হাওড়া, 30 এপ্রিল : করোনার ব়্য়াপিড টেস্ট করাতে এসে চরম হয়রানির শিকার হতে হল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টদের ৷ ঠা-ঠা রোদ্দুর আর গরমে দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে গিয়ে মেজাজ হারালেন তাঁরা ৷ উঠল চরম অব্যবস্থার অভিযোগ ৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন রাজনৈতিক কর্মীরা ৷ তা গড়াল হাতাহাতিতে ৷ ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে ৷
একদিকে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ, অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ৷ এই দুইয়ের জাঁতাকলে পড়ে নাভিশ্বাস ওঠার দশা হাওড়ার কাউন্টিং এজেন্টদের ৷ কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে এবং সেই রিপোর্ট দেখালে একমাত্র তবেই মিলবে ভোটগণনা কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি ৷ করোনা আবহে এই নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন ৷
এরপরই ব়্য়াপিড করোনা পরীক্ষার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে ৷ শুক্রবার সকাল থেকেই শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে ব়্য়াপিড করোনা পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন কাউন্টিং এজেন্টরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, চরম অব্য়বস্থার মধ্যেই করোনার পরীক্ষা করাতে হচ্ছে ৷ এমনকী, বহু ক্ষেত্রে এজেন্টদেরই নিজেদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে ৷ নেই দূরত্ব বিধি মানার কোনও বালাইও ৷ ফলে করোনা পরীক্ষা করাতে এসেই বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা ৷
আরও পড়ুন : ভিড় ট্রেন থেকে পড়ে আহত যাত্রী, চম্পাহাটিতে রেল অবরোধ
পাশাপাশি, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পরও আদৌ সোয়াবের নমুনা নেওয়া হবে কিনা, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এদিনের মধ্যেই মিলবে কিনা, তা নিয়েও ছড়ায় বিভ্রান্তি ৷ স্বাস্থ্যকর্মী বনাম রাজনৈতিক কর্মী, দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি ৷ মারামারি লেগে যায় তৃণমূল ও বিজেপি কাউন্টিং এজেন্টদের মধ্যেও ৷ এই হুড়োহুড়িতে ভেঙে যায় লোহার রেলিং ৷ শেষমেশ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷