দুর্গাপুর, 17 অক্টোবর: কোরোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্য়েই রাজ্য়ে দুর্গা পুজোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য় সরকার ৷ তবে, সেক্ষেত্রে সরকারি স্বাস্থ্য়বিধি মেনে পুজো করতে বলা হয়েছে সকল উদ্য়োক্তাদের৷ সেই নিয়ম মেনে সব পুজো কমিটিগুলি আয়োজন করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামেলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন ৷ পাশাপাশি পুজোর সময় ঠাকুর দেখতে আসা দর্শনার্থীদের 4 লক্ষ মাস্ক বিতরণের কথাও জানালেন তিনি ৷
![asansole_durgapur_police_commissioner_comes_to_saw_the_preparation_of_durga_puja](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/9210349_977_9210349_1602930194819.png)
কোভিড পরিস্থিতিতে বছর একদন শেষ মুহূর্তে পুজোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য় সরকার ৷ ফলে তেমন কোনও আড়ম্বরের মধ্য়ে দিয়ে পুজোর আয়োজনে যাচ্ছে না কোনও পুজো কমিটি ৷ তবে, যেটুকু আয়েজন তাঁর পুরোটাই করতে হচ্ছে কোভিড প্রোটোকল মেনে ৷ সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনেই খোলামেলা পরিবেশে পুজো করতে হবে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । কিন্তু পুজোর সেই আয়োজনে সরকারি স্বাস্থ্যবিধিকে মানা হচ্ছে কিনা ? তা খতিয়ে দেখতে শনিবার দুর্গাপুরে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন । প্রথমেই তিনি দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তা মার্কনী দক্ষিণ পল্লীর পুজোর আয়োজন দেখতে যান। দর্শনার্থীরা কোন দিক থেকে মণ্ডপে প্রবেশ করবেন ? কী ভাবে তাঁরা প্রতিমা দর্শনের পর মণ্ডপ থেকে বেরোবেন ? সেই সব ব্য়বস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি ৷ পাশাপাশি মণ্ডপে ঢোকার আগে প্রায় 200 থেকে 300 মিটার দূরত্ব পর্যন্ত শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য় শ্বেত বলয় আঁকতে নির্দেশ দেন কমিশনার ৷ মার্কনী দক্ষিণ পল্লীর মণ্ডপের ভেতরে কম খোলামেলা রয়েছে ৷ সেই কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বেশি জায়গা খুলে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে পুজো উদ্য়োক্তাদের। পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন উদ্যোক্তাদের কাছে জানতে চান তারা কত মাস্ক বিলি করবেন পুজোর সময়? জবাবে 25000 মাস্ক তারা বিলি করবে বলে জানায় উদ্য়োক্তারা। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন , আসানসোল ও দুর্গাপুর দুই মহকুমায় প্রায় 1200 টি দুর্গা পুজো হচ্ছে। প্রত্যেকটি পুজোতেই পুলিশের পক্ষ থেকে নজর রাখা হয়েছে। সমস্ত পুজো উদ্যোক্তারা সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনেই এবার পুজো করছেন। যেমনভাবে মণ্ডপ তৈরি করতে বলা হয়েছে উদ্যোক্তারা সেই গাইডলাইন মেনেছেন। প্রশাসন আশাবাদী যে, পুজোর কয়েকটা দিন কোভিড সংক্রমণ রুখতে তারা সফল হবে। জেলাশাসকের পক্ষ থেকে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে চার লক্ষ মাস্ক বিতরণ করা হবে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণের জন্য অস্থায়ী কিয়ক্স থাকবে।
দুর্গাপুরের বেশকিছু বিগ বাজেটের পুজো দীর্ঘদিন ধরে আশপাশের জেলার মানুষদের কাছে নজরকাড়া পুজো হিসাবে পরিচিত । সেই সব পুজোগুলিতে যদিও এবার বড় বাজেটের থিম পুজোর আয়োজন হয়নি। তাই এবার ভীড় নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেই মনে করছে পুজো উদ্যোক্তারা ।