কলকাতা, 8 এপ্রিল : নির্বাচনী পরিস্থিতিতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যে ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক আদালত ৷ এই দাবিতেই জনস্বার্থ মামলা রুজু হল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ শুক্রবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাতে দ্রুত মামলাটির শুনানি ও নিষ্পত্তি করা হয়, সেই পদক্ষেপের আবেদন করা হবে ৷
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে আট দফায় বিধানসভা নির্বাচন চলছে ৷ রাজ্যে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, ঠিক তখনই সাধারণ মানুষ থেকে প্রার্থী, প্রায় কারোরই এবিষয়ে হুঁশ নেই ৷ কোভিড বিধি না মেনেই অবাধে জনসমাবেশ, মিটিং, মিছিল চলছে ৷ আসলে বুথের বাইরে কিংবা যাঁরা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁদের করোনা বিধি পালনে বাধ্য করানোর ক্ষমতা নেই নির্বাচন কমিশনের ৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকার এখন কেয়ারটেকারের মত কাজ করছে ৷ কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এই মুহূর্তে সরকারের নেই ৷ ফলে একটা ফাঁক তৈরি হয়েছে ৷ আগামী 2 মে নতুন নির্বাচনের ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্য়া বজায় থাকবে ৷ আমাদের আবেদন, সমস্য়া মেটাতে এখনই হস্তক্ষেপ করুক আদালত ৷ একটি কমিটি তৈরি করে গাইডলাইন দেওয়া হোক ৷ যাতে যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা থেকে মানুষ বাঁচতে পারেন ৷ এতে নির্বাচন কমিশনের হাতও শক্ত হবে ৷’’
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন
অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে ৷ সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত আদালতের শুনানিতে হাইব্রিড হেয়ারিং-এর ওপর জোর দিতে হবে ৷ সশরীরে হাজিরা যত বেশি এড়িয়ে যাওয়া যায়, সেদিকে জোর দিতে হবে ৷ 60টির বেশি মামলার শুনানি একদিনে করা হবে না ৷ আদালতকক্ষে মামলাকারী ছাড়া অন্যদের প্রবেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে ৷ কারও শরীরে করোনার সামান্য়তম উপসর্গ থাকলেই আদালত চত্বরে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷