হাসনাবাদ, 3 এপ্রিল : বিজেপির দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ ৷ ঘটনায় জখম দু’পক্ষের অন্তত 15 জন ৷ বিজেপি নেতার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের ৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদের ভবানীপুর এলাকায় ৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে হাসনাবাদের ভবানীপুরের পাড় ভবানীপুর এলাকার কয়েকজন বিজেপি কর্মী দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন ৷ অভিযোগ, সেই সময় ওই বিজেপি কর্মীদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন একদল বিজেপি কর্মী ৷ তাঁরা তৃণমূল কর্মীদের উপর পাল্টা হামলা চালান বলে অভিযোগ ৷
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ৷ সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত 15 জন আহত হন ৷ তাঁদের টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে এক বিজেপি কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷
বিষয়টি জানার পরই ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ৷ সেখানে পৌঁছতেই তাঁর গাড়ি আটকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ এরপর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ফিরোজ ৷ তাঁকে আটকাতে ভবানীপুর মডেল মোড়ে রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মীরা ৷
আরও পড়ুন : ভাঙড়ে তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ, গ্রেফতার 1
এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ৷ তাদের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজিকে উদ্ধার করে অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় পুলিশ ৷ শুরু হয় টহলদারি ৷
আবু তাহের শিকারি নামে এক তৃণমূল কর্মী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন ৷ ওঁর দুষ্কৃতী বাহিনী দিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের উপর হামলা করেছে ৷ এই বিজেপি নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ৷ না হলে ভবানীপুরে এমন অশান্তি লেগেই থাকবে ৷’’
অন্যদিকে বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, ‘‘ওই এলাকায় আমাদের কর্মীদের উপর পুলিশের মদতে হামলা চালানো হয়েছে ৷ এই ঘটনায় আমাদের অনেক কর্মী আহত হয়েছেন ৷ আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে জানাব। এই পুলিশ এখানে থাকলে এখানকার মানুষ সুস্থভাবে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না।’’