বনগাঁ, 14 অগস্ট : ভর সন্ধ্যায় থানার সামনে থেকে ভ্যানে করে এক যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ । ধর্ষণের পর তাঁকে আমবাগানে ফেলে রেখে যায় ভ্যান চালক । শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পেট্রাপোল থানার খলিদপুর এলাকার । রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবতীকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল । পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছে তারা।
ওই যুবতীর বাড়ি বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকায় । দিনমজুর পরিবার। এদিন সন্ধ্যায় আত্মীয়ের বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন যুবতি । গভীর রাত পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি । রাতে বাড়িতে খবর যায় রক্তাক্ত অবস্থায় খলিদপুর থেকে যুবতীকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । পরিবারের দাবি, বনগাঁ থানার সামনে এক ইঞ্জিন ভ্যানচালকের সঙ্গে দেখা হয় যুবতীর । ওই ভ্যানচালক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে ভ্যানে তোলে । অভিযোগ, ওই ভ্যানচালক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে পেট্রাপোল থানার খলিদপুর এলাকায় নিয়ে যায় । সেখানে একটি জঙ্গলে তাঁকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায় । স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে বসে কাঁদছিলেন ওই যুবতী । তাঁর প্যাণ্ট রক্তে ভিজে ছিল । তারা তাঁকে উদ্ধার করে পেট্টাপোল থানায় খবর দেয় । পুলিশ এসে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে ৷
যুবতীর বক্তব্য , তাঁকে ভ্যানে তোলার পরে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে দেখে ভ্যানচালককে প্রশ্ন করলে তাঁকে ভয় দেখানো হয় । চিৎকার করতে বারণ করে । খবর জানাজানি হতে শনিবার সকালে যুবতীর বাড়িতে ও হাসপাতালে যান বিজেপি ও সিপিআইএম নেতা কর্মীরা । সুবিচার পেতে পরিবারের পাশে থাকবে বলে আস্বস্ত করেন তাঁরা । বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ৷ বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গল রাজ চলছে । মা, বোনেদের ইজ্জতের কোনও দাম নেই। বনগাঁ পুলিশ প্রশাসন সঠিক জায়গায় থাকলে বনগাঁয় এত বড় ঘটনা ঘটত না । পর পর অপরাধ হচ্ছে । সম্পূর্ণ পুলিশের ব্যর্থতা ।"
এই সংক্রান্ত খবর : ঝাড়ফুঁকের নামে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ওঝা
সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বনগাঁ শহরে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি । দোষীরা গ্রেপ্তার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা ।
তৃণমূল নেতা গোপাল সেট বলেন, "ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসা সহ সকল রকম সহযোগিতা করা হবে। পুলিশকে দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে ।"