজেপিকে কোনও আমল দিতে চাননি সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী প্রতিকুর রহমান৷ স্পষ্ট জানিয়েছেন, এলাকার মানুষ তৃণমূল বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ৷ তাই ভোট তাঁদের দখলেই আসবে৷

Last Updated : Mar 13, 2021, 10:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.