বর্ধমান, 15 সেপ্টেম্বর : ছোট ছেলে নয়নের কাছে থাকতে ভালবাসতেন মা সুকরানা বিবি (58) । সেই মতো মাঝে মধ্যেই বর্ধমানের হটুদেওয়ান পীরতলা এলাকায় ছোট ছেলে শহিদুল শেখ ওরফে নয়নের বাড়িতে এসে থাকতেন তিনি । একদিন ওই নয়নের বাড়ি থেকেই উধাও হয়ে যান সুকরানা বিবি । তারপর আর কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর । আড়াই বছর পর অবশেষে জানাজানি হল ৷ আদরের নয়ন মাকে খুন করে ঘরের মেঝেয় পুঁতে রেখেছিল । গুণধর ছেলেকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ ৷
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, নয়ন তার মাকে তার কাছে বারবার আসতে মানা করত । কিন্তু তার কথা না শুনে তিনি ছোট ছেলের কাছে গিয়ে মাঝে মধ্যেই থাকতেন ৷ কথা না শোনায় একদিন মুগুর দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাকে খুন করে গুণধর ছেলে । এরপর দেহ ঘরের মেঝেয় পুঁতে রাখে ।
নয়নের দাদা কিসমত আলি বলেন, "মা ভাইয়ের কাছে থাকতেই বেশি পছন্দ করত । তাই সুযোগ পেলেই ভাইয়ের বাড়িতে চলে যেত । কিন্তু ভাই নয়ন সেটা পছন্দ করত না ।" 2019 সালের 10 জানুয়ারি ভাইয়ের বাড়ি থেকে তাঁর মা নিখোঁজ হয়ে যান । বেশ কিছুদিন ধরে খোঁজখবর করার পরও তাঁর খোঁজ না মেলায় বর্ধমান থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তিনি ৷ তারপর আড়াই বছর পর সামনে এল আসল ঘটনা ৷
দিন কয়েক আগে নয়নের সঙ্গে তার স্ত্রীর অশান্তি হয় । রাগ করে ভাতারের এড়ুয়ারে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী । সেকথা জানার পর নয়নকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় দাদা কিসমত আলি ৷ তখনই নয়নের স্ত্রী হঠাৎ বলে বসেন, নয়ন তার মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখেছে । তা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই আঁতকে ওঠেন কিসমত । ভাইকে জিজ্ঞাসা করলে সে চুপ করে থাকে । এরপর প্রতিবেশীদের চাপে ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত ৷ খুনের কথা স্বীকার করে নেয় । বর্ধমান থানার পুলিশ নয়নকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন : Durgapur Murder : শিল্পা আগরওয়াল খুনের মামলা শেষের পথে, সুবিচারের অপেক্ষায় পরিবার